পরিবেশ পরিবর্তন এবং জীববৈচিত্র্যের অবক্ষয় নিয়ে আলোচনা, দুই কিশোরী বিজ্ঞানীকে স্বীকৃতি
Sangbad Prabhati, 10 May 2024
অতনু হাজরা, বর্ধমান : বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ বৃহস্পতিবার তাদের বার্ষিক সাধারণ সভার আয়োজন করে। জুলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন অফ বর্ধমান, এই অনুষ্ঠানের মূল উদ্যোক্তা। এই অনুষ্ঠানের মূল ভাবনা ছিল 'পরিবেশ পরিবর্তন এবং জীববৈচিত্র্যের অবক্ষয়'। প্রধান বক্তা ছিলেন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক পরশুরাম কামিল্যা। অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল ২০২৩ এ, পূর্ব বর্ধমান জেলা থেকে একমাত্র নির্বাচিত বিদ্যালয় কয়রাপুর বিদ্যাসাগর বিদ্যাপীঠকে সম্মানিত করা।
এই বিদ্যালয়টি পূর্ব বর্ধমান থেকে সারা রাজ্যের হয়ে আগামী ২০২৪ এর জুলাই মাসে জাতীয় স্তরে জাতীয় শিশু বিজ্ঞান কংগ্রেস এ প্রতিনিধিত্ব করবে। যেহেতু বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের এই সংস্থা, এই শিশু বিজ্ঞান কংগ্রেসের আয়োজন করে, তাই তারা পূর্ব বর্ধমান জেলার, কয়রাপুর বিদ্যাসাগর বিদ্যাপীঠকে সম্মানিত করেন। সম্মানিত হয় শিশু বিজ্ঞানী ইশিতা ব্যানার্জী, ও প্রীতমা ব্যানার্জী এবং শিক্ষিকা নিবেদিতা কোলে।
শ্রীমতি কোলে এই প্রসঙ্গে জানান, "প্রত্যন্ত এলাকার ছেলেদের বিজ্ঞানের আঙিনায় তুলে আনা এবং জাতীয় স্তরে তাদের মুন্সিয়ানা দেখানোর জন্য, তৈরি করাই বিদ্যালয়গুলির লক্ষ্য হওয়া উচিত। আমরা নিরলস প্রচেষ্টার মধ্যে দিয়ে আমাদের বিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে তুলে আনতে পেরেছি। আগামী দিনে যাতে আরো বেশি বেশি সংখ্যক বিদ্যালয় অংশগ্রহণ করে এবং জাতীয় স্তরে তারা নিজেদের মুন্সিয়ানা দেখাতে পারে সে বিষয়ে বিদ্যালয়গুলোকে অনুরোধ করবো।"
এই অনুষ্ঠানের মূল উদ্যোক্তা ডঃ মানবেশ মজুমদার জানান, "জাতীয় স্তরে বিজ্ঞান প্রতিযোগিতায় আমাদের জেলা থেকে কোনো স্কুল, এই প্রথম জাতীয় স্তরে অংশগ্রহণ করছে এবং নির্বাচিত হয়েছে। এটি আমাদের কাছে ভীষণ আনন্দের বিষয়। আমরা প্রত্যাশা করব আগামী বছরগুলোতে আরো বেশি বেশি সংখ্যক বিদ্যালয় জাতীয় স্তরে অংশগ্রহণ করবে"। অনুষ্ঠানের মূল বক্তা অধ্যাপক কামিলা, প্রথমেই এই দুই শিশু বিজ্ঞানীর মুন্সিয়ানাকে স্বীকৃতি দেন। এবং বলেন, "এরা আগামী দিনে দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে"। কয়রাপুর বিদ্যাসাগর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক সতীনাথ গোস্বামী প্রত্যাশা করেন, সকলের সহযোগিতা এবং শুভকামনা ও আশীর্বাদকে সঙ্গে নিয়ে এই বিদ্যালয় আগামী দিনে গোটা পূর্ব বর্ধমান জেলার মুখ উজ্জ্বল করবে। অনুষ্ঠানে ঈশিতা এবং প্রীতমা তাদের মুন্সিয়ানা সকলের সামনে তুলে ধরে এবং সকলেই তাদের উদ্যোগ এবং প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানান।