২১৮ জন ল্যাবরেটরি অ্যাসিস্ট্যান্টকে পুনর্বহালের দাবিতে সরব জাতীয় শিক্ষক ড. সুভাষ চন্দ্র দত্ত
Sangbad Prabhati, 25 March 2025
ডিজিটাল ডেস্ক রিপোর্ট, সংবাদ প্রভাতী : পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অধীনে বিদ্যালয়গুলিতে বিভিন্ন বৃত্তিমূলক শিক্ষায় ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট বিষয়ে মোট ২১৮ জন ল্যাবরেটরি অ্যাসিস্ট্যান্টের কাজ চলে গিয়েছে বেশ কিছু কাল। যদিও তাঁদের পরিষেবা ছিল সন্তোষজনক। বিভিন্ন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সেকথা স্বীকারও করেন।
এই বিষয়ে সম্প্রতি সরব হয়েছেন কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক ড. সুভাষচন্দ্র দত্ত। তিনি জানিয়েছেন, আমাদের বিদ্যালয়েও কিছু বছর দুজন ল্যাবরেটরি অ্যাসিস্ট্যান্ট সাফল্যের সঙ্গে কাজ করেছেন। সঙ্গে এটাও যোগ করতে পারি, হেলথ কেয়ার বাদেও বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের বিভিন্ন ল্যাবটারি বিষয় তথা ভূগোল, জীবন বিজ্ঞান, পরিবেশ, রসায়ন, ডেটা সাইন্স, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সহ রোবটিক সাইন্স ল্যাবে তাঁদের সহায়তা পেলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের সুবিধে হয়। আমাদের বিদ্যালয়ে তাঁরা দক্ষতার সঙ্গে এই দায়িত্ব পালন করেছেন। বিশেষত উচ্চমাধ্যমিক স্তরে ছাত্রছাত্রীদের প্র্যাকটিকাল ক্লাস ঠিকভাবে পরিচালনা করতে ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্টদের ভূমিকা অপরিহার্য বলে মনে করি।
বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছেন, রাষ্ট্রপতি পুরস্কার ও শিক্ষারত্ন পুরস্কার প্রাপ্ত জাতীয় শিক্ষক ড. দত্তের শিক্ষা ও পরিবেশ বিষয়ক কিছু পরামর্শ ইতিমধ্যে বিভিন্ন পর্যায়ে গৃহীত হয়েছে। এই বিষয়েও তাঁর মতো শিক্ষাবিদের মূল্যবান পরামর্শ নিশ্চয়ই বিবেচিত হবে।
একবিংশ শতাব্দীতে স্কিলড বেল্ট এডুকেশন বা হাতে কলমে শিক্ষা কে শক্তপোক্ত ভিতের উপর দাঁড় করাতে হলে ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ভোকেশনাল ট্রেনারের সঙ্গে অবশ্যই থাকা দরকার ।
আজ কাঞ্চননগর ডি এন দাস হাই স্কুলের এন এস কিউ এফ এর দুজন ভোকেশনাল এর ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট, প্রধান শিক্ষক তথা জাতীয় শিক্ষক ও শিক্ষারত্ন জাতীয় মেন্টার ও স্টেম এডুকেটর, পরিবেশবিদ ও গবেষক এর কাছে কৃতজ্ঞতা সহ কিছু কথা জানাবার জন্য উপস্থিত হন।
ল্যাবরেটরি অ্যাসিস্ট্যান্টদের সংগঠনের পক্ষ থেকে আজ একটি অনুষ্ঠানে ড. দত্তকে সম্মাননা জ্ঞাপন করা হয়।