শিক্ষকের বিদায় সম্বর্ধনা অনুষ্ঠান
Sangbad Prabhati, 14 November 2024
অতনু হাজরা, গোপালপুর : পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের গোপালপুর মুক্তকেশী বিদ্যালয় একটি ইতিহাস প্রসিদ্ধ বিদ্যালয়। পশ্চিমবঙ্গের এই একটি মাত্র বিদ্যালয়ই রবিবার খোলা থাকে। সোমবার ছুটি থাকে।
১৪ নভেম্বর এই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দেবব্রত মুখোপাধ্যায়ের বিদায় সম্বর্ধনা অনুষ্ঠান করা হয়। তিনি দীর্ঘদিন এই বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। তাঁর এই বিদায় সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জামালপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মেহেমুদ খান, পরিচালন সমিতির সভাপতি সৌরভ ব্রহ্মচারী, স্থানীয় আবুইঝাটি ২ পঞ্চায়েত প্রধান ঝর্না দাস, উপ প্রধান শ্যামল চট্টোপাধ্যায়, স্থানীয় সাজসেবী রমেন্দ্রনাথ কোনার ও মৃদুল কান্তি মন্ডল, বিশিষ্ট শিক্ষক প্রবীর নায়েক, কুন্তল চট্টোপাধ্যায়, পীযূষ দাস, সিদ্ধার্থ বন্দোপাধ্যায়,সাংবাদিক ও শিক্ষক অতনু হাজরা সহ অন্যান্যরা।
প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন দেবব্রত মুখোপাধ্যায় ও মেহেমুদ খান। দেবব্রত বাবু তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির ব্লক সভাপতিও ছিলেন দীর্ঘদিন। মেহেমুদ খান তাঁর বক্তব্যে দেবব্রত বাবুর ভুয়সী প্রশংসা করেন। এত শান্ত, ভদ্র গুণী মানুষ আজকের দিনে বিরল। তিনি দক্ষতার সাথে তাঁর বিদ্যালয়ের ও ব্লকে তাঁর দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রয়োজনে সব সময় তাঁর সহযোগিতা পাওয়া গেছে।
তিনি তাঁর অবসর জীবন ভালো কাটুক এই কামনা করেন। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুমন্ত ঘোষ বলেন, দেবব্রত বাবু তাঁদের অভিভাবকের মত ছিলেন। তাঁদেরকে সর্বদা আগলে রাখতেন তিনি। তাঁর অবসর নেওয়া বিদ্যালয়ের পক্ষে অপূরণীয় ক্ষতি। আবেগঘন ভাবে দেবব্রত বাবু বলেন আজকের এই অনুভূতি, বলে বোঝাবার নয়। একদিকে যেমন তাঁর হৃদয় বেদনাবিদুর তাঁর কন্ঠ রুদ্ধ হয়ে আসছে যে এত দিনের স্কুলের সাথে তাঁর সম্পর্ক ছিন্ন হলো বলে।
অপর দিকে তাঁর অত্যন্ত ভালো লাগছে তাঁর মত একজন সাধারণ মানুষের বিদায়ের দিনে এত গুণী মানুষ, প্রাক্তন ছাত্র তাঁকে মনে রেখে এসেছেন এ তাঁর কাছে এক বিরাট প্রাপ্তি। তিনি সহকর্মীদের ধন্যবাদ জানান তাঁর এই বিদায়ের দিনটিকে এমন স্মরণীয় করে রাখার জন্য। স্কুলের প্রয়োজনে যখন তাঁকে প্রয়োজন পড়বে তাঁকে অবশ্যই পাশে পাওয়া যাবে। আজ বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সারা দিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানটি সুন্দরভাবে সঞ্চালনা করেন শিক্ষিকা পায়েল চক্রবর্তী ও শিক্ষক শ্যামসুন্দর আচার্য্য।