Scrooling

উচ্চমাধ্যমিক ২০২৫ প্রথম দশে ৭২ জন। প্রথম হয়েছে রূপায়ন পাল। রূপায়ন বর্ধমান সিএমএস হাইস্কুলের ছাত্র। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৭ ( ৯৯.৪ শতাংশ) # ২০২৫ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় রাজ্যে প্রথম রায়গঞ্জের করোনেশন হাইস্কুলের অদৃত সরকার। প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৬ নম্বর # ষষ্ঠ সিন্ধু জিব্রাল্টার জয় করে ইতিহাসের পাতায় সায়নী # বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ, শুভেচ্ছা বার্তা পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় # সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ২৫ হাজার ৭৫২ জন শিক্ষকের চাকরি গেল # আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি বিজয়ী ভারত, নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে তৃতীয় বারের জন্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হল ভারত # প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়, মুখ্যমন্ত্রীর শোকজ্ঞাপন # বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাজ্যসভার সাংসদ হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় # 'দাদাসাহেব ফালকে' সম্মানে ভূষিত হলেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী

মীর তাবারক আলী প্রতিষ্ঠিত মা বনবিবি মেলায় সম্প্রীতির নজির


 

মীর তাবারক আলী প্রতিষ্ঠিত মা বনবিবি মেলায় সম্প্রীতির নজির




Atanu Hazra
Sangbad Prabhati, 8 February 2024

অতনু হাজরা, জামালপুর : দামোদর নদে চান করতে গিয়ে একটি বড় শিলা খন্ড তুলে আনেন মীর তাবারক আলী। শোনা যায় তার পরই তিনি স্বপ্নাদেশ পান মা বনবিবির। তিনি যে শিলা খন্ড তুলে এনেছেন দামোদর থেকে তাকে যেন মা বনবিবি নামে প্রতিষ্ঠিত করা হয়।

 বনবিবিতলা স্কুলের পাশেই আছে মা বনবিবির স্থান। মীর তাবারক আলীর পর বংশ পরম্পরায় তাঁর বংশধররাই সেবাইত হিসাবে নিযুক্ত। বর্তমানে মীর সাহাবুদ্দিন, মীর সইফুদ্দিন সহ অন্যান্যরা আছেন সেবাইতের দায়িত্বে। ২৪ শে মাঘ শুরু এই মেলা চলবে ২৯ শে মাঘ পর্যন্ত।

এলাকার প্রাক্তন শিক্ষক শক্তি পদ কোলে দামোদরের জল থেকে শিলা খন্ড পাওয়ার গল্প শোনান। তিনি আরো বলেন, একটা পুরো এলাকা বন জঙ্গলে ভর্তি ছিল। সেই থেকে মা বনবিবি নাম হতে পারে বলে তিনি জানান। আশপাশের সব গ্রাম এমন কি অনেক দুর দূরান্ত থেকে মানুষ আসেন এই মেলায় পুজো দিতে। বিভিন্ন মানুষের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হলেই বছরের এই সময় তাঁরা ঘোড়া সিন্নি ও চাদর চড়িয়ে পুজো দেন। 

আজকে এই মেলা উদ্বোধন করতে উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ তথা তৃণমূলের জামালপুর ব্লক সভাপতি মেহেমুদ খান, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পূর্ণিমা মালিক, জামালপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান ডলি নন্দী সহ বিশিষ্ট জনেরা। 

মেহেমুদ খান বলেন, প্রতিবছরই তিনি এই মেলার উদ্বোধন করতে আসেন। এটি একটি সম্প্রীতির মেলা। হিন্দু মুসলিম সব ধর্মের মানুষজনই এই মেলায় অংশ গ্রহণ করেন ও পুজো দেন। তিনি এই মেলায় আসতে পেরে ও চাদর চড়াতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছেন। মেলায় নানা রকমের দোকান বসেছে। স্থানীয় প্রচুর মানুষ মেলা দেখতে আসেন। শেষ দিন কয়েক হাজার মানুষের জন্য খিচুড়ি ভোগের ব্যবস্থা থাকে।