তারামা ট্রাস্টের উদ্যোগে গণ ভাইফোঁটা
অতনু হাজরা, জামালপুর : প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও জামালপুরের মহিন্দরের তারামা ট্রাস্ট তাঁদের মন্দির প্রাঙ্গণে গণ ভাইফোঁটার আয়োজন করে। তারামা মন্দিরে মায়ের পূজা অর্চনা ছাড়াও এখানে রয়েছে একটি বৃদ্ধাশ্রম। সারা বছর নানা সামাজিক কাজ করে থাকে তারামা ট্রাস্ট। এলাকার সকল ছেলে মেয়েদের নিয়ে তাঁরা এই গণ ভাইফোঁটার আয়োজন করে। এলাকার অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া ছেলে মেয়েরা অংশ গ্রহণ করে। মন্দির প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয় আজকের এই অনুষ্ঠান।
এই অনুষ্ঠানে প্রতিবছর উপস্থিত থাকেন জামালপুর ব্লকের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ও তারামা ট্রাস্টের সদস্য মেহেমুদ খাঁন। তাঁর সাথে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সদস্য কল্পনা সাঁতরা, পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ শিপ্রা ওঝা, পারাতল ১ পঞ্চায়েতের উপ প্রধান উত্তম হাজারী সহ অন্যান্যরা।
শতাধিক ছোট ছোট বাচ্চারা উপস্থিত হয়ে বোনেরা ভাইদের কপালে ফোঁটা দেয়। সকলের জন্য থাকে খাওয়া দাওয়ার ব্যাবস্থা। মেহেমুদ খান বলেন, প্রতিবছরই তিনি এখানে আসেন। এখানে এসে বোনেদের কাছ থেকে ফোঁটা নেন। তিনি এই ট্রাস্টের সম্পাদক বাপিন ঘোষের ভুয়সী প্রশংসা করেন। এই ভাবে এলাকার সমস্ত ছেলে মেয়েদের নিয়ে আমাদের সংস্কৃতির একটি অঙ্গ এই ভাইফোঁটার যে আয়োজন করেন তা সত্যি প্রশংসার যোগ্য। তিনি বলেন প্রতিবছরই তিনি এখানে আসার চেষ্টা করবেন। বাপিন বাবু বলেন, তিনি নিজে কিছু করছেন না মা তারা তাঁকে দিয়ে করাচ্ছেন। গ্রামের পিছিয়ে পড়া কিছু ছেলে মেয়েদের মধ্যে একটু খুশি দেবার জন্য বা ভাতৃত্ব বোধ টিকিয়ে রাখতে তাঁর এই প্রয়াস।
অপর দিকে প্রতিবছরের মত এবছরও জামালপুর ব্লক তৃণমূল পার্টি অফিসে ১৩ টি অঞ্চল থেকে জেলা পরিষদের সদস্য, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও কর্মাধ্যক্ষ, বিভিন্ন পঞ্চায়েতের প্রধান, উপ প্রধান ও গোষ্ঠীর প্রায় ৭০ থেকে ১০০ জন মিলে ভাইফোঁটার আয়োজন করেন। তাঁরা সকলে পার্টি অফিসে এসে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি মেহমুদ খাঁন এর মঙ্গল কামনায় তাঁর কপালে ভাইফোঁটা দেন। মেহেমুদ খান ভাইফোঁটা নিয়ে উপস্থিত সকল বোনেদের আশীর্বাদ করেন। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পূর্ণিমা মালিক বলেন, দাদা তাঁদের সকলের অভিভাবক। সারা বছর তাঁরা সকলেই দাদার মঙ্গল কামনা করেন। কিন্তু আজকের এই বিশেষ দিনে তাঁরা সকলেই ফোঁটা দিয়ে দাদার সুস্থতা ও মঙ্গল কামনা করেন।
দাদা যেন এই ভাবেই তাঁদের আগলে নিয়ে পরিবারের মত তাঁদের পাশে থাকেন। মেহেমুদ খান বলেন, তাঁর কাছে আজকের দিনটা সত্যিই খুব আনন্দের দিন। তিনি নিজে মুসলিম হলেও এত হিন্দু সম্প্রদায়ের বোনেরা আজ তাঁকে তাঁর মঙ্গল কামনায় ফোঁটা দিলেন এর থেকে বড় পাওনা জীবনে আর কী থাকতে পারে ? তিনিও সকল বোনেদের মঙ্গল কামনা করেন।