Women's Freedom
মাটির কাছাকাছি মহিলাদের মনের কথা বলার সুযোগ করে দিচ্ছে একুশ শতকের নারী
Sangbad Prabhati, 12 October 2023
লুতুব আলি, কলকাতা : একবিংশ শতাব্দীতে পৃথিবীতে মানব সভ্যতার আমল পরিবর্তন ঘটেছে। কিন্তু অধিকাংশ মানুষের ব্যবহারিক আচরণে কৃত্রিমতা পরিলক্ষিত ! অবক্ষয়িত সমাজ ব্যবস্থার এটি তার জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত। কর্ম ক্ষেত্রে নারীরা পুরুষদের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে তা সত্ত্বেও অনেক নারী এখনো পুরুষশাসিত সমাজ ব্যবস্থার দ্বারা পর্যবসিত হওয়ায় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা তথা নারীদের আয়না "একুশ শতকের নারী" এ বিষয়ে উদ্বিগ্ন! একুশ শতকের নারী'র কর্ণধার তথা কার্যনির্বাহী সম্পাদক কুমার রায় কলকাতায় এক অভিনব অনুষ্ঠান করলেন। এই অনুষ্ঠানের শতাধিক নারীরা উপস্থিত হয়ে তারা ভাব বিনিময় করলেন।২০২৩ শারদীয়া উপলক্ষে একুশ শতকের নারী একটি মননশীল পত্রিকা ও সম্মাননা জ্ঞাপন হল। শিয়ালদহ কৃষ্ণপদ মেমোরিয়াল হলে ২১ শতকের নারী আয়োজিত শীর্ষক বর্ণময় অনুষ্ঠান বিশেষভাবে রেখাপাত করে। অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন ভাষণ পত্রিকার কার্যনির্বাহী সম্পাদক কুমার রায়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন লক্ষীনারায়ণ চক্রবর্তী। সঙ্গে ছিলেন দুই বাংলার আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কবি আরণ্যক বসু, শিশু সাহিত্যিক ও আমার ভারত আন্তর্জাতিক সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক আব্দুল করিম, সুকুমার রোজ, আরতি বন্দ্যোপাধ্যায়, কবি নুরুল ইসলাম, রাজিব মন্ডল প্রমুখ। এক সাক্ষাৎকারে কুমার রায় বলেন, মহিলাদের মনের কথা বলার বলার মাটির কাছাকাছি সংমিশ্রণের তেমন কোন মাধ্যম নেই। হাতেগোনা যার দু একটি আছে তা আবার কর্পোরেট লেভেলের। সাধারণ মহিলাদের কথা সেখানে স্থান পায় না। এই শূন্যতাকে উপলব্ধি করে একুশ শতকের নারী কে সামনে এনেছি। শতশত মহিলা তাদের মনের কথা, মহিলাদের অত্যাচারিত হওয়ার নানান দিক গুলি তুলে ধরে, প্রাণ খুলে লিখতে পারছেন নারী, একুশ শতকের নারী সাময়িকীতে। এই সাময়িকীটির প্রথম সংখ্যা প্রকাশ করেছে মা। দ্বিতীয় সংখ্যায় ছিল পণপ্রথা সামাজিক ব্যাধি। সরকারিভাবে পণপ্রথা নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও পণপ্রথাকে রদ করা যায়নি। এ বিষয়ে বিভিন্ন লেখক লেখিকাদের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন বিভিন্ন লেখা স্থান পেয়েছে এই সংখ্যাটিতে।
২০২৩ সালের একুশ শতকের নারী হিসেবে প্রকাশিত হলেও এই সংখ্যাটি মেয়েদের শ্বশুরবাড়ি হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। অধিকাংশ মেয়েরা বাপের বাড়ি থেকে শ্বশুর বাড়ি গিয়ে যে যে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় সেই ব্যাপারে বার্তা দেওয়ার জন্য এই সংখ্যাটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এই অনুষ্ঠানে কবি সাহিত্যিক গুণী ব্যক্তিদের সঙ্গে প্রায় শ খানেক লিটল ম্যাগাজিনের সম্পাদকদেরও বিশেষভাবে সম্মানিত করা হয়। এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান শিশু সাহিত্যিক ও আমার ভারত আন্তর্জাতিক সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক আব্দুল করিম, হলদিয়ার আলেয়া মেলার সম্পাদক কাজী শামসুল আলম, মুর্শিদাবাদের সুতি থেকে প্রকাশিত উত্তরের সিঁড়ি'র সম্পাদক গোলাম কাদের প্রমুখ। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শান্তি নাথ চক্রবর্তী, সানারুল মোমিন, ছোটন গুপ্ত, মোহাম্মদ রহিম শেখ, কবি রানু রায়, তপন বিশ্বাস, দুর্গা দাস মিদ্দে, সোমা বিশ্বাস, কেয়া মুখার্জী রায়, নবগোপাল চৌধুরী, সৈয়দ হুমায়ুন রানা প্রমুখ।