Scrooling

আর জি কাণ্ডে দোষীদের ফাঁসির দাবিতে উত্তাল পশ্চিমবঙ্গ, প্রতিবাদ সর্বস্তরে # প্রয়াত রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য # হাঁপানি ও অ্যালার্জিজনিত সমস্যায় ভুগছেন ? বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ অয়ন শিকদার বর্ধমানে আসছেন। নাম লেখাতে যোগাযোগ 9734548484 অথবা 9434360442 # টি টোয়েন্টি ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট ২০২৪ : ভারতের বিশ্ব রেকর্ড, প্রথম থেকে শেষ সব ম্যাচে ভারতের জয় # কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন আউসগ্রামের বিউটি বেগম # নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রীসভায় পশ্চিমবঙ্গ থেকে শপথ নিলেন ডঃ সুকান্ত মজুমদার ও শান্তনু ঠাকুর # আঠারো তম লোকসভা ভোটের ফলাফল : মোট আসন ৫৪৩টি। NDA - 292, INDIA - 234, Others : 17 # পশ্চিমবঙ্গে ভোটের ফলাফল : তৃণমূল কংগ্রেস - ২৯, বিজেপি - ১২, কংগ্রেস - ১

আর জি কর হাসপাতালে নৃশংস কাণ্ডে দোষীদের শাস্তির দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভ


 

আর জি কর হাসপাতালে নৃশংস কাণ্ডে দোষীদের শাস্তির দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভ




Atanu Hazra 
Sangbad Prabhati, 17 August 2024

অতনু হাজরা, জামালপুর : আর জি কর হাসপাতালে যে নৃশংস কাণ্ড ঘটেছে তার বিরুদ্ধে এবার প্রতিবাদে নামলো তৃণমূল কংগ্রেস। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, ফাঁসির দাবিতে কলকাতায় রাজপথে নেমেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ সারা রাজ্যের সমস্ত ব্লকে ওই নৃশংস কাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ স্বরূপ অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হলো তৃণমূল কংগ্রেস। এই রকম পরিস্থিতিতে সিপিএম ও বিজেপি রাজ্যে একটা অরাজকতার পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাইছে। জামালপুরে বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন পার্টি অফিসের সামনে মঞ্চ করে চলে অবস্থান বিক্ষোভ। 

সেখানে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ব্লক সভাপতি মেহেমুদ খান, বিধায়ক অলক কুমার মাঝি, কার্যকরী সভাপতি ভূতনাথ মালিক, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পূর্ণিমা মালিক সহ সকল শাখা সংগঠনের সভাপতি, অঞ্চল সভাপতিরা, প্রধান, উপ প্রধান সকলেই। মঞ্চ থেকে দোষীদের দ্রুত শাস্তির ব্যবস্থা করা, ফাঁসির ব্যবস্থা করতে হবে। তারই সাথে বিজেপি ও সিপিএম এদের নোংরা রাজনীতির তীব্র প্রতিবাদ করা হয়। ব্লক সভাপতি মেহেমুদ খান বলেন, আর জি কর হাসপাতালে যে ঘটনা ঘটেছে তা অতি নিন্দনীয় যা কোনো মতেই মেনে নেওয়া যায় না। 

এর তাঁরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। তাই দলনেত্রী, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দ্রুত সিবিআই এর হাতে তদন্ত ভার তুলে দিয়েছেন এবং দোষীদের চরম শাস্তির ব্যবস্থা করার কথা বলেছেন। মুখ খুলেছেন তাঁদের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ও। তিনিও দোষীদের চরম শাস্তি হিসাবে ফাঁসি দেওয়ার কথা বলেছেন। কিন্তু এরকম পরিস্থিতিতে নোংরা রাজনীতি করতে নেমেছে বিজেপি ও সিপিএম। তারা রাজ্যে একটা অরাজকতা পরিস্থিতি তৈরি করতে চাইছে যেটা তাঁরা কোনমতেই মেনে নেবেন না। তিনি আর জি করের ঘটনা কে নৃশংস বলে মেনে নিয়েও বলেন সারা দেশ জুড়ে ঘটে যাওয়া এরকম ঘটনায় কোথায় ছিল এই সিপিএম ও বিজেপি? মণিপুরের ঘটনা হাতরাসের ঘটনার সময় তারা কি ঘুমিয়ে ছিল ? 

বিধায়ক অলক কুমার মাঝি বলেন, আর জি করের যে ঘটনা ঘটেছে সেটা কোনমতেই মেনে নেওয়া যায়না। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আগেই এবিষয়ে বলেছেন। রাজ্য সরকার সিবিআই কে তদন্ত করার জন্য দায়িত্ব দিয়েছেন। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ও সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তার পরেও ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছে রাজ্যের বিরোধী দুই দল সিপিএম ও বিজেপি। বাংলার বাইরে যখন এরকম ঘটনা ঘটে তখন তাঁদের ভূমিকা কি? মণিপুরের অতবড় ঘটনায় কি ভূমিকা ছিল তাদের? বাংলার মানুষ সব জানেন। সঠিক সময়ে মানুষই এর জবাব দেবে। অবস্থান বিক্ষোভ মঞ্চে প্রচুর কর্মী সমর্থকেরা ভিড় জমান।