নির্বাচনী আচরণবিধিতে মিডিয়া সার্টিফিকেশন ও মনিটরিং বিষয়ে কি জানালেন জেলা শাসক
Sangbad Prabhati, 29 March 2024
ডিজিটাল ডেস্ক রিপোর্ট, সংবাদ প্রভাতী : লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে আচরণবিধি নিয়ে মিডিয়া সার্টিফিকেশন ও মনিটরিং বিষয়ে বর্ধমানের সাংবাদিকদের অবহিত করলেন পূর্ব বর্ধমানের নতুন জেলা শাসক কে রাধিকা আইয়ার। ২৮ মার্চ এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, ই-মিডিয়ায় সমস্ত রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন মিডিয়া সার্টিফিকেশন ও মনিটরিং কমিটি দ্বারা প্রত্যয়িত করতে হবে। প্রোগ্রাম কোড, বিজ্ঞাপন কোডের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয় এমন কোনো বিজ্ঞাপন কেবল অপারেটরদের প্রচার করা নিষিদ্ধ। বিজ্ঞাপন দেশের আইন অনুসারে ডিজাইন করা উচিত। ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রদর্শিত সমস্ত রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনের পূর্বে প্রমাণীকরণ প্রয়োজন। টিভি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন, সিনেমা হলের বিজ্ঞাপন, রাজনৈতিক প্রচারে বাল্ক এসএমএস/ভয়েস মেসেজ, কেবল নেটওয়ার্কে বিজ্ঞাপন, সোশ্যাল মিডিয়া, ভার্চুয়াল প্রচারাভিযানে বিজ্ঞাপন, যেকোনো সংবাদপত্রের ই-পেপারে বিজ্ঞাপন, রেডিও/প্রাইভেট এফএম চ্যানেলে বিজ্ঞাপন, পাবলিক প্লেসে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন/প্রচারণা সামগ্রীর অডিও ভিজ্যুয়াল ডিসপ্লে, ভোট ও প্রাক-নির্বাচনের দিনে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন অর্থাৎ ভোটের দিন এবং ভোটের একদিন আগে প্রিন্ট মিডিয়ায় কোনো রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা যাবে না। যদি না বিষয়বস্তু রাজ্য / জেলা স্তরের MCMC কমিটি দ্বারা প্রত্যয়িত না করা হয়ে থাকে। এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা শাসক (সাধারণ) অমিয় কুমার দাস, অতিরিক্ত জেলা শাসক (উন্নয়ন) প্রসেনজিৎ দাস, জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক রামশঙ্কর মন্ডল সহ অন্যান্যরা।
পেইড নিউজ বিষয়েও জেলা শাসক কে রাধিকা আইয়ার মিডিয়াকে সতর্ক করেন। কোনও রাজনৈতিক স্বার্থ জড়িত হুবহু একই নিউজ একের অধিক পত্রিকা বা চ্যানেলে প্রকাশিত হলে সেই নিউজ পেইড নিউজ হিসেবে বিবেচিত হবে। এবং নির্বাচনী বিধিনিষেধের আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। ফেক নিউজ এবং ভুল তথ্য সম্বলিত খবরের বিষয়েও সতর্ক করেন। এছাড়া কোন "জাতি, বর্ণ, ধর্ম এবং জাতীয়তাকে উপহাস করে এমন কোন বিজ্ঞাপনের অনুমতি দেওয়া হবে না, যা ভারতের সংবিধানের কোন বিধানের বিরুদ্ধে এবং জনগণকে অপরাধে প্ররোচিত করে, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে বা হিংসা বা আইন লঙ্ঘন করে বা সহিংসতা বা অশ্লীলতাকে মহিমান্বিত করে" যেকোন ভাবে"। সে ক্ষেত্রেও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের বিধান রয়েছে।