বাংলার বাড়ি প্রকল্পে ঘর পেয়ে খুশী বানভাসী এলাকার মানুষ, মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ
Atanu Hazra
Sangbad Prabhati, 25 May 2024
অতনু হাজরা, জামালপুর : বন্যার সময় করুণ অবস্থা হতো জামালপুর ব্লকের বেশ কয়েকটি অঞ্চলের মানুষের। কারণ বন্যায় তাদের মাটির বাড়ি ভেঙে যেত। আর তাদের আশ্রয় নিতে হতো ত্রাণ শিবিরে। বিশেষ করে জোতশ্রীরাম
অঞ্চলের শিয়ালি, মাঠ শিয়ালি, কোরা প্রভৃতি এলাকার মানুষদের। এই বছরেও জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এই এলাকাগুলি। নিজেদের ঘর বাড়ি সব ভেঙে যায়। সেই সময়ে রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস আসেন এই এলকাগুলি পরিদর্শনে। পূর্ব বর্ধমানের জেলা শাসক হিসাবে যোগদান করেই বার বার জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ছুটে আসেন জেলা শাসক আয়েশা রানী এ। নিজে যেমন ত্রাণ বণ্টন করেন এবং প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি নিজে ঘুরে ঘুরে দেখেন।
আর আজ এই পুরো এলকার মানুষ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলার বাড়ি প্রকল্পে ঘর পেয়েছেন। নতুন বাড়ি তৈরি করছেন ওই এলাকার মানুষ। শুধু তাই নয় কোরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খুব খারাপ অবস্থা থাকায় গ্রাম বাসীদের অনুরোধে ডি এম ম্যাডামের উদ্যোগে সেখানে নতুন করে তৈরি হচ্ছে স্কুল। এলাকায় খোঁজ নিতে গেলে সেখানকার মানুষ প্রত্যেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। আর তাঁদের ভাবনা নেই বাড়ি ভেঙে পড়ে যাবার। তাঁরা ধন্যবাদ জানান ডি এম ম্যাডামকে। এলাকার মানুষ আলাদা ভাবে ধন্যবাদ জানান এস ডি ও বুদ্ধদেব পান, পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মেহমুদ খাঁন, বিডিও পার্থ সারথী দে, বিধায়ক অলক কুমার মাঝি, পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি ভূতনাথ মালিক সহ তাবারক আলি মন্ডল-কে।
মেহেমুদ খান বলেন বন্যা কবলিত এলাকায় প্রতিবছরই মাটির ঘর ভেঙে গিয়ে অসুবিধায় পড়তেন এই এলাকার মানুষরা। কিন্তু তিনি ধন্যবাদ জানান মা মাটি মানুষের সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এই এলাকার সকল মানুষ বাংলার বাড়ি প্রকল্পে ঘর পেয়েছে। নদীর ধারের এই অসহায় মানুষগুলোর স্থায়ী সমস্যার সমাধান হলো। তিনি আরো বলেন আইএএস আয়েশা রানী এ পূর্ব বর্ধমান জেলার জেলা শাসক হিসাবে যোগদান করার পরই বার বার এসেছেন বন্যা পরিস্থিতি ও বন্যা পরবর্তী পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে। ছিলেন এস ডি ও সাহেব, এম এল এ সাহেব, বিডিও সাহেব সহ অন্যান্যরা। তিনি নিজে গিয়ে দেখে জেলা প্রশাসনকে রিপোর্ট করেছিলেন।
বিজেপির পক্ষ থেকে জামালপুর ১ মন্ডল সভাপতি প্রধান চন্দ্র পাল বলেন, জোতশ্রীরাম অঞ্চলের ওই গ্রাম গুলিতে নদী বাঁধ সংলগ্ন এলাকার গরীব মানুষেরা ঘর পেয়েছেন তার জন্য তিনি সাধুবাদ জানাচ্ছেন। তার সাথে সাথে তিনি আরো জানান এখনও অনেক মানুষ আছেন যাঁরা ঘর পাবার যোগ্য কিন্তু ঘর পাননি। তাঁরাও যাতে ঘর পান সে বিষয়ে তিনি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
বিডিও পার্থ সারথী দে তিনি জানান, ডি এম ম্যাডাম নিজে এসে ওই এলাকাগুলো দেখেছেন এবং ওখানে যাঁদের প্রকৃত ঘর দরকার ছিল সবাই ঘর পেয়েছে। তিনি বলেন সরকারি প্রকল্পের যথযথ রূপায়ণ করাই প্রশাসনের কাজ। তিনি আরো বলেন দ্বিতীয় কিস্তিতে ব্লকে ৪৭২৬ জনের টাকা ঢুকেছে তার মধ্যে জোতশ্রীরাম অঞ্চলেই ৬৫৯ জনের বাড়ি করার দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দেওয়া হয়েছে। তিনি ডি এম ম্যাডাম ও এস ডি ও সাহেব কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।