Sangbad Prabhati, 4 January 2025
অতনু হাজরা, জামালপুর : চার হাজার মানুষের হাতে কম্বল তুলে দিলো নাগরিক জনকল্যাণ সোসাইটি। পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে একটি জনপ্রিয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা হলো নাগরিক জন কল্যাণ সোসাইটি। সারা বছর নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে মানুষের পাশে থেকে মানুষের জন্য কাজ করে যায়। কখনও অসহায় দুঃস্থ মানুষের হাতে খাদ্য সামগ্রী, তো কখনও দুর্গা পুজোয় মানুষের হাতে নতুন বস্ত্র তুলে দেওয়া, ঈদে অসহায় মানুষকে খাদ্য সামগ্রী ও নতুন বস্ত্র উপহার, কখনও করোনা কালে একটানা মানুষের কাছে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া, আবার এই সময়েই মহিলাদের দিয়ে এক সপ্তাহ ধরে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে থাকে তাঁরা। যার মূল দায়িত্বে থাকেন সংস্থার সভাপতি মেহেমুদ খান। তাঁকে সহায়তা করেন কোষাধ্যক্ষ ভূতনাথ মালিক। প্রতিবছর নাগরিক জনকল্যাণ সোসাইটি শীত কালে কম্বল উপহার দেন। মেহেমুদ খান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হলেও রাজনীতির বাইরে বেরিয়ে তাঁর এই কাজ জনমানসে গভীর প্রভাব ফেলেছে। আজ জামালপুর নেতাজী ময়দানে প্রায় ৪০০০ অসহায় দুঃস্থ মানুষকে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কম্বল উপহার দেন। এই অনুষ্ঠানে প্রায় কয়েক হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্না, বিধায়ক অলক কুমার মাঝি, বর্ধমান সদর দক্ষিণ মহকুমা শাসক বুদ্ধদেব পান, বিডিও পার্থ সারথী দে, বিশিষ্ট সমাজসেবী রাসবিহারী হালদার, স্বরাজ ঘোষ দুই জেলা পরিষদের সদস্য কল্পনা সাঁতরা ও শোভা দে সহ অন্যান্যরা। মন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এটাই চান সরকারী সাহায্য ছাড়াও জনপ্রতিনিধিরা রাজনীতির সাথেও যুক্ত আছেন আবার বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গেও যুক্ত আছেন, তাঁরা এগিয়ে এসে মানুষের পাশে দাঁড়ান।
তিনি নাগরিক জন কল্যাণ সোসাইটির সভাপতি মেহেমুদ খানের ভূয়ষী প্রশংসা করেন। সারা বছর বিভিন্ন ভাবে মানুষের পাশে থেকে মানুষের সেবা মূলক কাজ করে যাচ্ছেন বলে। সদর দক্ষিণ মহকুমা শাসকও মেহমুদ খানের প্রশংসা করেন এইভাবে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। সরকারের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলি যদি এই ভাবে এগিয়ে আসেন তাহলে মানুষের সমস্যা অনেক কমে যাবে। বিধায়ক অলক কুমার মাঝি মেহেমুদ খানের প্রশংসা করে এই সোসাইটির সদস্য হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।মেহেমুদ খান বলেন তাঁদের এই সংস্থার বয়স হলো ২০ বছর। তাঁরা বিভিন্ন ভাবে বছরের বিভিন্ন সময় মানুষের পাশে দাঁড়াবার চেষ্টা করেন। আর তারই একটা প্রয়াস আজকের এই কম্বল উপহার।
যাঁরা তাঁদের ডাকে সাড়া দিয়ে এই উপহার নিলেন তাঁদের তিনি প্রণাম ও কৃতজ্ঞতা জানান। এইভাবেই আগামীতে আরও কাজ করে যেতে চান তিনি। তিনি আরো বলেন এই কাজের অনুপ্রেরণা পেয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে। তাঁকে দেখেই তিনি এই কাজ করে যাবার চেষ্টা করেন।