Scrooling

আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেলেন বঙ্গতনয়া, ৮২তম ভেনিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের অরিজন্তি বিভাগে সেরা পরিচালকের খেতাব জয় করলেন চিত্রপরিচালক অনুপর্ণা রায়। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর শুভেচ্ছা। # রজতজয়ন্তী বর্ষে সংবাদ প্রভাতী পত্রিকা। সকল পাঠক-পাঠিকা বিজ্ঞাপনদাতা ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি শুভেচ্ছা # বর্ধমানে জাতীয় সড়কে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় ১১ পুণ্যার্থীর মৃত্যু। মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর # UGC NET 2025-এ অল ইন্ডিয়া র‍্যাঙ্ক-১ করেছেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের পিএইচডি স্কলার নিলুফা ইয়াসমিন # উচ্চ মাধ্যমিকের পর নিটেও রাজ্যে প্রথম বর্ধমানের রূপায়ণ পাল। # ষষ্ঠ সিন্ধু জিব্রাল্টার জয় করে ইতিহাসের পাতায় সায়নী # 'দাদাসাহেব ফালকে' সম্মানে ভূষিত হলেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী

Karma Festival মহাসমারোহে কর্মা উৎসব, ঝুমুর, ভাদু গান ও নৃত্যানুষ্ঠানে মাতোয়ারা আদিবাসী সমাজ


 

Karma Festival

মহাসমারোহে কর্মা উৎসব, ঝুমুর, ভাদু গান ও নৃত্যানুষ্ঠানে মাতোয়ারা আদিবাসী সমাজ 




Kajal Mitra
Sangbad Prabhati, 23 September, 2023

কাজল মিত্র, বারাবনি : পশ্চিম বর্ধমান জেলার বারাবনি ব্লকের পানুড়িয়া পঞ্চায়েতের বাঁশপাহাড়ি রায়পাড়া ফুটবল ময়দানে অনুষ্ঠিত হল ঘাটওয়াল আদিবাসী সমাজের চতুর্থ তম কর্মা উৎসব। এই উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বারাবনির বিধায়ক তথা আসানসোল পৌর নিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায় ও বারাবনি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অসিত সিংহ। এদিনের এই অনুষ্ঠানে আদিবাসী মহিলারা সমাজের রীতিনীতি মেনে বিধায়কের পা ধুয়ে দেন একই সাথে প্রধান অতিথিদের ফুলের তোড়া ও ব্যাচ পরিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। 

অনুষ্ঠানে সালানপুর ও বারাবনি ব্লকের বহু গ্রামের মানুষ অংশ গ্রহন করেন। এদিন তারা সারাদিন ব্যাপী ঝুমুর গান, ভাদু গান ও নৃত্য অনুষ্ঠানের শোভা বাড়ায়।

বিধায়ক তথা আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায় কর্মা উৎসবের রীতি মেনে প্রদীপ জ্বালিয়ে ও পূজা অর্চনা করে এই উৎসবের শুভ সূচনা করেন। এরপর অনুষ্ঠানের সম্পর্কে বিধায়ক জানান, প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও আদিবাসী ঘাটোয়াল সমাজের পক্ষ থেকে এই কর্মা উৎসব পালন করা হচ্ছে। বিগত তিন বছর সালানপুর ব্লকে এই উৎসব পালিত হলেও এবছরে বারাবনি ব্লকে ধুমধামের সাথে পালন করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানে এসে আমার খুবই ভালো লাগে। যেভাবে সুষ্ঠু ভাবে সাংস্কৃতিক রীতিনীতি মেনে এই উৎসব হয়ে থাকে তাতে প্রতিটি সমাজের মানুষ এসে এই উৎসবে অংশগ্রহণ করে। তাছাড়া আমাদের রাজ্যে প্রতিটি ধর্মের মানুষ সকল ধর্মের মানুষের উৎসবে একত্রিত হয়ে একই সাথে উৎসবে মেতে ওঠে। আর কিছুদিন পরেই আমাদের শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গা পূজা এই উৎসবেও সকল ধর্মের মানুষ একত্রিত হয় এবং আনন্দে মেতে উঠি। তিনি আরও বলেন যে, এই সমাজের উন্নয়নের জন্য যে ধরনের সাহায্যের প্রয়োজন, তা আমি আগেও বলে এসেছি এখনো বলছি সব সময় পাশে আছি আর থাকব।

এই অনুষ্ঠান সম্পর্কে ঘাটওয়াল সমাজের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি সহদেব রায় বলেন, আমাদের এই উৎসব বহু যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। এই পুজো একটি কর্মা গাছের পুজো যা বাড়ির মহিলারা সাত দিন ধরে দেবতা হিসেবে পুজো করে থাকে। মহিলারা সাত দিন ধরে কর্মা গাছের ডাল পুঁতে সারারাত ধরে এই পুজো করে থাকেন। তাছাড়া এই উৎসবে বোন ও দিদিরা ভাই দাদাদের দীর্ঘায়ু কামনায় উপবাস করে এই পুজো করেন।এরপর সকলে একদিন একত্রিত হয়ে নাচ গান পূজা পাঠ খাওয়া দাওয়া করেন। এবং ঘাটওয়াল সমাজের বহু মহিলা ও পুরুষ এই অনুষ্ঠানে এসে একসাথে আনন্দে মেতে ওঠেন।

শনিবারের এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পানুরিয়া পঞ্চায়েত প্রধান বিশ্বজিৎ সিংহ, উপপ্রধান আশিষ মন্ডল। এছারা ঘাটওয়াল সমাজের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি সহদেব রায়, সম্পাদক শিবু রায়, কোষাধ্যক্ষ শংকর রায়, পরামর্শদাতা দিলীপ রায়, সুবল রায়, নিরঞ্জন রায়, লখাই রায়, তারাপদ রায় শম্ভু রায়, ধ্রুব সিং সহ অনেকে।