পূর্ব বর্ধমান জেলার ৪০টি দুর্গা মন্ডপ উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
Sangbad Prabhati, 25 September 2025
অতনু হাজরা, পূর্ব বর্ধমান : সারা রাজ্যে বিভিন্ন জেলার সাথে পূর্ব বর্ধমান জেলার ৯ টি পুজো আজ ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। সব মিলিয়ে আজ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পূর্ব বর্ধমান জেলার ৪০ টি পুজো মন্ডপ উদ্বোধন করলেন। প্রথম দফায় ১৪ টি, দ্বিতীয় দফায় ১৭ টি এবং ২৫ সেপ্টেম্বর ৯ টি দুর্গা পুজোর ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃতীয় দফায় আজ বাজেপ্রতাপপুর রেলওয়ে ট্রাফিক কলোনি, ঘোড়দৌড় চট্টি সর্বজনীন পূজা কমিটি, সগরাই সর্বজনীন দুর্গা পূজা কমিটি, সেহারাবাজার সৌহার্দ্য ক্লাব, নবোদয় সংঘ সহ জামালপুরের কালারাঘাট ব্যবসায়ী সমিতির পুজো উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী।
বাজেপ্রতাপপুর রেলওয়ে ট্রাফিক কলোনির পুজো মুখ্যমন্ত্রী ভার্চুয়ালি উদ্বোধনে এই মন্ডপে উপস্থিত ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামা প্রসন্ন লোহার, জেলা শাসক আয়েশা রাণী এ, পুলিশ সুপার সায়ক দাস, অতিরিক্ত জেলা শাসক (সাধারণ) অমিয় কুমার দাস, বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস, বর্ধমান সদর উত্তরের মহকুমা শাসক তীর্থঙ্কর বিশ্বাস, বর্ধমান থানার আইসি দিব্যেন্দু দাস, বাজেপ্রতাপপুর রেলওয়ে ট্রাফিক কলোনি পুজোর মূল কান্ডারী তথা বর্ধমান পৌরসভার কাউন্সিলর নুরুল আলম (সাহেব) সহ অন্যান্যরা।
আজ জামালপুরে কালারাঘাট পুজো মণ্ডপে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক অলক কুমার মাঝি, সদর দক্ষিণ মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অভিষেক মন্ডল, তৃণমূল কংগ্রেসের জামালপুর ব্লক সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মেহেমুদ খাঁন, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পূর্ণিমা মালিক, বিডিও পার্থ সারথী দে, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রাহুল বিশ্বাস, জামালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক কৃপাসিন্ধু ঘোষ সহ পুজো কমিটির সভাপতি ও সম্পাদক সহ অন্যান্যরা। উদ্বোধন করার সময় যখনই কালারাঘাট এর নাম করা হয় তখনই করতালিতে ফেটে পড়ে। পুজো কমিটির সভাপতি তুষার কান্তি নায়েক বলেন মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের পুজো উদ্বোধন করলেন এটা তাঁদের কাছে একটা বিরাট পাওনা। তাঁরা সহ এলাকার সকল মানুষ খুব খুশী।
মেহেমুদ খাঁন বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হবার পর গ্রামাঞ্চলের পূজা গুলোও গুরুত্ব পাচ্ছে। তিনি নিজে গ্রামাঞ্চলের পুজো উদ্বোধন করছেন। শুধু তাই নয় এই বছর পূজার অনুদান তিনি বাড়িয়ে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা করে দিয়েছেন। এটা কম বড় ব্যাপার নয়। এতে করে অনেক গ্রামাঞ্চলের পুজো কমিটিগুলো ভালো ভাবে পুজো করতে পারছেন।