চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

New Education Policy ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আসছে, মাধ্যমিক বাদ বোর্ডের পরীক্ষা দ্বাদশ শ্রেণীতে, নতুন শিক্ষানীতির বিষয়বস্তু এক নজরে


 

New Education Policy


Jagannath Bhoumick
Sangbad Prabhati, 30 April 2023


ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আসছে, মাধ্যমিক বাদ বোর্ডের পরীক্ষা দ্বাদশ শ্রেণীতে, নতুন শিক্ষানীতির বিষয়বস্তু এক নজরে 


জগন্নাথ ভৌমিক
সংবাদ প্রভাতী, ৩০ এপ্রিল ২০২৩
ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আসছে। নতুন শিক্ষানীতিতে অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। পঞ্চম শ্রেণী থেকে সিলেবাসে আমূল পরিবর্তন। নবম শ্রেণি থেকেই আর্টস - কমার্স - সায়েন্স পড়ার সুযোগ। মাধ্যমিক পরীক্ষা বলে কিছু থাকবে না। বোর্ডের পরীক্ষা দ্বাদশ শ্রেণীতে অনুষ্ঠিত হবে।

বিদ্যালয় স্তরের শিক্ষাকে চারটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ফাউন্ডেশনাল, প্রিপারেটরি, মিডল এবং সেকেন্ডারী।

নতুন শিক্ষানীতির উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো হলো নার্সারি শুরু ৪ বছর বয়সে। জুনিয়র কেজি ৫ বছরে, সিনিয়র কেজি ৬ বছরে, স্ট্যান্ডার্ড ওয়ান ৭ বছরে, স্ট্যান্ডার্ড টু ৮ বছরে, দ্বিতীয় শ্রেণী থেকে তিন বছরের প্রস্তুতিমূলক শিক্ষা। স্ট্যান্ডার্ড থ্রি ৯ বছরে, স্ট্যান্ডার্ড ফোর ১০ বছরে, স্ট্যান্ডার্ড ফিফথ ১১ বছরে। 

স্ট্যান্ডার্ড ফিফথ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের শুধুমাত্র মাতৃভাষা, স্থানীয় ভাষা ও জাতীয় ভাষায় পড়ানো হবে। বাকি বিষয় ইংরেজি হলেও পড়ানো হবে বিষয় হিসেবে। 

এরপর স্ট্যান্ডার্ড সিক্সথ ১২ বছরে, স্ট্যান্ডার্ড সেভেনথ ১৩ বছরে, স্ট্যান্ডার্ড এইটথ ১৪ বছরে। স্ট্যান্ডার্ড নাইনথ ১৫ বছরে। এখান থেকেই শুরু বোর্ডের পরীক্ষার সেমিস্টার ভিত্তিক পরীক্ষা। নবম শ্রেণিতে পাঁচটি সেমিস্টারে পরীক্ষা হবে। আগে দশম শ্রেণিতে বোর্ডের পরীক্ষা দেওয়া বাধ্যতামূলক ছিল, যা এখন হবে না। এরপর স্ট্যান্ডার্ড এস এস সি ১৬ বছরে। পরীক্ষা হবে তিনটি সেমিস্টারে। স্ট্যান্ডার্ড এফ ওয়াই জে সি ১৭ বছরে। পরীক্ষা হবে তিনটি সেমিস্টারে। স্ট্যান্ডার্ড এস ওয়াই জে সি ১৮ বছরে। পরীক্ষা হবে চারটি সেমিস্টারে। বোর্ডের পরীক্ষা দ্বাদশ শ্রেণীতে অর্থাৎ এই পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হবে।

দ্বাদশ শ্রেণীর বোর্ডের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর কলেজের পড়া চার বছর। যেখানে কলেজের ডিগ্রি হবে ৩ ও ৪ বছরের। মানে স্নাতকের প্রথম বর্ষে সার্টিফিকেট, দ্বিতীয় বর্ষে ডিপ্লোমা, তৃতীয় বর্ষে ডিগ্রি। ৩ বছরের ডিগ্রী তাদের জন্য যারা উচ্চ শিক্ষা নিতে চায় না। অন্যদিকে, উচ্চশিক্ষা গ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের ৪ বছরের ডিগ্রি করতে হবে। ৪ বছরের ডিগ্রিধারীরা এক বছরে এমএ করতে পারবে। বন্ধ থাকবে এমফিল। এমএ শিক্ষার্থীরা এখন সরাসরি পিএইচডি করতে পারবে। শিক্ষার্থীরা এর মধ্যে অন্যান্য কোর্স করতে পারবে। ২০৩৫ সালের মধ্যে উচ্চ শিক্ষায় সব বিষয় ইংরেজি হলেও পড়ানো হবে বিষয় হিসেবে।

অন্যদিকে, নতুন শিক্ষানীতির আওতায় কোনো শিক্ষার্থী যদি একটি কোর্সের মাঝখানে অন্য কোর্স করতে চায়, তাহলে সীমিত সময়ের জন্য প্রথম কোর্স থেকে বিরতি নিয়ে দ্বিতীয় কোর্স করতে পারবে। উচ্চশিক্ষায়ও অনেক সংস্কার করা হয়েছে। সংস্কারের মধ্যে গ্রেডেড একাডেমিক, প্রশাসনিক এবং আর্থিক স্বায়ত্তশাসন ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এছাড়া আঞ্চলিক ভাষায় ই-কোর্স চালু করা হবে। ভার্চুয়াল ল্যাব তৈরি করা হবে ষ। একটি ন্যাশনাল এডুকেশনাল সায়েন্টিফিক ফোরাম (NETF) শুরু করা হবে। দেশে ৪৫ হাজার কলেজ রয়েছে। সকল সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য অভিন্ন নিয়ম থাকবে। এমনটাই জানা গেছে।