কোজাগরী লক্ষ্মী পূজার মাহাত্ম্য, মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ কি ভাবে পাওয়া যায়
Sangbad Prabhati, 16 October 2024
জয়তী ভৌমিক, ডিজিটাল ডেস্ক : ধনসম্পত্তি ও সমৃদ্ধির দেবী মা লক্ষ্মী বছরের প্রতি বৃহস্পতিবার ঘরে ঘরে পূজিতা হন। এছাড়াও বছরের বিভিন্ন সময়ে সাড়ম্বরে মা লক্ষ্মী দেবীর পুজো হয়। কিন্তু আশ্বিন মাসের শেষ পূর্ণিমায় মা লক্ষ্মী দেবীর আরাধনার বিশেষ মাহাত্ম্য আছে। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী মনে করা হয় আশ্বিনের শেষ পূর্ণিমায় ধনসম্পত্তি ও সমৃদ্ধির দেবী মা লক্ষ্মী স্বর্গ থেকে মর্ত্যে নেমে আসেন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রত্যেক মানুষকে আশীর্বাদ করেন তিনি। তাই রাত জেগে মা লক্ষ্মীর আরাধনার প্রচলন আছে। ঘরের দরজা বন্ধ থাকলে মা লক্ষ্মী স্বর্গ থেকে মর্ত্যে নেমে এসে মানুষের ঘরে ঢুকতে পারেন। তাহলে মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ থেকে বঞ্চিত হবেন। সেই বিশ্বাস থেকেই কোজাগরি লক্ষ্মী পূজার প্রচলন। এখনো অনেকের বাড়িতেই দেখা যায় কোজাগরি পূর্ণিমার রাতে ধুপ দ্বীপ জ্বালিয়ে গোটা বাড়ি আলোকিত করে মা লক্ষ্মীর আরাধনায় ব্রতী হতে। তবে আশ্বিনের এই শেষ পূর্ণিমায় রাত জাগা ছাড়াও পূর্ণিমার তিথি অনুযায়ী দিন এবং রাত বিভিন্ন সময়েই লক্ষ্মী পূজার প্রচলন রয়েছে। কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর আয়োজনে পূর্ণিমার রাতে খোলা আকাশের নীচে ভক্তি ভরে ক্ষীর রাখার প্রচলনও রয়েছে। মনে করা হয়, খোলা আকাশের নীচে সেই ক্ষীরে পূর্ণিমার চাঁদের আলো এসে পড়ে। ভক্তদের বিশ্বাস স্বর্গ থেকে মর্ত্যে নেমে মা লক্ষ্মী সেই অর্ঘ্য গ্রহণ করেন এবং সন্তুষ্ট হয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরিবারের সকলকে আশীর্বাদ করেন।