Durgapuja
দুর্গাপুজো নিয়ে বিরাট চমক দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী
Sangbad Prabhati, 23 July 2024
ডিজিটাল ডেস্ক রিপোর্ট, সংবাদ প্রভাতী : দুর্গাপুজোর অনুদান ঘোষণার মাধ্যমেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুজোর সুবাস ছড়িয়ে দিলেন বঙ্গে। কেন্দ্রীয় বাজেট পেশের দিনই দুর্গাপুজোর অনুদান ঘোষণার মাধ্যমে বিরাট চমক দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার বিভিন্ন পুজো কমিটিগুলিকে নিয়ে মমতা ব্যানার্জী বৈঠক করলেন। আর সেই বৈঠকে থেকেই দুর্গাপুজোর অনুদান ৭০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৮৫ হাজার করে দিলেন।
থিমের পুজো প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, সংবাদপত্র থেকে জেনেছি রানাঘাটে একশো ফুটেরও বেশি বড় একটি দুর্গা হচ্ছে। তাঁর প্রশ্ন, এই চমক দেখতে গিয়ে হাজার হাজার মানুষ যখন এক জায়গায় জড়ো হবেন তখন কি করে সামাল দেওয়া হবে তার কোন প্ল্যানিং হচ্ছে কি? মমতার এই কথাতেই দেশপ্রিয় পার্কের সেই পুজো বন্ধ করে দেওয়ার স্মৃতি ফিরে আসে উদ্যোক্তাদের মনে।
সাম্প্রতিক অতীতে শুধু দেশপ্রিয় পার্ক নয়, ২০২১ সালে কলকাতার বিখ্যাত শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের পুজো দর্শনও বন্ধ করে দিতে হয়েছিল। বুর্জ খলিফার আদলে তৈরি প্যান্ডেল দেখতে, রীতিমত জনসমুদ্র আছড়ে পড়েছিল শ্রীভূমির স্বল্প পরিসরের রাস্তায়। যার ফলে এয়ারপোর্টগামী ভিআইপি রোডও স্তব্ধ হয়ে যায়। এই পূজার উদ্যোক্তা তথা রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুকেও হুশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এর আগে ২০২২ সালে সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যারের পুজোয় লালকেল্লার আদলে তৈরি মণ্ডপে লেজার শো বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। প্রবল ভিড়ের চাপে কলকাতা পুলিশ সেই নির্দেশ দেয়। পরে অবশ্য এই পুজো তার নিজের মতই চলেছিল। ২০২২ সালেই কল্যাণীতে টুইন টাওয়ারের প্রবল ভীড় সামলাতে লাঠিচার্জের অভিযোগ উঠেছিল পুলিশ এবং উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধেও।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পুজোর সময় ভি আই পি মুভমেন্ট এবং ভিআইপি কার্ড নিয়ম তিনি পছন্দ করেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি পঞ্চমীর মধ্যেই সমস্ত পুজো উদ্বোধন করে নিজের কাজ সেরে ফেলেন তার কারণই হল তাঁর জন্য যাতে জনগণের অসুবিধা না হয়। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য রাজ্যের মন্ত্রী এবং ভিভিআইপিদের এই বিষয়ে একটু সতর্ক হওয়া দরকার। পুজোতে জনসাধারণের প্রতিমা দর্শন এবং উৎসব উদযাপনে যাতে অসুবিধা না হয়, সেই দিকটা ভিআইপি এবং ভিভিআইপিদের নজর রাখতে হবে।
ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের স্বীকৃতি পাওয়া বাঙালির দুর্গোৎসবকে সফল এবং নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে বদ্ধপরিকর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন। আর তাই নিরাপত্তার কড়াকড়িতে এখন দুশ্চিন্তার ভাঁজ একাধিক পূজা কমিটির কপালে। যেখানে মমতা নিজের মন্ত্রীকেই ছাড় দিচ্ছেন না, সেখানে তাদের অবস্থা কি হতে পারে? সেটা ভেবেই এখন কলকাতা এবং জেলার হেভিওয়েট পুজো কমিটিগুলির অনেকেই নতুন করে ভাবনা চিন্তা শুরু করেছেন।