চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

বৈশাখী কাব্য


 

বৈশাখী কাব্য



লিখেছেন ------------------------


🟣 অভিজিৎ মিত্র 


🟣 দিলীপ রঞ্জন ভাদুড়ী 


🟣 শান্তনু সেন শর্মা 




কুসুম


অভিজিৎ মিত্র


তুমি কি ঢেউয়ের কুসুম

বুকের মাঝে বিকেল ধরো

আমার যখন সবহারানো মেঘলা ছিল

                                                দুপুর তক

ক্যাকটাস আর অজগরের পলকগুলো

তুমি এসে বিকেল দিলে

                                        কেন?

কয়েকখানা নরম লুচি কুমড়ো ছোলা

আমার তখন ঢেউসাফারি

তোমার চোখে দামাস্কাস

ঠোঁটে গালিব রুবাইয়াৎ

ভালবাসার ভিখিরি নেবে?

জড়িয়ে ধরে রাত ভোলাবে?


তুমি কি ঢেউয়ের কুসুম

বুকের মাঝে আমায় ধরো

আমি এক ঘ্রানঅভাগা 

মৃগনাভির স্বপ্ন সাজাই

একা একা একলা ঘরে          চারদেয়ালে



পয়লা বোশেখ


দিলীপ রঞ্জন ভাদুড়ী


সব কিছুই বদলে গেছে,

পয়লা বৈশাখ এল ঐ

নতুন করে আবার শুরু

পুরনো আমেজ , নেই হৈচৈ।

সকালে উঠে প্রভাত ফেরি

পান্তা ভাতের সাথে ইলিশ

হাল খাতাটা নামেই আছে

ডিজিটাল করল ফিনিস।

সিধে সাদা জীবন যাপন

বাঁকির খাতার চলন নেই,

ক্রেডিট কার্ডে কেনা বেচা

জি এস টি বাঁধা হিসেব এই।

পূজো পাঠ এসব আছে

যায়নি চলে এসব প্রথা

নাচ গান সবই থাকবে

মিষ্টি মুখের চলন যেটা।

শুক্র বসবেন রাজপাটে

চন্দ্র হবেন মন্ত্রী তাঁর

জল সম্পদে বৃহস্পতি 

কৃষি দপ্তরে রবির ভার।

পয়লা বৈশাখ আজ সকালে

সাড়া বছর চলুক ভাল,

হিংসা দ্বেষ সব ভুলে আজ

আনব ডেকে নতুন আলো।

মনের কোণে জমা মেঘ

ভেসে যাক ঐ নীল আকাশে,

চাইনা আজ কাল বোশেখী

মাহমুদ বোশেখ মাসে।

     


বর্ষবরণ


শান্তনু সেন শর্মা


আবার বর্ষবরণের

কোনো এক ক্ষণে

বিন্দু বিন্দু করে আশা

গড়ে ওঠে মনে।

নবীনের স্পর্শে

হৃদয়ে বর্ষে

শুভকামনার বার্তা 

সন্তর্পণে।

যে যেখানে আছো

আপন হয়ে আজও

কিংবা যে পর,

খুলেছি যে দ্বার

আপনার

এসো মোর ঘর।

আজি এ প্রভাতে

আলোর ঝর্ণাতে

করি স্নান,

দিক হতে দিকে

করি নবীনেরে আহ্বান।

চৈত্রের ঝরা পাতা শেষে

বোশেখ এসে

দিয়েছে যে আশ্বাস,

ঘুচবে কালো

ফুটবে আলো

রাখো মনে বিশ্বাস।

আজি এ ভোরে

বলি করজোড়ে

সকলেরে করি আপন,

নাই নাই ভয়

চলো করি জয়

সবাকারই মন।