Scrooling

আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেলেন বঙ্গতনয়া, ৮২তম ভেনিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের অরিজন্তি বিভাগে সেরা পরিচালকের খেতাব জয় করলেন চিত্রপরিচালক অনুপর্ণা রায়। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর শুভেচ্ছা। # রজতজয়ন্তী বর্ষে সংবাদ প্রভাতী পত্রিকা। সকল পাঠক-পাঠিকা বিজ্ঞাপনদাতা ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি শুভেচ্ছা # বর্ধমানে জাতীয় সড়কে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় ১১ পুণ্যার্থীর মৃত্যু। মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর # UGC NET 2025-এ অল ইন্ডিয়া র‍্যাঙ্ক-১ করেছেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের পিএইচডি স্কলার নিলুফা ইয়াসমিন # উচ্চ মাধ্যমিকের পর নিটেও রাজ্যে প্রথম বর্ধমানের রূপায়ণ পাল। # ষষ্ঠ সিন্ধু জিব্রাল্টার জয় করে ইতিহাসের পাতায় সায়নী # 'দাদাসাহেব ফালকে' সম্মানে ভূষিত হলেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী

Social Activist Minister Swapan Debnath দুই অনাথ শিশুর পড়াশোনা থেকে ভরণপোষণের দায়িত্ব নিলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ


 

Social Activist Minister Swapan Debnath

দুই অনাথ শিশুর পড়াশোনা থেকে ভরণপোষণের দায়িত্ব নিলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ 






Jagannath Bhoumick
Sangbad Prabhati, 16 July 2023

জগন্নাথ ভৌমিক, কালনা : পূর্ব বর্ধমান জেলার ব্যান্ডেল কাটোয়া শাখার সমুদ্রগড় রেল স্টেশন থেকে রবিবার কালনা জিআরপি থানার পুলিশ শংকর মাঝি ও মিলন মাঝি নামে দুটি নাবালক শিশুকে উদ্ধার করেছে। বাবা থাকতেও সৎ মায়ের অনাদরে শিশুরা বাস্তবে অনাথ। খবর পেয়ে কালনা জিআরপি-তে পৌঁছে যান রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। এবং প্রাথমিক কথাবার্তা বলে দুই শিশুর ভরণপোষণের দায়িত্ব নিলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। পূর্বস্থলী দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বগপুর অঞ্চলে দামোদর পাড়া এলাকায় মন্ত্রীর অনাথ আশ্রমেই থাকবে ওই দুই শিশু। 

দামোদর পাড়া সমাজ কল্যাণ হোমের নাম হয়তো অনেকেই শুনেছেন। রাজ্যের প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের উদ্যোগে গড়ে ওঠা বৃদ্ধাশ্রম ও অনাথ আশ্রম। মন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে খুব সুন্দর ভাবে পরিচালিত হচ্ছে এই আশ্রম। সেখানে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন শিশু থাকে। পড়াশোনা খাওয়াদাওয়া-সহ তাদের যাবতীয় দায়িত্ব নিয়েছেন মন্ত্রী নিজে। এবার থেকে সেখানে থাকবে মিলন ও শংকরও। নতুন আস্তানা পাওয়ায় খুশি দুই শিশু।

কথায় আছে, "কীর্তি যস্য স জীবতি"। কীর্তি যার থাকবে তিনিই মানুষের মধ্যে বেঁচে থাকবেন। অর্থাৎ জীবদ্দশায় এমন কিছু করে যাও যাতে মানুষ তোমারই গুনগান করে। আর সেই কাজটাই নীরবে করে চলেছেন স্বপন দেবনাথ। জীবনে অনেক কঠিন পথ অতিক্রম করে আজ তিনি রাজ্যের মন্ত্রী। পূর্বস্থলী ১ ব্লকের বিদ্যানগর গ্রামের সুসন্তান স্বপন দেবনাথ বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করে জাহান্নগর কুমারানন্দ হাই স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি পান। ছাত্রাবস্থা থেকে বর্ধমান জেলা কংগ্রেস সভাপতি পরেশ গোস্বামীর হাত ধরে রাজনীতির আঙ্গিনায় প্রবেশ। পরে চাকরি ছেড়ে কালনা মহকুমা আদালতে ওকালতি শুরু করেন। সামাজিক কাজ কর্মেও স্বপনবাবুর বিচরণ সর্বত্র। ১৯৯৯ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেস ছেড়ে এসে তৃণমূল কংগ্রেস গঠন করলে স্বপন দেবনাথও দিদির অনুগামী হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেসে নাম লেখান। হেমাতপুর মোড়ে এসটিকেকে রোডের ধারে জেলার প্রথম তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয় গড়ে তোলেন। এরপর রাজনীতির ময়দানে কঠিন লড়াইয়ের মাধ্যমে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সমর্থ হয়েছেন। সাইকেল চালিয়ে মাইলের পর মাইল রাস্তা পাড়ি দিয়েছেন। সুবিধা অসুবিধায় মানুষের পাশে থেকে কাজ করেছেন। জনসেবা মূলক যেকোনও কাজে অগ্রপথিকের ভূমিকা নিয়ে চলতেন। এলাকার মানুষও স্বপন দেবনাথ কে নিজেদের একজন বলেই ভাবেন। ফলে ২০০৬ সালে বাম আমলে দোর্দন্ডপ্রতাপ সিপিআইএম দলকে পরাজিত করে বিধায়ক নির্বাচিত হন। এরপরেই আবালবৃদ্ধবনিতার দুঃখ দুর্দশা ঘোঁচাতে গড়ে তোলেন দামোদর পাড়া বৃদ্ধাশ্রম ও অনাথ আশ্রম। এরকমই আরও অনেক ছোট বড় কীর্তি রয়েছে তাঁর। যার ফলেই স্বপন দেবনাথ দুঃস্থ অসহায় মানুষের বন্ধু