Scrooling

আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেলেন বঙ্গতনয়া, ৮২তম ভেনিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের অরিজন্তি বিভাগে সেরা পরিচালকের খেতাব জয় করলেন চিত্রপরিচালক অনুপর্ণা রায়। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর শুভেচ্ছা। # রজতজয়ন্তী বর্ষে সংবাদ প্রভাতী পত্রিকা। সকল পাঠক-পাঠিকা বিজ্ঞাপনদাতা ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি শুভেচ্ছা # বর্ধমানে জাতীয় সড়কে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় ১১ পুণ্যার্থীর মৃত্যু। মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর # UGC NET 2025-এ অল ইন্ডিয়া র‍্যাঙ্ক-১ করেছেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের পিএইচডি স্কলার নিলুফা ইয়াসমিন # উচ্চ মাধ্যমিকের পর নিটেও রাজ্যে প্রথম বর্ধমানের রূপায়ণ পাল। # ষষ্ঠ সিন্ধু জিব্রাল্টার জয় করে ইতিহাসের পাতায় সায়নী # 'দাদাসাহেব ফালকে' সম্মানে ভূষিত হলেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী

বাংলা-ঝাড়খন্ড সীমানা সংযোগকারী গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার বেহাল দশায় ক্ষোভ বাড়ছে


 

বাংলা-ঝাড়খন্ড সীমানা সংযোগকারী গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার বেহাল দশায় ক্ষোভ বাড়ছে 


Kajal Mitra
Sangbad Prabhati, 5 October 2023

কাজল মিত্র, আসানসোল : সংস্কারের অভাবে বেহাল সালানপুর ব্লকের পশ্চিমবাংলায় ও ঝাড়খন্ড সংযোগকারী বাংলা সীমানার গুরুত্বপূর্ণ প্রায় এক কিলোমটার রাস্তা। রাস্তাটি চরম বেহাল দশা, গোটা রাস্তায় পিচের আস্তরণ উঠে অংসখ্য খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। গত কয়েকদিনের বর্ষণে ওই সব গর্তে জল জমে প্রায় পুকুরে পরিণত হয়েছে। ক্ষোভে ফুঁসছে এলাকার মানুষজন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ ওই রাস্তায় যাতায়াত করাই দুষ্কর হয়ে উঠেছে। অথচ ওই রাস্তার পাশেই রয়েছে পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ আরমান এর আবাসন।

গুরুত্বপূর্ন এই রাস্তাটি আসানসোল থেকে আল্লাডি মোড় হয়ে পিঠাকেয়ারি ঝাড়খন্ড রোড হয়ে জামতাড়া জেলা প্রবেশ করেছে।  প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে কমবেশী ৫০হাজারেরও বেশি মানুষ যাতায়াত করেন। চলে অংসখ্য ট্রেকার, বাস ও মিনিবাস।

খানাখন্দে ভরপুর রাস্তাটিতে হামেশাই ঘটছে ছোটখাট দুর্ঘটনা। বেহাল রাস্তাটি অবিলম্বে সংস্কারের দাবি তুলেছেন স্থানীয় মানুষজন। স্থানীয় কিছু মানুষ অভিযোগ করেছেন দীর্ঘ কয়েকবছর ধরে এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি সংস্কারের অভাবে বেহাল। পঞ্চায়েত বা জেলা পরিষদ এমনকী পূর্ত দপ্তরের কোনও হেলদোল নেই। অথচ এই রাস্তার দিয়েই রূপনারায়ণপুর শহরের একমাত্র পিঠাকেয়ারী হাসপাতাল যাবার প্রধান রাস্তা। তাই প্রতিদিন এই রাস্তা উপরই নির্ভর করেন হাজার হাজার রোগী। যাত্রীবাহী বাস বা ট্রেকার গুলির অবস্থা এমনই যে খানাখন্দে ভরা রাস্তায় যাওয়ার ফলে যে কোনও মুহূর্তে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বেশ কয়েক বছর আগে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনা প্রকল্পে নামমাত্র কাজ হয়েছিল বটে। কিন্তু তা এমনই নিম্নমানের যে দিন কয়েক যেতে না যেতেই রাস্তার অবস্থা আগের মত বেহাল। তবে এই রাস্তাটির বেহাল দশার কথা স্বীকার করেছেন জেলা পরিষদ এর কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ আরমান। তিনি জানান, রাস্তাটি মেরামত ও সংস্কারের জন্য ইতিমধ্যেই সভাধিপতি, জেলাশাসক,ও স্থানীয় বিধায়ক বিধান উপাধ্যায় কে জানানো হয়েছে । তবে এই রাস্তার জন্য বড় পরিমাণ টাকার প্রয়োজন কারন বড় বড় ৫০ টন থেকে ৬০ টন এর মালবাহী ট্রাক প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে। তাই ১৫- ২০ টনের রাস্তা তৈরি হলে একই দশা হবে।