বিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি সচেতনতামূলক নানা কর্মসূচিতে কাঞ্চননগর ডি এন দাস হাই স্কুল
Sangbad Prabhati, 21 September 2024
ডিজিটাল ডেস্ক রিপোর্ট, সংবাদ প্রভাতী : বিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের কখনও পরিবেশ, বিজ্ঞান বিষয়ক সচেতনতার পাঠদান সহ ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য স্বাস্থ্য সচেতনতা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার আয়োজন করে চলেছে কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়। বলতে গেলে পড়াশোনার সঙ্গে প্রতিদিনই ছাত্র ছাত্রীদের জন্য কিছু একটা কর্মসূচি থাকে। আসলে কেন্দ্রের নয়া শিক্ষা নীতির গাইডলাইন অনুযায়ী পুঁথিগত বিদ্যার পাশাপাশি হাতে কলমে শেখা ও জানা। এব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ডঃ সুভাষ চন্দ্র দত্ত এর ভূমিকা বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য।
যেমন ১৯ সেপ্টেম্বর ছিল আন্তর্জাতিক সর্প দংশন সচেতনতা দিবস। এই উপলক্ষে কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ে একটি শিক্ষাপ্রদ সেমিনার আয়োজিত হয়। স্বাগত ভাষণে প্রধানশিক্ষক ড. সুভাষচন্দ্র দত্ত জানান, বর্ষায় সাপ খাদ্য ও প্রজননের কারণে ঘোরাফেরা বেশি করে। অতিরিক্ত জনবসতির কারণে তাদের থাকার জায়গারও অভাব। তবুও দামোদরসন্নিহিত এই অঞ্চলে সাপ শহরের অন্যান্য এলাকা থেকে বেশি। এই বিদ্যালয়ের অঙ্গনে মাঝেমধ্যেই চিতি দাঁড়াশ চলে আসে। কিন্তু সাপের ব্যাপারে আমাদের সঠিক ভাবনার অভাব আছে। ছাত্রছাত্রদের অবহিত ও সজাগ করতে আজকের এই সেমিনার।
প্রধান অতিথি মোহনপুর মহাবিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. অয়ন মণ্ডল স্লাইডের মাধ্যমে বিভিন্ন বিষধর এবং নির্বিষ সাপের ছবি দেখিয়ে সাপের আকৃতি রং স্বভাব খাদ্যাখাদ্য চিনতে সাহায্য করেন।
লখনউ আইআইটিতে টক্সিকোলজির গবেষক দেবব্রত বিশ্বাস বলেন যে, সাপ কামড়ালে বিষ ছিল কি না সে কথা না ভেবে দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে যেতে হবে।
বিশেষ অতিথি বর্ধমান অ্যানিম্যাল সোসাইটির পশুপ্রেমী অর্ণব দাস এবং সুমন বারুই সাপ দেখামাত্র মেরে না ফেলতে পরামর্শ দেন। কারণ সাপ বাস্তুতন্ত্র সুশৃঙ্খল রাখতে সাহায্য করে। বরং বাড়ির আশেপাশে নিয়মিত পরিষ্কার করে ব্লিচিং ছড়ানো বেশি কাজের হবে।
কথায় বলে, দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম বোঝা যায় না। সেই জন্যই ছাত্র ছাত্রীদের দাঁতের স্বাস্থ্য বিষয়ে চিকিৎসা ও দাঁতের যত্ন সম্পর্কে সচেতন করা হয়।
শারীরবিদ্যার শিক্ষক অনিমেষ বর্মন বলেন, আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে স্থানীয়রা চিকিৎসায় ব্যয়সঙ্কোচ করতে বাধ্য হয়ে পড়েছে। ফলে এই শিবির খুবই দরকার ছিল।
প্রধানশিক্ষক ড. সুভাষচন্দ্র দত্ত বলেন, এই বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রাণপুরুষ দীননাথ দাস শিক্ষা আর স্বাস্থ্যকে সমান গুরুত্ব দিয়েছিলেন। আমরা সবসময়েই স্বাস্থ্যবিষয়ক শিবির আর সেমিনার আয়োজন করে থাকি যাতে ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনায় পূর্ণ গুরুত্ব দিতে পারে। আজকের দুই চিকিৎসক বেঙ্গল ক্যানসার ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যুক্ত। ফলে আজ তাঁরা সবদিক খতিয়ে দেখে যে ব্যবস্থা করছেন তাতে আমরা সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ।