Chief Minister's administrative meeting
বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বর্ধমানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর প্রশাসনিক বৈঠক
Sangbad Prabhati, 23 September 2024
ডিজিটাল ডেস্ক রিপোর্ট, সংবাদ প্রভাতী : রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন ৷ সোমবার পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে সারলেন ৷ কেন্দ্রীয় সংস্থা ডিভিসির (দামোদর ভ্যালি করপোরেশন) জল ছাড়া নিয়ে নিজের অসন্তোষ এর কথা জানালেন৷ দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যেই বর্ধমানে তিনি সাংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের জানান,
বর্তমান সময়ে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ মাধ্যম যেন প্রকৃত তথ্য তুলে ধরেন৷ শুধুই টিআরপি পাওয়ার জন্য খবর যেন না করেন ৷ প্রতিটি সংবাদ মাধ্যমের নিজস্ব দায়িত্ব আছে সঠিক সংবাদ পরিবেশন করার৷ বন্যা কবলিত এলাকা তিনি পরিদর্শন করছেন এবং প্রতিটি সাধারন মানুষের জন্য শুকনো খাবার, পানীয় জল, থাকার জন্য ত্রিপল এবং রান্নার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন৷ তিনি জানিয়েছেন, বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা শস্যবিমার টাকা পাবেন, এবং ধসে যাওয়া মাটির বাড়িগুলির জন্য সার্ভে করে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বিডিও সহ সকল কর্মকর্তাদের মাঠে নেমে কাজ করার জন্য বলেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট নির্দেশ, মানুষের কোনো সমস্যা না হয় সেদিকে সদা নজর রাখতে হবে।
সোমবার বর্ধমানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এর সঙ্গে জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে ছিলেন মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, মলয় ঘটক, স্বপন দেবনাথ, প্রদীপ মজুমদার, সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরি, পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামা প্রসন্ন লোহার, সাংসদ ডাঃ শর্মিলা সরকার, জেলা শাসক কে রাধিকা আইয়ার, পুলিশ সুপার অমনদীপ সহ তৃণমূল কংগ্রেসের দুই বর্ধমান জেলার সভাপতি তথা বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চ্যাটার্জী, নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী এবং পূর্ব বর্ধমান জেলার সকল বিধায়ক, জামালপুরের ব্লক সভাপতি মেহেমুদ খান, রায়না ১ ব্লক সভাপতি বামদের মন্ডল এবং জেলার প্রশাসনিক আধিকিরিকরা।
বর্ধমানে প্রশাসনিক বৈঠক শেষ করেই তিনি রওনা দেন দুর্গাপুরের উদ্দেশ্যে ৷ জানা গেছে, মঙ্গলবার তিনি বীরভূম জেলার কিছু এলাকা পরিদর্শন করবেন।
গত কয়েকদিনের একটানা বৃষ্টিতে এমনিতেই ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাজ্যের ধান, পান, ফুল, সব্জি চাষ। তার উপর কংসাবতীর বাঁধ ভেঙে ডুবে গিয়েছে পাঁশকুড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা। বন্যার পাশাপাশি নিকাশী নালা সংস্কার না হওয়ার জেরে তমলুক, পাঁশকুড়া, কোলাঘাট, ময়না, পটাশপুর, ভগবানপুর, হলদিয়া’র বহু জায়গা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বিপুল হারে।