বৃষ্টি ও নদ-নদীর জলে বহু এলাকা প্লাবিত, দুর্গত মানুষের পাশে প্রশাসনিক কর্তারা
Sangbad Prabhati, 5 August 2024
অতনু হাজরা, পূর্ব বর্ধমান : জেলার বিভিন্ন এলাকা বৃষ্টির জলে প্লাবিত হয়েছে। তার উপর দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার ফলে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক অবস্থায় পৌঁছেছে। জেলার বেশ কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে কোনও গুজবে কান না দিয়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। প্রশাসনিক কর্তারা প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করে দুর্গত মানুষের জন্য ত্রাণের ব্যবস্থা করছেন। জেলার বিভিন্ন এলাকায় ২৫ টি রন্ধন শিবির চালু করা হয়েছে। বন্যা দুর্গত মানুষদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনা হয়েছে। সেই সমস্ত মানুষদের কাছে শুকনো খাবার এবং রান্না করা খাবার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
প্রশাসনিক কর্তারা প্রতিটি এলাকার সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখছেন। সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকরা প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে জেলার প্রায় প্রতিটি ব্লকেই নানা ক্ষয় ক্ষতির খবর পাওয়া যাচ্ছে। এরই সাথে বিভিন্ন ব্যারেজ থেকে ছাড়া হচ্ছে জল তাই প্রায় সমস্ত নদীতেই বাড়ছে জল। জামালপুরেও এই দুর্যোগে অনেক মাটির বাড়ি ক্ষতি হওয়ার খবর আছে। এরই সাথে দামোদর নদে বাড়ছে জল। তাই এই পরিস্থিতিতে সব সময়ই সতর্ক দৃষ্টি রাখছেন বিডিও পার্থ সারথী দে, বিধায়ক অলক কুমার মাঝি ও তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মেহেমুদ খান।
জোতশ্রীরাম অঞ্চলের অমরপুর ফেরিঘাট পরিদর্শন করেন বিধায়ক অলক কুমার মাঝি। সেখানে ফেরি পারাপার নিয়ে তিনি খোঁজ নেন। বিডিও পার্থ সারথী দে ও বিধায়ক মাধবপুর গ্রামে কয়েকটি বাড়ি ঘুরে দেখে তাদের হাতে ত্রিপল তুলে দেন।
বিডিও পার্থ সারথী দে বলেন, ব্লকের সমস্ত ফেরিঘাট বন্ধ রয়েছে। দামোদরের জল বাড়ায় মাইকিং এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। ব্লক প্রশাসন সতর্ক আছে। ব্লকে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। যার নাম্বার ৭৬৭৯৩২৫৮৩০ যেকোনো অসুবিধায় সেই কন্ট্রোল রুমের নম্বরে ফোন করার জন্য তিনি বলেন।
বনবিবিতলা হাই স্কুলে রিলিফ ক্যাম্পে যাঁরা ছিলেন তাঁরা রবিবার বাড়ি ফিরে গেছেন বলে তিনি জানান। এছাড়াও তিনি নদী তীরবর্তী গ্রামের সকলকে আশ্বস্ত করে বলেন ভয় খাওয়ার কিছু নেই। ব্লক প্রশাসন তাঁদের সাথে রয়েছে। বিধায়ক অলক কুমার মাঝি, বিডিও পার্থ সারথী দে এবং এস ডি ও ইরিগ্রেশণ নিলাদ্রী দে নদীর জলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন।