গোপালপুর মুক্তকেশী বিদ্যালয়ের শতবর্ষের অনুষ্ঠান
Sangbad Prabhati, 5 January 2023
অতনু হাজরা, জামালপুর : পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের গোপালপুর মুক্তকেশী বিদ্যালয় তাদের শতবর্ষের অনুষ্ঠান শুরু করলো আজ। তিনদিন ধরে চলবে এই অনুষ্ঠান। সকালে প্রভাতফেরীর মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলার পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন। এ ছাড়াও অতিথি হিসাবে ছিলেন বর্ধমান সদর দক্ষিণের মহকুমা শাসক কৃষ্ণেন্দু কুমার মন্ডল, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সুপ্রভাত চক্রবর্তী, সি আই অরূপ ভৌমিক, সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শক অরুন কুমার মন্ডল, জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ভূতনাথ মালিক, ব্লকের বিডিও শুভঙ্কর মজুমদার, জামালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক ইন্সপেক্টর রাকেশ সিং, জামালপুর নাগরিক জনকল্যাণ সোসাইটির সভাপতি তথা বিশিষ্ট সমাজসেবী মেহেমুদ খান, বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সভাপতি সৌরভ ব্রহ্মচারী, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দেবব্রত মুখোপাধ্যায় সহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা, ছাত্র ছাত্রী বৃন্দ, ভূমিদাতা পরিবারের সদস্য, এলাকার গুণী মানুষজন ও প্রাক্তন শিক্ষক ও ছাত্র ছাত্রীরা।
সারাদিন ব্যাপী চলে অনুষ্ঠান যার শুরু হয় সকালে প্রভাতফেরীর মধ্য দিয়ে। এই অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে প্রদর্শনী করে। যাতে বিভিন্ন ছবি মডেল প্রদর্শিত হয়। তাদের এই কাজ দেখে প্রশংসা করেন পুলিশ সুপার সহ উপস্থিত অতিথিরা। বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকারা ও এলাকার মানুষ নিয়ে রক্তদান শিবির করেন। যাতে ৫০ জন রক্তদাতা রক্তদান করেন। যা বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
পুলিশ সুপার ছাত্র ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন জীবনে পরীক্ষায় প্রথম বা দ্বিতীয় স্থান পাওয়াই বড় কথা নয়। জীবনে কিছু করে দেখানোই বড় কথা। তিনি শিক্ষক শিক্ষিকাদের উদ্দেশ্যে বলেন ছাত্রদের পড়ানোর পাশাপাশি সঠিক গাইড করতে হবে যাতে তারা কোন পথ ঠিক কোন পথ ভুল সেটা নিজেরাই বুঝতে পরে। তাদের সঠিক দিশা দেখানোর কথা বলেন। মহকুমা শাসক তাঁর বক্তব্যে ছেলে মেয়েদের সাথে কথোপকথনের মাধ্যমে শিক্ষা দেন।
বর্ধমান জেলার বিভিন্ন জায়গার কথা শোনান যার সঙ্গে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের যোগ আছে। এ প্রসঙ্গে রাসবিহারী ঘোষ, বটুকেশ্বর দত্তের কথা তুলে ধরেন। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দেবব্রত মুখোপাধ্যায় বিদ্যালয়ের ইতিহাস তুলে ধরেন, অসহযোগ আন্দোলনের সময় প্রতিষ্ঠা হয় এই বিদ্যালয়। ১৯২২ সালে আজকের দিনে। ইংরেজদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ স্বরূপ রবিবারের বদলে সোমবার ছুটি থাকে বিদ্যালয়। আগে এখানে চরকা কাটার ব্যবস্থা ছিল। উপস্থিত সকল অতিথি বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রশংসা করেন।
জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির অর্থানুকুল্যে একটি ঘরের উদ্বোধন করেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ভূতনাথ মালিক ও মেহেমুদ খান।