Scrooling

রজতজয়ন্তী বর্ষে সংবাদ প্রভাতী পত্রিকা। সকল পাঠক-পাঠিকা বিজ্ঞাপনদাতা ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি শুভেচ্ছা # বর্ধমানে জাতীয় সড়কে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় ১১ পুণ্যার্থীর মৃত্যু। মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর # UGC NET 2025-এ অল ইন্ডিয়া র‍্যাঙ্ক-১ করেছেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের পিএইচডি স্কলার নিলুফা ইয়াসমিন # উচ্চ মাধ্যমিকের পর নিটেও রাজ্যে প্রথম বর্ধমানের রূপায়ণ পাল। # ষষ্ঠ সিন্ধু জিব্রাল্টার জয় করে ইতিহাসের পাতায় সায়নী # 'দাদাসাহেব ফালকে' সম্মানে ভূষিত হলেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী

বেঙ্গালুরু থেকে বাড়ি ফিরে বাংলাদেশী তকমার আতঙ্কে প্রহর গুনছেন জৌগ্রামের পলাশ ও শুক্লা, মেহেমুদ খানের আশ্বাস


 

বেঙ্গালুরু থেকে বাড়ি ফিরে বাংলাদেশী তকমার আতঙ্কে প্রহর গুনছেন জৌগ্রামের পলাশ ও শুক্লা, মেহেমুদ খানের আশ্বাস 


Atanu Hazra 
Sangbad Prabhati, 17 August 2025

অতনু হাজরা, জামালপুর : পারিবারিক আর্থিক অবস্থা খারাপ থাকায় সংসারের স্বচ্ছলতা আনতে কর্নাটকের বেঙ্গালুরুতে কাজে গিয়েছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুর ব্লকের জৌগ্রাম অঞ্চলের কলুপুকুরের বাসিন্দা পলাশ অধিকারী ও শুক্লা অধিকারী। সেখানেই ২০২২ সালে বাংলাদেশী সন্দেহে তাঁদের আটক করে পুলিশ। প্রায় দশ মাস জেলে আটক থাকার পর নথি পত্র দেখিয়ে জামিন পেলেও এখনো সেখানের আদালতে চলছে মামলা। সেখান থেকে তাঁরা চলে এলেও এখনও সেখানে গিয়ে কোর্টে হাজিরা দিতে হচ্ছে। সরকারি অনুদানে দুকামরা আসবেস্টোসের বাড়ি করে তারা। ২০২২ সালের জুন মাসে বাবা, মা, স্ত্রী ও পুত্র কে নিয়ে বেঙ্গালুরু যান। সেখানে দৈনিক মজুরীতে কাজ করতে থাকে তারা। কিন্তু কিছু দিন পরেই হঠাৎ বাংলাদেশী সন্দেহে ভারথুর থানার পুলিশ তাঁদের আটক করে। অন্যান্যদের ছেড়ে দেওয়া হলেও পলাশ ও শুক্লা কে গ্রেপ্তার করে। পরে অনেক তথ্য জমা দিয়ে ও বেঙ্গালুরু পুলিশ জামালপুরে এসে তদন্ত করে আদালতে জমা দিলে তারপর তাদের জামিন হয়। এর পরেও সেখানে তাঁরা পেটের টানে থেকে যায়। পরে বিভিন্ন জায়গায় বাঙালিদের ধরপাকড় দেখে তারা গ্রামে ফিরে আসে। 

কিন্তু এখনো তারা আতঙ্কে আছে। তাঁরা বলে খুব চিন্তায় আছেন তারা। কবে যে এই ঝামেলা থেকে তাঁরা মুক্তি পাবেন। আজ তাদের খোঁজ খবর নিতে তাঁদের বাড়িতে যান তৃণমূল কংগ্রেসের জামালপুর ব্লক সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মেহেমুদ খাঁন, পঞ্চায়েত প্রধান মল্লিকা মন্ডল ও অঞ্চল সভাপতি মৃদুল কান্তি মন্ডল সহ অন্যান্যরা। তাদের সাথে কথা বলে তাদের আশ্বস্ত করেন ভয়ের কোনো কারণ নেই। মেহেমুদ খাঁন বলেন, এর আগে যখন তাদের ওখানে গ্রেপ্তার করা হয় তখনও তাদের পাশে ছিলেন এখনো ব্লক প্রশাসন এবং দল তাদের পাশে থাকবে। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁদের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে বাইরের রাজ্যে কাজ করতে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন এক্ষেত্রেও তার অন্যথা হবে না বলেই তিনি মনে করেন। তিনি বলেন বিষয়টি তিনি দলের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বকে জানাবেন।