Sangbad Prabhati, 24 May 2024
ডিজিটাল ডেস্ক রিপোর্ট, সংবাদ প্রভাতী : আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া মেধাবী ছাত্রীর পাশে দাঁড়ালো স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আমার পাঠশালা। আর্থিক দুরবস্থাকে পিছনে ফেলে অদম্য জেদ ও অধ্যবসায়কে পাথেয় করে এবছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ৯৩ শতাংশ নম্বর সহ কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়েছে কাটোয়া ২ নং ব্লকের মূলগ্রামের বাসিন্দা, আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের মেধাবী ছাত্রী সঞ্চিতা কর্মকার। পিতা জয়দেব কর্মকার ছিলেন পেশায় দিনমজুর। নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় সঞ্চিতার পিতৃ বিয়োগ হয়, সেই থেকেই ছাত্রীটির মা পম্পা কর্মকার সংসারের হাল ধরেন এবং এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে দৈনন্দিন অভাবকে সঙ্গে নিয়ে কোনোরকম ভাবে দিন কাটাতে থাকেন।
ছাত্রীটির দাদুও তাঁর সাধ্যমতো বিভিন্ন সময় পরিবারটির পাশে থেকেছেন। এমতাবস্থায় আমার পাঠশালা নামক বর্ধমানের একটি সুপরিচিত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা পাঠশালার ক্যালেন্ডার, পেন, মেমেন্টো, মিষ্টি, বৃক্ষশিশু দিয়ে সঞ্চিতাকে সংবর্ধিত করলো এবং কিছু আর্থিক সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে পরিবারটির পাশে দাঁড়ালো। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আমার পাঠশালার এই মানবিক উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান ছাত্রীটির মা পম্পা কর্মকার, প্রতিবেশী নিখিল ঘোষ এবং উপস্থিত অন্যান্য স্থানীয় মানুষজন।
সংস্থাটির দ্বারা সংবর্ধিত হয়ে আপ্লুত সঞ্চিতা কর্মকার। আমার পাঠশালার পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সন্দীপ পাঠক, মিন্টু পান্ডে, মোশারফ হোসেন, আজমত আলী সেখ এবং অতনু ঘোষ। সঞ্চিতা কর্মকারের ভবিষ্যৎ জীবনের সাফল্য কামনার পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আমার পাঠশালা-র পক্ষ থেকে সারাবছরই সুবিধা বঞ্চিত, পিছিয়ে পড়া শিশুদের বিনামূল্যে পাঠদান, পোশাক প্রদান , পুষ্টিকর খাদ্যসামগ্রী প্রদান, স্বাস্থ্য পরীক্ষা, বৃক্ষরোপন ইত্যাদি সমাজ কল্যাণমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয় বলে জানান আমার পাঠশালা-র সম্পাদক সন্দীপ পাঠক।