চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

Sant Nirankari Mandal নিরঙ্কারী মিশনের উদ্যোগে মানব একতা দিবস পালন, রক্তদানের পাশাপাশি আধ্যাত্মিক ধর্মসভা এবং ব্রহ্মভোজ

 


Sant Nirankari Mandal

নিরঙ্কারী মিশনের উদ্যোগে মানব একতা দিবস পালন, রক্তদানের পাশাপাশি আধ্যাত্মিক ধর্মসভা এবং ব্রহ্মভোজ 


Jagannath Bhoumick
Sangbad Prabhati, 24 April 2023

জগন্নাথ ভৌমিক, বর্ধমান : আজকের দিনটি নিরঙ্কারী মিশনের জন্য একটি শুভ দিন। ১৯৮০ সালের ২৪ এপ্রিল মহানুভবতার মহান উপাসক বাবা গুরুবচন সিং জি মহারাজ ঘাতকদের হাতে আত্মাহুতি দিয়েছেন। যারা মানবজাতিকে বিভক্ত করার চেষ্টা করেছিল। এই দিনে, প্রতি বছর সারা বিশ্বে নিরঙ্কারী মিশন তাঁকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে। 

মে সকল মহাপুরুষ এই মিশনের জন্য নিজেদের উৎসর্গ করেছেন, ব্যাপকভাবে রক্তদানের মাধ্যমে দিনটিকে 'মানব একতা দিবস' হিসেবে পালন করে নিরঙ্কারী মিশন। আজ সারা বিশ্বের সঙ্গে বর্ধমানেও যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনটি পালন করা হয়। আজ সন্ত নিরঙ্কারী সৎসঙ্গ ভবনে রক্তদান কার্যক্রমের পাশাপাশি আধ্যাত্মিক ধর্মসভা এবং ব্রহ্মভোজ এর ব্যবস্থা করা হয়। 

সোমবারের মহতী কর্মযজ্ঞে উপস্থিত ছিলেন মহাত্মা নিমাই চাঁদ সাউ। তিনিই আজ সৎসঙ্গতের গুরুগদিতে ধর্মসভায় আধ্যাত্মিক সচেতনতা বিষয়ক আশীর্বানী শোনান। উপস্থিত ছিলেন মিশনের বর্ধমান শাখার মুখপাত্র রতন কুমার সাউ ও মঙ্গল পন্ডিত এবং মিশনের প্রেস রিপ্রেজেন্টেটিভ দেবকীনন্দন কর।

সন্ত নিরঙ্কারী চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আয়োজিত রক্তদান শিবিরে মোট রক্তদান ১৫২ ইউনিট রক্ত সংগৃহীত হয়। এর মধ্যে পুরুষ ১০৩ জন এবং মহিলা ৪৯ জন রক্তদান করেন। মিশনের প্রেস রিপ্রেজেন্টেটিভ দেবকীনন্দন কর জানান, বাবা গুরু বচন সিং জি মানব জীবনকে সমস্ত ধরণের মায়া থেকে মুক্ত করেছিলেন। তাঁকে উপলব্ধি করে সমস্ত ভক্তরা বাবা হরদেব সিং জির অনুপ্রেরণামূলক বার্তা দ্বারা একটি নতুন ইতিবাচক দিকনির্দেশনা পেয়েছিলেন যে "রক্ত শিরায় প্রবাহিত হওয়া উচিত, নালায় নয়"। প্রতিটি নিরঙ্কারী ভক্ত মানবতার কল্যাণে তাদের জীবনে একই অনুপ্রেরণামূলক বার্তা গ্রহণ করছে। গুরুর নির্দেশ মতো আজ বর্ধমানের লক্ষীপুর মাঠ বেনফেড লেনে সন্ত নিরঙ্কারী সৎসঙ্গ ভবন এলাকায় এক স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে সন্ত নিরঙ্কারী চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন। 

২৪ এপ্রিল এবং সারা বছর জুড়ে ৫০ হাজার ইউনিট রক্ত ​​সংগ্রহের লক্ষ্য নিয়ে ভারতে ৪৯০ টিরও বেশি বিভিন্ন স্থানে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হচ্ছে। আজ বর্ধমান ও কুলটি শাখায় এই রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তিনি বলেন, বর্ধমান জোনের বাকি অংশে, যেমন পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাগুলি নিয়ে মোট ১৫১০ ইউনিট রক্তদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিবছর এই দিনে রক্তদান শিবির করা হয়। শুধু বর্ধমান জেলাতেই নয় গোটা বিশ্বে এই রক্তদান শিবির করা হয়।