Scrooling

আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেলেন বঙ্গতনয়া, ৮২তম ভেনিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের অরিজন্তি বিভাগে সেরা পরিচালকের খেতাব জয় করলেন চিত্রপরিচালক অনুপর্ণা রায়। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর শুভেচ্ছা। # রজতজয়ন্তী বর্ষে সংবাদ প্রভাতী পত্রিকা। সকল পাঠক-পাঠিকা বিজ্ঞাপনদাতা ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি শুভেচ্ছা # বর্ধমানে জাতীয় সড়কে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় ১১ পুণ্যার্থীর মৃত্যু। মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর # UGC NET 2025-এ অল ইন্ডিয়া র‍্যাঙ্ক-১ করেছেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের পিএইচডি স্কলার নিলুফা ইয়াসমিন # উচ্চ মাধ্যমিকের পর নিটেও রাজ্যে প্রথম বর্ধমানের রূপায়ণ পাল। # ষষ্ঠ সিন্ধু জিব্রাল্টার জয় করে ইতিহাসের পাতায় সায়নী # 'দাদাসাহেব ফালকে' সম্মানে ভূষিত হলেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী

তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে অমরপুরে শহীদ স্মরণে অনুষ্ঠান


 

তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে অমরপুরে শহীদ স্মরণে অনুষ্ঠান 


Atanu Hazra 
Sangbad Prabhati, 14 September 2025

অতনু হাজরা, জামালপুর : ২০১০ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর জামালপুরে অমরপুর এলাকায় সি পি এম এর হার্মাদ বাহিনীর হাতে খুন হয়ে শহীদ হন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী পাঁচু গোপাল রুইদাস ও ইশা হক মল্লিক। তারই কিছুদিন আগে সেখানে সিপিএম এর গুণ্ডা বাহিনীর হাতে খুন হন উত্তম ভুল। সেই সময় এমন পরিস্থিতি ছিল যে সিপিএমের বিরুদ্ধে সামান্য প্রতিবাদ টুকুও করা যেতো না। কিন্তু সেই সময় এই মানুষ গুলি প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে চাইছিল সিপিএমের বিরুদ্ধে আর তারই ফল স্বরূপ তাঁদের খুন হতে হয়। খবর পেয়েই জামালপুর ছুটে আসেন তৎকালীন রেলমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের রাজ্য যুব সভাপতি মদন মিত্র। যেমন ওই এলাকায় ছুটে গিয়েছিলেন তেমনই জামালপুর নেতাজী ময়দানে করেছিলেন সভা। তারপর ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসে দল। জামালপুর থেকে জয়লাভ করেন তৃণমূলের বিধায়ক। জামালপুর থেকে নিশ্চিহ্ন হতে থাকে সিপিএম। ক্ষমতায় এসে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই শহীদদের ভোলেননি। প্রতিটি শহীদদের মৃত্যুদিন গুলিকে শহীদ দিবস হিসাবে সম্মান ও শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করা হয়। শুধু তাই নয় প্রতিটি শহীদ পরিবারের সদস্যদের চাকরির ব্যবস্থা করেছেন তিনি। 

 আজকের এই শহীদ স্মরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক অলক কুমার মাঝি, তৃণমূলের ব্লক সভাপতি মেহেমুদ খাঁন, কার্যকরী সভাপতি ভূতনাথ মালিক, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পূর্ণিমা মালিক, জেলা পরিষদের দুই সদস্যা কল্পনা সাঁতরা ও শোভা দে, শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি তাবারক আলী মন্ডল, জোতশ্রীরাম অঞ্চল সভাপতি তপন দে সহ সমস্ত অঞ্চল সভাপতি, শাখা সংগঠনের সভাপতি, প্রধান, উপ প্রধানরা। শহীদ বেদীতে মালা দিয়ে শহীদদের সম্মান জানানো হয়। তোলা হয় দলীয় পতাকা।

 উপস্থিত সকল বক্তারা সেই সময়ের ঘটনার কথা স্মৃতিচারণ করেন। বিধায়ক অলক কুমার মাঝি বলেন, আজ এই শহীদদের জন্যই দল ক্ষমতায় এসেছে। সরকার এঁদের ভোলেনি। তাই শহীদদের এই দিন গুলি সম্মান ও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ ও পালন করা হয়। মেহেমুদ খাঁন বলেন সেই সময় সিপিএমের গুণ্ডাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। তার ফলেই জামালপুরের ৪ জন তৃণমূল কর্মী শহীদ হন। আজকের দিনে তাঁদের খুবই মনে পড়ছে। এখন এঁদের অসম্পূর্ণ কাজ তাঁদেরই করতে হবে। আগামী ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনে জামালপুর থেকে দলীয় প্রার্থী বিপুল ভোট জয়লাভ করবে। আর এতেই এই শহীদদের আত্মার শান্তি পাবে।