জেলার বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি কাজ ঘুরে দেখছেন জেলা শাসক সহ প্রশাসনের আধিকারিকরা
Sangbad Prabhati, 12 July 2024
অতনু হাজরা, পূর্ব বর্ধমান : জেলার বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি কাজ ঘুরে দেখছেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। ইতিমধ্যেই মেমরি, রায়না, আউসগ্রাম ১, কাটোয়া ২ ব্লক এলাকার বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করেছেন পূর্ব বর্ধমানের জেলা শাসক কে রাধিকা আইয়ার নিজেই। ছিলেন অতিরিক্ত জেলা শাসক (উন্নয়ন) প্রসেনজিৎ দাস সহ অন্যান্য আধিকারিকরা।
অন্যদিকে জামালপুর ব্লকে জেলার অনগ্রসর কল্যাণ ও আদিবাসী উন্নয়ন দপ্তরের বেশ কিছু কাজ সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন অনগ্রসর কল্যাণ ও আদিবাসী উন্নয়ন দপ্তরের জেলা প্রকল্প আধিকারিক কৃষ্ণেন্দু কুমার মন্ডল।
জেলা শাসক কে রাধিকা আইয়ার কৃষক বাজার, সিপিসি, কোল্ড স্টোরেজ, কর্মতীর্থ, পথশ্রী প্রকল্পের রাস্তা, স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর কাজকর্ম, ভূমি দপ্তর, রেশন দোকান সহ বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজ পরিদর্শনের পাশাপাশি কাজের অগ্রগতির বিষয়েও খোঁজ খবর নিয়েছেন। প্রয়োজনীয় নির্দেশিকাও দিয়েছেন।
শুক্রবার অনগ্রসর কল্যাণ ও আদিবাসী উন্নয়ন দপ্তরের জেলা প্রকল্প আধিকারিক কৃষ্ণেন্দু কুমার মন্ডল জামালপুর ব্লকের চৌবেরিয়া, গোপালপুর ও ইলসরা এই তিন জায়গা পরিদর্শন করেন। চৌবেরিয়া ও গোপালপুরে ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্পের অধীনে তপশীলি অধ্যুষিত এলাকায় চাষের কাজের সুবিধার জন্য যাতে জলের সমস্যা না হয় তাই ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় ৯টি বিদ্যুৎ চালিত সাবমারশিবল করে দেওয়া হয়েছে সেগুলো সঠিক চাষের কাজে ব্যবহার হচ্ছে কিনা টা দেখতে তিনি একদম মাঠে পৌঁছে যান। এবং সেখানকার স্থানীয় চাষীদের সাথে কথা বলেন। চাষীরা সকলেই খুব খুশি। এখন তারা সারাবছরই কিছু না কিছু ফসল ফলাতে পারছেন। এরপর তিনি যান ইলসরা এস এন হাই স্কুলে। ব্লকে এখানেই একমাত্র আদিবাসী ছাত্র ছাত্রীদের জন্য হোস্টেল আছে।
সেখানে আবাসিক ছাত্র ছাত্রীদের সাথে যেমন কথা বলেন তেমন বিভিন্ন ক্লাসে গিয়ে ছাত্র ছাত্রীদের সাথে কথা বলেন। মিড ডে মিল ও পরিদর্শন করেন তিনি। তাঁর সাথে ছিলেন জামালপুরের বিডিও পার্থ সারথী দে ও ব্লকের বি এস ডাব্লিউ অফিসার সুপ্রভাত মুখার্জী। কৃষ্ণেন্দু বাবু বলেন, সারা রাজ্য জুড়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অনগ্রসর কল্যাণ ও আদিবাসী উন্নয়ন দপ্তর অনগ্রসর শ্রেণী ও আদিবাসীদের উন্নয়নের জন্য নানা প্রকল্প নেওয়া হয়েছে এই সমস্ত মানুষদের স্বনির্ভর বা স্বয়ংসম্পূর্ণ করার জন্য। এরকম কিছু প্রকল্পের কাজ দেখতে তিনি জামালপুরে এসেছিলেন। আদিবাসী ছেলে মেয়েরা জেলা প্রকল্প আধিকারিক কে সামনে পেয়ে খুবই খুশী। প্রসঙ্গত কৃষ্ণেন্দু বাবু যখন বর্ধমান সদর দক্ষিণ মহকুমা শাসক ছিলেন তখন থেকেই বা তাঁর কর্মজীবন শুরু থেকেই এই পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি এখনো যখন সময় পান আদিবাসী পাড়ায় গিয়ে বাচ্চা দের সাথে দেখা করেন , তাদের পড়াশোনার ব্যবস্থা করেন নিজেও পড়ানোর কাজ করেন। তাঁর এই কাজের জন্য তিনি বিভিন্ন মহল থেকে অনেক প্রশংসাও পান। মানুষ হিসাবে তাঁর এই কাজ তাঁকে সারাজীবন মানুষের মধ্যে বাঁচিয়ে রাখবে।