অমরপুরে শহীদ স্মরণে ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব
Sangbad Prabhati, 14 September 2024
অতনু হাজরা, জামালপুর : আজকের দিনেই ২০১০ সালে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে অমরপুর এলাকায় সিপিএমের হার্মাদ বাহিনীর হাতে প্রাণ হারাতে হয়েছিল তিন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী পাঁচুগোপাল রুইদাস, ইসা হক মল্লিক ও উত্তম ভুল কে। তাঁদের অপরাধ ছিল সেই সময় সিপিএমের আমলে তাঁরা তৃণমূল কংগ্রেস করতেন। তাঁদের এই মৃত্যুতে শোরগোল পড়ে যায় জামালপুর তথা রাজ্য রাজনীতিতে। ছুটে আসেন তৎকালীন বিরোধী নেত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সেদিনই বলেছিলেন এই শহীদদের আত্মবলিদান বিফলে যাবে না। সত্যিই তাই হয়েছে। শহীদদের রক্তের বিনিময়ে ২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় এসেছে। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি কিন্তু শহীদদের ভোলেননি। রাজ্যের সমস্ত জায়গায় সম্মান ও শ্রদ্ধার সাথে শহীদদের স্মরণ করা হয়।
আজ জামালপুরের অমরপুর চৌমাথায় জামালপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই তিনজনের স্মরণ সভা করা হয়। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের জামালপুর ব্লক সভাপতি মেহেমুদ খান, বিধায়ক অলক কুমার মাঝি, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পূর্ণিমা মালিক, সহ সভাপতি ভূতনাথ মালিক, জেলা পরিষদের সদস্য শোভা দে, শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি তাবারক আলী মন্ডল, সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি ওয়াসিম সরকার, অঞ্চল সভাপতি তপন দে সহ অন্যান্যরা। শহীদ বেদীতে গিয়ে তাঁরা মাল্যদান করে শহীদদের শ্রদ্ধা জানান। পরে এখানেই একটি সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিধায়ক বলেন, শহীদদের আত্মবলিদান বিফলে যায়নি। আজ দল ক্ষমতায় এসেছে এই মানুষগুলোর আত্মবলিদানের জন্যই। সিপিএমের এই অত্যাচার আজও মানুষ ভুলতে পারে নি।
তাই নির্বাচনে বার বার তাদের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। কিন্তু এই সময় বিরোধীরা নানা ভাবে চক্রান্ত করছে তাদের সেই ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না। তিনি এই তিন শহীদ ও তাঁদের পরিবারের উপস্থিত সদস্যদের নতমস্তকে প্রণাম জানান। ব্লক সভাপতি তাঁর বক্তব্যে সেই সেদিনের অনেক স্মৃতি রোমন্থন করেন। এই শহীদদের মৃতদেহ নিয়ে আসা নিয়েও পুলিশের সাথে অনেক সমস্যা হয়েছিল। সিপিএমের হার্মাদদের হাতে তিনি নিজেও অনেক অত্যাচারিত হয়েছেন। তিনি বলেন তিনি নিজেও হয়তো খুন হয়ে যেতে পারতেন সেই সময়। উপস্থিত শহীদ পরিবারের সদস্যদের নমস্কার জানিয়ে তিনি বলেন যে স্বপ্ন এই মানুষ গুলো দেখেছিলেন সেগুলোকেই রূপদান করছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।