বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনেই মন্দিরে পুজো আর জনসংযোগে বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের বাজিমাত
Sangbad Prabhati, 14 April 2024
জগন্নাথ ভৌমিক, বর্ধমান : বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনেই বাবা বর্ধমানেশ্বর শিবমন্দিরে পুজো দিয়ে ত্রিশূল হাতে তুলে নিলেন বর্ধমান - দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায় যখনই এই বিশ্বতে পাপ অশুভশক্তির প্রভাব বেড়েছে তখনি দেবাদিদেব ত্রীশূল হাতে তুলে নিয়েছেন। তান্ডব নৃত্য করেছেন। তাঁরই প্রেরনায় তিনিও ত্রিশূল হাতে তুলে নিয়েছেন।
দিলীপ বাবু বলেন, আমরা অভিযান করে,স্বচ্ছ ভারত আর স্বচ্ছ রাজনীতি গড়তে চাই। পশ্চিমবঙ্গ দিবস নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে দীলিপ ঘোষ বলেন, টিএমসি চলে গেলে এই দিনটাও চলে যাবে। পয়লা বৈশাখ পশ্চিমবঙ্গ দিবস কি করে হলো আমরা জানিনা। দিলীপ বাবু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর নাম উল্লেখ না করে বলেন, তিনি পশ্চিমবঙ্গকে মিটিয়ে দিয়ে বাংলা করার চেষ্টা করছেন। আবার পশ্চিমবঙ্গ দিবসও করছেন।
রবিবার বর্ধমান শহরের আলমগঞ্জ কল্পতরু মাঠে প্রাতঃ ভ্রমণ শেষে বর্ধমান - দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ আলমগঞ্জ মোড়ে পুলিশ ফাঁড়ি এলাকায় চায়ে পে চর্চার সাথে জনসংযোগ করেন। এখানে সাংবাদিকরা বলেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ন বলেছেন তৃণমূলকে জেতালে আগামী ১লা ডিসেম্বরের মধ্যে আগস্টের প্রথম কিস্তির টাকা ঢুকে যাবে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ ঘোষ বলেন, দুবার তিনবার তো জেতালো। সবার পকেট ফাঁকা, টাকা পৌঁছচ্ছে, কোথায় পৌঁছচ্ছে? সেটা লোকে জেনে গেছে। তাঁর জন্য টিএমসি জিতলে কয়েকটা পরিবার কয়েকটা লোকের সুবিধা হবে। বিজেপি জিতলে সাধারন মানুষের সুবিধা হবে। তারা সমস্ত প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। বর্ধমান – দূর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কৃতী আজাদের প্রসঙ্গে দীলিপ বাবু বলেন, 'লোকে ওনাকে দেখছে মজা করতে।একবার ঘোড়ায় চড়ছেন, আবার অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে রাস্তায় হাঁটছেন। উনি ভোটে দাঁড়িয়েছেন না ওনার স্ত্রী দাড়িয়েছেন? ভোটে উনি যতো ড্রামা করছেন, তারপর নাচানাচি করে, যেমন রাস্তায় বাঁদর খেলা দেখায়না, নেচে লোক জোগাড় করার চেষ্টা করছেন'।
যেখানেই বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ যাচ্ছেন, সেখানেই তাঁর কথা শুনতে ভিড় জমে যাচ্ছে।
রবিবার দুপুরে বর্ধমান - দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ গলসী বিধানসভার কুরকুবা অঞ্চলের জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের শিব মন্দিরে পুজো দিলেন।
বিকেলে কসবা শিব মন্দির দর্শন ও প্রণাম করে জনসংযোগে মিলিত হন। সন্ধ্যায় বর্ধমান শহরের বীরহাটা পার্বতী মাঠে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সকলের সঙ্গে মিলিত হন।