বসন্তে আনন্দে মাখাও ভালোবেসে
বসন্তে আনন্দে মাখাও ভালোবেসে
অন্তরা দাঁ, সুবল চন্দ্র মহন্ত, সান্ত্বনা ব্যানার্জী,
বসন্তসুখ
🟣 অন্তরা দাঁ
বসন্ত শুধু ফাগুনের বনে
খয়েরি-মরচে-রঙ ঝরাপাতায়
অথবা কাঁচাপাকা চৈত্রপবনে নয়
বসন্ত অন্তর্গত ছিলো যাপনে
না'হলে আশ্বিনের ভর সন্ধেয়
তোমার আশমানি পাঞ্জাবি জুড়ে অমন উতল হাওয়া দেখি!
আর নীচুপেটের জরুলে জরুলে শিমুলের লাল!
প্রেমে পড়লে হলুদ পাখির পালকে পালকে বসন্ত আসে।
তখন লোহার গরাদ দেওয়া জানলাও দখিন-দুয়ার!
বসন্তসুখ রটে যায় গোপনে গোপনে।
#####
বসন্ত উৎসব
🟣 সুবল চন্দ্র মহন্ত
রবি কবি সার্বভৌম,
শান্ত সমাহিত, সৌম্য।
শোক, দুঃখ বারবার,
লেখনী থামেনিকো তার।
পত্নী, কন্যা, পুত্রের মরন
ব্যর্থ হয়েছে স্তব্ধ করন।
বিয়োগ ব্যথা উথলে ওঠে,
তবুও কবির ভাষা জোটে।
হৃদয় বেদনা ময়
কষ্ট নিয়ে সৃষ্টি হয়।
ছিল কাব্য নদী নাব্য
লেখেন কবিতা, কাব্য।
শমী , ছোট ছেলে বলে
স্নেহাধিক্য তার ফলে।
দেবদূতের মত দেহ
দেখলে ভুলবে না কেহ।
লাবণ্যের তুলনা নাই,
কবির বর্ননায় পাই।
অমল, ধবল, দ্যূতিময়,
দেবদূত বলা বেশী নয়।
শমী কবিকে বলে,
বসন্তে উৎসব হলে,
বসন্ত পায় প্রান,
এটাতো সব চান।
শমীর প্রেরনা দান,
কবি তাকে দেন মান।
বসন্তে উৎসব হলে
যুগে যুগে আসছে চলে।
দোল উৎসব আছে,
শমী, কবি, নেই কাছে।
#####
ফাগুন
🟣 সান্ত্বনা ব্যানার্জী
প্রাণের জোয়ার ভাসিয়ে দাও,
রঙিন স্বপন কুড়িয়ে নাও,
গানের ভেলায় ভেসে।
আনন্দে প্রাণ উঠুক মেতে,
হলুদ বাতাস মাতুক ক্ষেতে,
ফাগুন এলো হেসে।
পিচকারী আর রঙের মেলা,
আবীর মাখা হোলি খেলা,
এলাম খুশির দেশে।
প্রার্থনা এই সবার কাছে,
পলাশ ফুল থাক না গাছে,
নাই বা দিলে কেশে!
কুড়িয়ে ফুল গাঁথো মালা,
আবীর রঙে সাজাও ডালা,
মাখাও ভালোবেসে।
হিংসা দ্বেষ বিভেদ ভুলে,
সবারে নাও কোলে তুলে,
ফাগুন দিনের শেষে।
#####
ফাগুন বেলায়
🟣 শান্তনু সেন শর্মা
আজ নির্জনে
বসে দুইজনে
শুনি কোকিলের গান।
স্নিগ্ধ বাতাস
শুভ্র আকাশ
তোলে হৃদয়ে কলতান।
বসন্ত ক্ষণ
এই দুটি মন
রক্তিমতায় ভরা
পলাশ শিমুলে
মন দুলে দুলে
হয়েছে যে পথহারা।
ফাগুন বেলায়
তোমারে মেলায়
এ পথ প্রান্তরে।
এই কাছে আসা
নিয়ে ভালোবাসা
গড়ে ওঠে অন্তরে।
বসন্তের উৎসব
🟣 অতনু হাজরা
বসন্তের দোলা লেগেছে
কৃষ্ণচূড়া লালে লাল।
তোমার গালে লাল গুলাল
পলাশের রঙে মানিয়েছে।
লাল, সবুজ বাসন্তী
রঙে রঙিন দুনিয়া।
কোকিলের সুরে
রং লেগেছে মনে।
এদিক থেকে ওদিকে
রঙিন বাচ্চা থেকে বুড়ো।
পাড়ায় পাড়ায় চলে
বসন্ত উৎসব।
দ্বাপরে কৃষ্ণ রাধা
খেলেছিলেন হোলি।
আজও তা বহমান
মানুষের মনে।