রোমহর্ষক জীবন্ত দেবতার পুজো মঙ্গলকোটের পোসলা গ্রামে
Sangbad Prabhati, 22 July 2024
ডিজিটাল ডেস্ক রিপোর্ট, সংবাদ প্রভাতী : বিষধর কেউটে প্রজাতির সাপের সঙ্গে বিংশ শতাব্দী থেকে সহাবস্থান করে আসছেন মঙ্গলকোটের গ্রামবাসী। কেউটে প্রজাতির সাপকে ঝাঁঙলাই ওরফে ঝঙ্কেশ্বরী দেবী হিসাবে মানেন এলাকার মানুষ। রবিবার ঝাঁঙলাই সাপের পুজোয় মাতলেন গ্রামবাসীরা। প্রতিবছর গুরু পূর্ণিমার পরে আষাঢ় মাসের কৃষ্ণা প্রতিপদ তিথিতে পুজো হয় ঝাঁঙলাই বা ঝঙ্কেশ্বরী দেবীর। ভাতারের বড়পোশলা, শিকোত্তর, মুকুন্দপুর এবং মঙ্গলকোটের ছোটপোশলা, পলসোনা, মুশারু এবং নিগন-সহ সাতটি গ্রামে ঝাঁঙলাই পুজো হয়। পথ-ঘাট থেকে গৃহস্থের বাড়ির রান্নাঘর, শোবার ঘর সর্বত্রই তাদের অবাধ বিচরণ। গ্রামবাসীদের কথায় ঝাঁঙলাই কাউকে কামড়ালে, তাকে মায়ের প্রসাদ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। গ্রামের পাশে ঝাঁঙলাই ডোবা থেকে স্নান সেরে এসে মন্দিরের মাটি সেই ক্ষতস্থানে লাগালেই সুস্থ হয়ে যায় বলে বিশ্বাস। তবে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এখন অনেকেই এই সাপের দংশন হওয়ার পরেই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যায়।
উল্লেখ্য ৯০৯ বঙ্গাব্দে মুসুরি গ্রামের মুরলী মোহন চক্রবর্তী দেবী ঝঙ্কেশ্বরীর স্বপ্নাদেশে জানতে পেরেছিলেন পলসোনা মৌজার খুনগোড় এলাকায় দেবী মা আছেন। তারপর থেকেই এই পুজো বেশ ধুমধাম সহকারে শুরু হয়। গ্রামবাসীরা বিভিন্ন উপাচারে নৈবেদ্য নিয়ে মায়ের কাছে এসে পুজো দেন।
পলসোনা গ্রামের ঝঙ্কেশ্বরী পুজোর পুরোহিত মলয় চ্যাটার্জী বলেন, তিনি লোকমুখে শুনতে পান কালিয়া দহে কালনাগিনী হিসাবে অনেকে অভিহিত করেন আবার মা ঝাঁঙলাই আসলে কালনাগিনী পরিচিত বেহুলা-লখিন্দর পৌরাণিক গল্পে লখিন্দর যে সর্পের দংশনে মৃত্যুবরণ করেছিলেন তিনি হলেন এই ঝংকেশ্বরী দেবী।