সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে ১৪ টি দুর্গা পুজো উদ্বোধন
Sangbad Prabhati, 27 September 2025
অতনু হাজরা, জামালপুর : সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে মহা পঞ্চমীর দিনে ১৪ টি দুর্গা পুজো উদ্বোধন করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের জামালপুর ব্লক সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মেহেমুদ খাঁন। সঙ্গে ছিলেন বিধায়ক অলক কুমার মাঝি, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পূর্ণিমা মালিক, সহ সভাপতি ভূতনাথ মালিক, বিডিও পার্থ সারথী দে, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রাহুল বিশ্বাস, শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি তাবারক আলী মন্ডল, জেলা পরিষদের দুই সদস্য শোভা দে ও কল্পনা সাঁতরা সহ প্রতিটি অঞ্চলের প্রধান উপ প্রধান, অঞ্চল সভাপতিরা।
পার উজিরপুর সবুজ সংঘ, মুইদিপুর উত্তরপাড়া, মুঈদিপুর তরুণ সংঘ, মাঠশিয়ালী সর্বজনীন, আমরপুর পাল পাড়া সর্বজনীন, নন্দনপুর সর্বজনীন, বড়টিগরা সর্বজনীন, আঁটপাড়া পশ্চিম সর্বজনীন, আঁটপাড়া সুকান্ত সংঘ, আমতারা সর্বজনীন, মহীশগড়িয়া ঘোষ পারা সর্বজনীন, শ্রীমানপুর সর্বজনীন ও চৌবেড়িয়া বাজার সর্বজনীন পুজো গুলি উদ্বোধন কোরা হয় আজ। সত্যি এক এক চরম সম্প্রীতির নিদর্শন হিন্দুদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গা পুজো যার উদ্বোধন করছেন একজন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ মেহেমুদ খাঁন। পঞ্চমী ও ষষ্ঠী মিলিয়ে প্রায় ৩২ টি পুজো উদ্বোধন করবেন তিনি। সকাল ৯ থেকে শুরুকরে রাত্রি ৮ পর্যন্ত চলে এই উদ্বোধন পর্ব। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বার বার যে কথা বলেন ধর্ম যার যার উৎসব সবার। সেটা জামালপুরে পরিলক্ষিত হচ্ছে। এই বছর রাজ্য সরকার যেমন তাঁর অনুদান বাড়িয়ে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা করেছেন। তেমনি গত বছরের থেকে এ বছর অনুদান প্রাপ্ত ক্লাবের সংখ্যাও বেড়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেটা চোখে পড়েছে সেটা হলো প্রতিটি পুজো কমিটি ফ্লেক্সের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীকে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা অনুদান দেবার জন্য যেমন ধন্যবাদ যা হয়েছেন তেমনি রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প ও সচেতনতামূলক প্রচারও করছেন।
একদিকে পুজোর জাঁকজমক যেমন বেড়েছে তেমনি প্রতিটি পুজো কমিটি নিজেদের মত করে অসহায় মানুষের হাতে নতুন বস্ত্র তুলে দিচ্ছেন। জামালপুরের পুজো কমিটি গুলি বাংলার যে কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ,সম্প্রীতি তার বার্তাই দিয়েছেন এই পুজোতে। হিন্দু মুসলিম সকলে মিলে আনন্দের সঙ্গে বাংলার সবচেয়ে বড় উৎসব অংশ নিচ্ছেন। মেহেমুদ খাঁন বলেন জামালপুর প্রমাণ করে দিলো এখানে সাম্প্রদায়িকতার কোনো ঠাঁই নাই। বিগত কয়েক বছর ধরে তিনি মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ হলেও প্রচুর পুজো কমিটি তাঁকে দিয়ে পুজোর উদ্বোধনে করাচ্ছেন। তিনি নত মস্তকে সেই সমস্ত পুজো কমিটিকে এবং তাঁর সদস্য দের প্রণাম জানান। তিনি বলেন রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী বার বার বলেন ধর্ম যার যার উৎসব সবার। মুখ্যমন্ত্রী বাংলার এই পুজোকে এক আলাদা মাত্রা এনে দিয়েছেন। সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের হেরিটেজ তকমা পেয়েছে বাংলার দুর্গা পূজা।এই জামালপুরে সকল হিন্দু ও মুসলিম ভাই বোনেরা আনন্দের সঙ্গে দুর্গা পুজোয় অংশ নিচ্ছেন। পুজো কমিটি গুলোতে হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে মুসলিম ভাইবোনেরাও আছেন। সত্যি এটাই পশ্চিমবঙ্গ।
মেহেমুদ খান বলেন, রাজ্য সরকার পুজো কমিটি গুলোকে যে অনুদান দিচ্ছেন তাতে করে প্রতিটা পুজো মণ্ডপে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের প্রচার ও নানা সচেতনতা মূলক প্রচারও করছেন। অলোক কুমার মাঝি বলেন মুখ্যমন্ত্রী যে অনুদান দিচ্ছেন পুজো কমিটিগুলোকে তাতে করে গ্রাম বাংলার পুজো গুলোও এক অন্য চেহারা নিয়েছে। পুজোর জৌলুস যেমন বেড়েছে তেমনি পুজোর সঙ্গে যুক্ত প্রতিটি মানুষের রোজগার বেড়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর যে কোনো ভাবনাই অনন্য। আলোকসজ্জা, মন্ডল, প্রতিমা, পরিবেশ সবেতেই মফস্বলের পুজো জেলার পুজোগুলোর সাথে পাল্লা দিচ্ছে।