Scrooling

উচ্চমাধ্যমিক ২০২৫ প্রথম দশে ৭২ জন। প্রথম হয়েছে রূপায়ন পাল। রূপায়ন বর্ধমান সিএমএস হাইস্কুলের ছাত্র। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৭ ( ৯৯.৪ শতাংশ) # ২০২৫ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় রাজ্যে প্রথম রায়গঞ্জের করোনেশন হাইস্কুলের অদৃত সরকার। প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৬ নম্বর # ষষ্ঠ সিন্ধু জিব্রাল্টার জয় করে ইতিহাসের পাতায় সায়নী # বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ, শুভেচ্ছা বার্তা পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় # 'দাদাসাহেব ফালকে' সম্মানে ভূষিত হলেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী

বর্ধমানে সংখ্যালঘুদের জন্য বহুতল ছাত্রাবাস নির্মাণের পথে, পূর্ব বর্ধমান জেলায় বৃহত্তম প্রকল্প


 

বর্ধমানে সংখ্যালঘুদের জন্য বহুতল ছাত্রাবাস নির্মাণের পথে, পূর্ব বর্ধমান জেলায় বৃহত্তম প্রকল্প




Sangbad Prabhati, 20 January 2024

ডিজিটাল ডেস্ক রিপোর্ট, সংবাদ প্রভাতী : সংখ্যালঘু ছাত্রদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে থাকার সুবন্দোবস্ত করে দিতে বিশেষ ভাবে উদ্যোগী তেঁতুলতলা বাজার ওয়াকফ এষ্টেট কমিটি। তাদের এক দশকের প্রয়াস এবার সফল হতে চলেছে। শনিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই জানালেন তেঁতুলতলা ওয়াকফ এষ্টেট এর সভাপতি সেখ মোজাম্মেল হক, সম্পাদক নুরুল আলম সহ অন্যান্য পদাধিকারীরা। এবিষয়ে তাঁরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। কারণ বহুতল ছাত্রাবাস গড়ে তুলতে খরচ ধরা হয়েছে ৩ কোটি ৬৬ লক্ষ টাকা। এই টাকার পুরোটাই অনুমোদন বরাদ্দ করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সংখ্যালঘু দপ্তর। এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে সভাপতি ও সম্পাদক ছাড়াও কমিটির সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সেখ কামরুদ্দিন, হাসিবুল হাসান, আব্দুল হাই, নজরুল হুদা, মহসিন আনসারী, মহঃ কে আবেদিন সহ অন্যান্যরা 

সাংবাদিক সম্মেলনে তেঁতুলতলা বাজার ওয়াকফ এষ্টেট এর কর্মকর্তারা জানান, পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল ২০১৩ সালে। তারপর অনেকগুলো বছর পার করে স্বপ্ন পূরণের পথে এগোনো সম্ভব হয়েছে। শহর বর্ধমানের তেঁতুলতলা বাজার ওয়াকফ এষ্টেট এর উদ্যোগে এবার হতে চলেছে একটি বহুতল ছাত্রাবাস। বর্ধমান শহরে এই প্রথম এ ধরনের উদ্যোগ বলে জানানো হয়েছে। রাজ্য সরকারের সংখ্যালঘু দপ্তরের অনুমোদন নিয়ে এই বহুতল ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। এর জন্য সরকারি অর্থ বরাদ্দের পাশাপাশি টেন্ডার প্রক্রিয়ার কাজ শেষ হয়েছে বলে দাবি করেছেন এষ্টেট কমিটির কর্মকর্তারা। শনিবার সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে এই প্রকল্পের যাবতীয় তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। 

   জানা গেছে ২০১৩ সালে তৎকালীন পশ্চিমবঙ্গ ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান আব্দুল গণি তেঁতুলতলা বাজার ওয়াকফ এষ্টেট এর ভবন সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তারপর আলাপ আলোচনা করে ওয়াকফ এষ্টেট মতোয়াল্লি কমিটি তেঁতুলতলা বাজারে তাদের নিজস্ব পুরনো ভবন ভেঙ্গে বহুতল ছাত্রাবাস নির্মান প্রকল্প জমা দেয়। প্রকল্প অনুমোদন পায় ২০১৫ সালে। তারও দু বছর বাদে ২০১৭ সালে ওই প্রকল্প পাঠানো হয় পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু দপ্তরে। তার পর চুড়ান্ত অনুমোদন টাকা বরাদ্দ সহ একাধিক কাজে কয়েক মাস কেটে যায়। কিন্তু হাল ছাড়েননি ওয়াকফ বোর্ডের ১১ জন সদস্য। ২০১৩ সাল থেকে একানাগারে লেগে থেকে তারা বহুতল ছাত্রাবাস গড়ার স্বপ্ন পূরণে সাফল্য পেয়েছেন। ২০ জানুয়ারি সাংবাদিক সম্মেলনে সেই কথাই উল্লেখ করেছেন সভাপতি, সম্পাদক সহ অন্যান্য সদস্যরা।  

 তেঁতুলতলা বাজার ওয়াকফ এষ্টেট এর এই বহুতল ছাত্রাবাস গড়ে তুলতে খরচ ধরা হয়েছে ৩ কোটি ৬৬ লক্ষ টাকা। এই টাকার পুরোটাই অনুমোদন বরাদ্দ করেছে পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু দপ্তর। এরই মধ্যে প্রকল্প রূপায়ণের জন্য পূর্ব বর্ধমান জেলা পূর্ত দপ্তরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। টেন্ডার প্রক্রিয়ার পর দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে ঠিকাদারকে। কাজ শুরু হয়েছে প্রাথমিক ভাবে। ওয়াকফ এষ্টেট এর সম্পাদক নুর আলম জানিয়েছেন নির্মাণ স্থান খালি করার জন্য সংশ্লিষ্ট দোকানদার ও ব্যাবসায়ীদের নিয়ে বৈঠক হয়। দোকান ঘর গুলো খালি করার পর একবছরের মধ্যে তাদের নতুন করে দোকান দেওয়া হবে বলে ঘোষণা হয়েছে। এর জন্য তাদের বাড়তি টাকা যেমন দিতে হবে না, একই ভাবে এক বছর তাদের কাছে ওয়াকফ এষ্টেট কোন ভাড়া আদায়ও করা হবে না বলে জানিয়েছেন। একতলায় এরকম ৪৫ টি দোকান ঘর আছে। তেঁতুলতলা বাজার ওয়াকফ এষ্টেট এর সম্পাদক দাবি করেছেন এই বহুতল ছাত্রাবাস সংখ্যালঘুদের জন্য পূর্ব বর্ধমান জেলার বৃহত্তম প্রকল্প। পাঁচতলা পর্যন্ত ছাত্রাবাসে থাকবে ৭২ টি ঘর। এই ভবন নির্মাণ এর জন্য দেড় বছর সময় সীমা ধার্য আছে। ওয়াকফ এষ্টেট এই এলাকায় মোট ২২ কাটা জায়গা আছে। তার মধ্যে ৪ কাটা জায়গা তে এই বহুতল ভবন নির্মাণ করা হবে। যদিও গত কয়েক বছরে তেঁতুলতলা বাজার ওয়াকফ এষ্টেট এর বেশির ভাগ জমি বেদখল হয়ে গেছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন তারা। তবে যে টুকু জমি আছে এই প্রকল্পের পর আগামী দিনেে বেশ কয়েকটি পরিকল্পনা আছে বলে তারা দাবি করেছেন।