Scrooling

হাঁপানি ও অ্যালার্জিজনিত সমস্যায় ভুগছেন ? বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ অয়ন শিকদার আগামী ২৫ আগস্ট বর্ধমানে আসছেন। নাম লেখাতে যোগাযোগ 9734548484 অথবা 9434360442 # টি টোয়েন্টি ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট ২০২৪ : ভারতের বিশ্ব রেকর্ড, প্রথম থেকে শেষ সব ম্যাচে ভারতের জয় # কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন আউসগ্রামের বিউটি বেগম # নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রীসভায় পশ্চিমবঙ্গ থেকে শপথ নিলেন ডঃ সুকান্ত মজুমদার ও শান্তনু ঠাকুর # আঠারো তম লোকসভা ভোটের ফলাফল : মোট আসন ৫৪৩টি। NDA - 292, INDIA - 234, Others : 17 # পশ্চিমবঙ্গে ভোটের ফলাফল : তৃণমূল কংগ্রেস - ২৯, বিজেপি - ১২, কংগ্রেস - ১

১০০ দিনের কাজের বকেয়া মেটাতে তৃণমূলের সহায়তা কেন্দ্র


 

১০০ দিনের কাজের বকেয়া মেটাতে তৃণমূলের সহায়তা কেন্দ্র 




Atanu Hazra
Sangbad Prabhati, 18 February 2024

অতনু হাজরা, পূর্ব বর্ধমান : রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ১ মার্চ ২১ লক্ষ ১০০ দিনের কাজের মজুরদের একাউন্টে টাকা মিটিয়ে দেবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গ সরকার। দলনেত্রীর নির্দেশে সারা রাজ্যের প্রতিটি ব্লকের প্রতিটি পঞ্চায়েতের বাইরে আজ থেকে সহায়তা কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। পূর্ব বর্ধমান জেলাও তার ব্যাতিক্রম নয়। কালনা ১ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে আয়োজিত সহায়তা কেন্দ্রে রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ নিজে উপস্থিত থেকে সকলের কাগজপত্র দেখেছেন। এছাড়া বিভিন্ন সহায়তা কেন্দ্র ঘুরে দেখেন তিনি।

 মন্ত্রীর তৎপরতায় জব কার্ড হোল্ডাররা খুশি। সাধারণ মানুষ বলেন, শুধু আজকে বলে নয়, যেকোনো সমস্যার সমাধানে তারা মন্ত্রীকে ডাকলেই কাছে পান। এদিন সহায়তা কেন্দ্রে মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কালনা ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শ্রাবণী পাল সহ অন্যান্যরা।

জামালপুরেও ১৩ টি পঞ্চায়েতের বাইরে ১৩ টি সহায়তা কেন্দ্র খোলা হয়েছে। প্রতিটি সহায়তা কেন্দ্রে দলীয় কর্মীরা উপস্থিত থেকে ১০০ দিনের কাজের যাঁরা টাকা পাবেন তাঁদের ফর্ম ফিলাপ করে দেওয়া ও একাউন্ট ঠিক আছে কিনা দেখে নিচ্ছেন। কোনো অসুবিধা থাকলেই সাথে সাথে তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রতিটি সহায়তা কেন্দ্র ঘুরে দেখছেন জামালপুরের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি মেহেমুদ খান। তিনি প্রতিটি সহায়তা কেন্দ্রে গিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলছেন ও কেন্দ্রের বঞ্চনা সত্বেও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী কিভাবে গরীব মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের সাহায্য করছেন সে বিষয়েও বুঝিয়ে দেন। ছিলেন বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল  মন্ডল, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পূর্ণিমা মালিক, সহ সভাপতি ভূতনাথ মালিক সহ প্রতিটি উইংসের সভাপতি, প্রধান , উপ প্রধান, অঞ্চল সভাপতি সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা। 

মেহেমুদ খান বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত। গ্রামের এই গরীব মানুষের পরিশ্রমের হকের টাকা কেন্দ্র আটকে দিয়ে ভালো কাজ করে নি। তাই মুখ্যমন্ত্রী তথা জননেত্রী সেই টাকা মিটিয়ে দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন তিনি সব সময়ই অসহায় সাধারণ মানুষের পাশে আছেন। তাঁর সরকার প্রকৃতই মা মাটি মানুষের সরকার। তাঁর দেখানো পথেই তাঁরা হাঁটছেন। 

 এদিকে একটু অন্য চিত্র দেখা গেলো জামালপুর ১পঞ্চায়েতে। সেখানে পরিষেবার পাশাপাশি উপ প্রধান সাহাবুদ্দিন মন্ডল ওরফে পাঞ্জাব মুখ্যমন্ত্রীর হয়ে লক্ষ্মী ভান্ডার প্রাপ্ত লক্ষ্মী মায়েদের ও ১০০দিনের কাজের মজুরদের হাতে তিনি নিজে ও ব্লক সভাপতি গোলাপ ফুল ও মিষ্টির প্যাকেট দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

 সেখানকার সহায়তা কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেলো একটা উৎসবের মেজাজে রয়েছেন সবাই। সবাইয়ের চোখে মুখেই হাসি ফুটে উঠেছে। সকল উপভোক্তা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

মেমারি ১ ব্লকের বিভিন্ন সহায়তা কেন্দ্র ঘুরে কাজের তদারকি করেন মেমারি বিধান সভার বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।