Scrooling

উচ্চ মাধ্যমিকের পর নিটেও রাজ্যে প্রথম বর্ধমানের রূপায়ণ পাল। # উচ্চমাধ্যমিক ২০২৫ প্রথম দশে ৭২ জন। প্রথম হয়েছে রূপায়ন পাল। রূপায়ন বর্ধমান সিএমএস হাইস্কুলের ছাত্র। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৭ ( ৯৯.৪ শতাংশ) # ২০২৫ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় রাজ্যে প্রথম রায়গঞ্জের করোনেশন হাইস্কুলের অদৃত সরকার। প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৬ নম্বর # ষষ্ঠ সিন্ধু জিব্রাল্টার জয় করে ইতিহাসের পাতায় সায়নী # বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ, শুভেচ্ছা বার্তা পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় # 'দাদাসাহেব ফালকে' সম্মানে ভূষিত হলেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী

প্রাক বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে জামালপুরে জেলা শাসক, পুলিশ সুপার সহ কর্তাব্যক্তিরা

 


প্রাক বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে জামালপুরে জেলা শাসক, পুলিশ সুপার সহ কর্তাব্যক্তিরা 


Atanu Hazra 
Sangbad Prabhati, 21 June 2025

অতনু হাজরা, জামালপুর : প্রাক বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে জামালপুর এলেন পূর্ব বর্ধমানের জেলা শাসক আয়েশা রাণী এ, পুলিশ সুপার সায়ক দাস। সঙ্গে ছিলেন এস ডি ও বুদ্ধদেব পান, এস ডি পি ও অভিষেক মন্ডল, বিধায়ক অলক কুমার মাঝি, সি আই বিশ্বজিৎ মন্ডল, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পূর্ণিমা মালিক, পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মেহেমুদ খান, এস ডি ও ইরিগ্রেশন নিলাদ্রী দে, বিডিও পার্থ সারথী দে, জামালপুর থানার ওসি কৃপাসিন্ধু ঘোষ, জাড়গ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নূরজাহান বিবি সাহানা, জোতশ্রীরাম গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আরিফা মন্ডল সহ অন্যান্যরা। 

আজ তাঁরা জারোগ্রাম ও জোতশ্রীরাম অঞ্চলের পাইকপারা, অমরপুর ঘাট, সাজামানতলা প্রভৃতি জায়গা দামোদর নদীর তীরবর্তী অঞ্চলগুলো ঘুরে দেখেন ও সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলেন। ডিভিসি হঠাৎ করেই জল ছাড়লে যাতে পরিস্থিতি হাতের বাইরে না যায় তাই আগাম সতর্ক থাকার জন্য তিনি নিজে খতিয়ে দেখতেই এসেছেন। এরই পাশাপাশি তিনি স্থানীয় সাজামানতলা প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘুরে দেখেন। ও স্কুলের বাচ্চাদের হাতে চকলেট তুলে দেন। 

স্থানীয়দের পক্ষ থেকে জেলা শাসকের কাছে পাইকপাড়ায় একটি ফ্লাড শেল্টার, সাজামানতলা ও পাইকপারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এসিআর এর আবেদন করেন। জেলা শাসক বিষয়টা দেখবেন বলে জানান। জেলা শাসক আয়েশা রাণী এ বলেন, কয়েকদিন বৃষ্টিব ফলে নদীতে জল বাড়ায় বর্তমানে কী পরিস্থিতি তা খতিয়ে দেখতে তিনি জামালপুর এসেছেন। 

 হঠাৎ করে বন্যা পরিস্থিতি হলে সেক্ষেত্রে জেলা প্রশাসন কতটা তৈরী আছে তার উত্তরে তিনি বলেন, জেলা প্রশাসন তার সাথে এস পির নেতৃত্বে পুলিশ প্রশাসন , বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর, ব্লক প্রসাশন সবাই প্রস্তুত আছে। তিনি আরো জানান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর চেষ্টায় বাংলার বাড়ি প্রকল্পে এই এলাকার প্রচুর মানুষ সিমেন্টের বাড়ি করছেন তাতে বন্যার সময় মাটির বাড়ি পড়ে যাবার ভয়টা থাকবে না। বিধায়ক অলক কুমার মাঝি বলেন যত দিন যাচ্ছে এই এলাকা গুলোর পরিস্থিতি অনেকটাই পাল্টেছে। কেন্দ্র সরকারের বঞ্চনা সত্ত্বেও বাংলার বাড়ি প্রকল্পে এই এলাকার প্রচুর মানুষ ঘর পেয়েছেন। আজ বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ডি এম এবং এস পি সাহেব এসেছিলেন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে। তিনি নিজেও এই বিষয় নিয়ে মন্ত্রীর সাথে কথা বলেছেন। 

মেহেমুদ খাঁন বলেন, ব্লকে আজ প্রাক বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ডি এম সাহেবা ও এস পি সাহেব এসেছিলেন তাঁরা সব খতিয়ে দেখলেন। তাঁর কাছে এলাকার মানুষ কিছু দাবী জানিয়েছেন। তিনি বলেন, রাজ্যের মা মাটি মানুষের সরকারের উন্নয়নের ছোঁয়া এখানেও লেগেছে। বাংলার বাড়ি প্রকল্পে অনেকেই এখানে বাড়ি পেয়েছে। তবে এ বিষয়ে তিনি ডি এম ম্যাডামকে বিশেষ ধন্যবাদ জানান। 

 পরে ব্লকে এসে তিনি জগন্নাথ দেবের মহাপ্রসাদ প্যাকেটিংয়ের কাজ ঘুরে দেখেন।