Scrooling

উচ্চমাধ্যমিক ২০২৫ প্রথম দশে ৭২ জন। প্রথম হয়েছে রূপায়ন পাল। রূপায়ন বর্ধমান সিএমএস হাইস্কুলের ছাত্র। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৭ ( ৯৯.৪ শতাংশ) # ২০২৫ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় রাজ্যে প্রথম রায়গঞ্জের করোনেশন হাইস্কুলের অদৃত সরকার। প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৬ নম্বর # ষষ্ঠ সিন্ধু জিব্রাল্টার জয় করে ইতিহাসের পাতায় সায়নী # বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ, শুভেচ্ছা বার্তা পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় # সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ২৫ হাজার ৭৫২ জন শিক্ষকের চাকরি গেল # আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি বিজয়ী ভারত, নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে তৃতীয় বারের জন্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হল ভারত # প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়, মুখ্যমন্ত্রীর শোকজ্ঞাপন # বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাজ্যসভার সাংসদ হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় # 'দাদাসাহেব ফালকে' সম্মানে ভূষিত হলেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী

চণ্ডীমাতার পুজোকে কেন্দ্র করে মেতে উঠেছে পূর্ব বর্ধমানের বিঘা গ্রাম


 

চণ্ডীমাতার পুজোকে কেন্দ্র করে মেতে উঠেছে পূর্ব বর্ধমানের বিঘা গ্রাম


Sangbad Prabhati, 11 February 2025

ডিজিটাল ডেস্ক রিপোর্ট, সংবাদ প্রভাতী : গ্রাম্য দেবী চণ্ডীমাতার পুজোকে কেন্দ্র করে মেতে উঠেছে বিঘা গ্রাম। মন্তেশ্বর থানার বিঘা গ্রামে মাঘী পূর্ণিমার আগের দিন চতুর্দশীতে প্রতিবছর চণ্ডীদেবীর পুজো হয়। এই পুজোকে কেন্দ্র করে গ্রামের হিন্দু মুসুলমান সহ সব সম্প্রদায়ের মানুষ সামিল হন। ছোট্ট গ্রামের হিন্দু মুসুলমানের পাশাপাশি বাস। এই পুজোতে হিন্দু বাড়িতে যেমন মেয়ে জামাই আত্মীয় স্বজন আসেন ঠিক তেমননি প্রত্যেক মুসলমান বাড়িতেও আসে। এই পুজো গ্রামের সকলের। মেলা, নাগরদোলা, খেলা সহ মিষ্টি, নানা খাবারের দোকান বসেছে। এই পুজোর বিশেষ ঐতিহ্য হলো মই করে পুজোর নৈবেদ্য মাথায় করে নিয়ে আসে পুজো তলায়। 

গ্রামের উত্তর পাড়া থেকে ঢাক ঢোল বাজিয়ে মই করে নৈবেদ্যের সারি বের হয়। ধীরে ধীরে পায়ে পায়ে পুজো এসে হাজির হয় দক্ষিন পাড়ার চণ্ডীতলায়। মন্দিরের চারদিকে চার পাড়ার ব্রাহ্মণরা একসাথে পুজো করেন। এরপর একে একে ছাগ বলিদান শুরু হয়। সবটাই হয় গ্রাম্য নিয়ম ও নীতি মেনে। সব শেষে শুকনো তালপাতা জ্বালিয়ে মায়ের ভোগ রান্না হয় মন্দিরের এক কোণে। সেই ভোগ পরে বিতরণ করা হয়। রাতে দুদিন ধরে বাউল, কীর্তন, কবিগান, যাত্রা সহ নানান অনুষ্ঠান হয়। 

গ্রামের পুজারী শুভেন্দু চ্যাটার্জী জানান, মায়ের পুজোর আদিবাস আগের দিন সন্ধ্যায় হয়। তারপর চতুর্দশীতে মায়ের পুজো হয়। সবটাই নিয়ম মেনে হয়। এবং শৃঙ্খলা মেনে হয়। গ্রামের সকলে সেটা মেনে চলেন। এখন যিনি মায়ের বলিদান করেন, সেই হারাধন কর্মকার বললেন, আমার পূর্ব পুরুষ মায়ের কাছে বলিদানের কাজ করে এসেছে, এখন আমি করি। প্রায় শতাধিক ছাগ ভেড়া বলিদান হয়। সারা গ্রামের একটা তালিকা আছে সেটা অনুযায়ী পরপর বলিদান হয়। 

গ্রামের শিক্ষক সুখেন্দু সাঁই জানান, এই পুজো কত পুরুষ আগে সৃষ্টি হয়েছে জানা নেই, আনুমানিক পাঁচশো বছর হবে। চাষী প্রধান গ্রামের সবাই ধান তোলা এবং এখন বোরো চাষের আগে এই পুজোতে হিন্দু মুসলিম সবাই মেতে ওঠেন। 

গ্রামের লিয়াকত সেখ জানালেন, বিঘা গ্রামের এই পুজো আমাদের সকলের। আমাদের মেয়ে জামাই আত্মীয়রা সব এসেছে। তিন দিন ধরে সবাই একসাথে আনন্দে মেতে উঠি। আমাদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ নেই। হিন্দুরাও যেমন আমাদের বাড়িতে আসে আমরাও ওদের বাড়ি যাই খেতে। এটা একটা মিলনমেলা।