Manipal Hospitals
মেডিকা এখন মণিপাল হসপিটাল ইএম বাইপাস, রোগীদের জন্য উন্নত হৃদরোগ পরিষেবা
Sangbad Prabhati, 8 September 2025
জগন্নাথ ভৌমিক, বর্ধমান : ভারতের অন্যতম বৃহৎ স্বাস্থ্য পরিষেবা নেটওয়ার্ক মণিপাল হসপিটালস। সোমবার এই হাসপাতালের তরফে বর্ধমানে এক প্রেস কনফারেন্সে জানালো হৃদরোগ চিকিৎসায় তাদের অগ্রগতি এবং মেডিকা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে মণিপাল হসপিটাল ইএম বাইপাসে সফল রূপান্তর। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মণিপাল হসপিটাল মুকুন্দপুর ক্লাস্টার এর কার্ডিওভাসকুলার ও থোরাসিক সার্জারি বিভাগের ডিরেক্টর ডাঃ কুনাল সরকার। তিনি বলেন, এই পরিবর্তনের ফলে অঞ্চলের রোগীরা আরও উন্নত ও রোগীকেন্দ্রিক চিকিৎসার সুবিধা পাবেন।
গত বছর মেডিকা সুপারস্পেশালিটি হসপিটাল মণিপাল হসপিটালসের সঙ্গে একত্রিভূত হয়। এর ফলে পুর্ব ভারতে এখন এটি সবচেয়ে বড় হসপিটাল গ্রুপ। কলকাতা, রাঁচি, শিলিগুড়ি ও রাঙাপানির মেডিকা হাসপাতালগুলির রিব্র্যান্ডিং সম্পন্ন হয়েছে, যা মণিপাল হসপিটালস-এর লক্ষ্য- অপর্যাপ্ত সেবাপ্রাপ্ত অঞ্চলেও বিশ্বমানের চিকিৎসা পৌঁছে দেওয়া-কে আরও শক্তিশালী করেছে।
মণিপাল হসপিটালস বর্তমানে ১৯টি শহরে ৩৮টি হাসপাতাল, ১০,৫০০+ বেড, ৭,২০০+ চিকিৎসক এবং ৬ কোটিরও বেশি মানুষের চিকিৎসার অভিজ্ঞতা নিয়ে কাজ করছে। পূর্ব ভারতে তাদের রয়েছে ৭টি হাসপাতাল (কলকাতায় ৫টি-ইএম বাইপাস, মুকুন্দপুর, ঢাকুরিয়া, ব্রডওয়ে ও সল্টলেক। শিলিগুড়িতে ২টি)। এখানে আছে ১,২০০ বেড, ৪৫০+ আইসিইউ বেড, ৭টি ক্যাথ ল্যাব ও ১,১০০+ চিকিৎসক।
ডাঃ কুনাল সরকার জানান, মণিপাল হসপিটালস পূর্ব ভারতে একাধিক অভিনব হৃদরোগ চিকিৎসা শুরু করেছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রথম ওয়্যারলেস পেসমেকার ইনজেক্টেবল এআই প্রক্রিয়া (ঢাকুরিয়া ইউনিট), ইএম বাইপাস ইউনিটে ৫০টিরও বেশি টিভিএআর প্রক্রিয়া এবং টিএভিআই, সিএসপি ইমপ্লান্টেশন ও বাচম্যানস্ বান্ডেল পেসিং।
তিনি বলেন, "কার্ডিওলজি মানে শুধু অপারেশন নয়, রোগীকে ঘিরে থাকা পুরো যত্ন ব্যবস্থা। প্রাথমিক নির্ভুল রোগ নির্ণয়, উন্নত প্রক্রিয়া আর নিবেদিত কার্ডিয়াক কেয়ার-সব মিলিয়েই আমরা প্রতিটি রোগীকে সম্পূর্ণরূপে চিকিৎসা দিই। এখন মেডিকা মণিপাল হসপিটাল ইএম বাইপাসের অংশ হওয়ায় রোগীরা সহজেই আধুনিক প্রযুক্তি, বিশেষজ্ঞ দল ও জাতীয় পর্যায়ের নেটওয়ার্কের সুবিধা পাবেন।"
মণিপাল হসপিটালের কার্ডিয়াক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট ২৪ ঘণ্টা হৃদরোগের জরুরি পরিস্থিতি সামলাতে সক্ষম। কম ব্যথাযুক্ত প্রক্রিয়ায় দ্রুত আরোগ্য ও স্বল্প সময় হাসপাতালে থাকার সুযোগ পাওয়া যায়। বিশেষত মহিলা ও তরুণ রোগীদের মধ্যে হৃদরোগের অস্বাভাবিক লক্ষণ সনাক্তকরণে হসপিটাল অগ্রণী ভূমিকা রাখছে।
এমন উদ্যোগের মাধ্যমে মণিপাল হসপিটাল পূর্ব ভারতে তাদের উপস্থিতি আরও বাড়াচ্ছে, যাতে বর্ধমান-সহ বিভিন্ন জেলার রোগীরা দ্রুত বিশ্বমানের চিকিৎসা পেতে পারেন। এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে হসপিটালের নতুন লোগো ও ক্যাপশন প্রকাশ করা হয়। তাদের কথায় চিকিৎসা হবে আরও সহজলভ্য, স্মার্ট ও রোগীকেন্দ্রিক-কারণ প্রতিটি হৃদস্পন্দন অমূল্য।