চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

Vande Bharat Express হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যাত্রার সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী


 

Vande Bharat Express
হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যাত্রার সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী 


Sangbad Prabhati, 30th December 2022


পিআইবি রিপোর্ট, সংবাদ প্রভাতী : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যাত্রার সূচনা করেছেন। তিনি কলকাতা মেট্রোর পার্পল লাইনের জোকা-তারাতলা অংশেরও উদ্বোধন করেছেন। ঐ একই অনুষ্ঠানে শ্রী মোদী চারটি রেল প্রকল্প জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেছেন। এগুলি হল, বৈঁচি-শক্তিগড়ের মধ্যে তৃতীয় লাইন, ডানকুনি-চন্দনপুরের মধ্যে চতুর্থ লাইন, নিমতিতা-নিউ ফারাক্কার মধ্যে দ্বিতীয় লাইন এবং আমবাড়ি-ফালাকাটা-নিউ ময়নাগুড়ি-গুমনিহাটের মধ্যে দ্বিতীয় লাইন প্রকল্প। নিউ জলপাইগুড়ি রেল স্টেশনকে নবরূপে সজ্জিত করার প্রকল্পের শিলান্যাস করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

এই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় প্রথমে প্রধানমন্ত্রী সশরীরে উপস্থিত না হতে পারার জন্য সকলের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন। তিনি বলেন, আজকের এই দিনে বাংলার মাটিকে তিনি প্রণাম জানাচ্ছেন কারণ, বাংলার প্রতিটি ধুলিকণা দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসকে উজ্জীবিত করেছে। “যে মাটি থেকে বন্দে মাতরম-এর আহ্বান প্রথম উচ্চারিত হয়েছে, সেই অঞ্চল আজ বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যাত্রার সূচনা প্রত্যক্ষ করল।” শ্রী মোদী আরও বলেন, ১৯৪৩ সালের আজকের দিনে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ত্রিবর্ণ রঞ্জিত জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছিলেন এবং ভারতের স্বাধীনতার রথকে অগ্রসর করতে সাহায্য করেছিলেন। এই ঐতিহাসিক দিনের ৭৫তম বার্ষিকীতে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে যাওয়ার সৌভাগ্য তাঁর হয়েছিল এবং তিনি সেখানে নেতাজীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, আজাদি কা অমৃত মহোৎসব উপলক্ষে দেশজুড়ে বিভিন্ন স্থান থেকে ৪৭৫টি বন্দে ভারত ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তারই অঙ্গ হিসেবে আজ হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ির মধ্যে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যাত্রার সূচনা করা হল। আজ যেসব প্রকল্পগুলির শিলান্যাস ও উদ্বোধন করা হয়েছে সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, সরকার এগুলির কাজ শেষ করার জন্য প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করবে।

প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, গঙ্গা নদীকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য এবং পশ্চিমবঙ্গে বেশ কিছু পানীয় জল প্রকল্প জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করার সুযোগ তিনি পেয়েছেন। ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গের জন্য ২৫টির বেশি জল নিকাশি ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের অনুমোদন করা হয়েছে বলে শ্রী মোদী জানিয়েছেন। এর মধ্যে ১১টি প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। আরও সাতটি প্রকল্পের কাজ আজ শেষ হতে চলেছে। ১,৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে পাঁচটি নতুন প্রকল্পের কাজও আজ শুরু হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের কথা তাঁর ভাষণে তুলে ধরেন – সেটি হল আদি গঙ্গাকে পরিচ্ছন্ন করে তোলা। সংশ্লিষ্ট প্রকল্পটিতে পরিকাঠামো বাবদ ৬০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার নদীগুলিকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার পাশাপাশি এগুলি যাতে আর দূষিত না হয় তা নিশ্চিত করতে উদ্যোগী হয়েছে। এ কারণে বড় বড় অত্যাধুনিক সোয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট গড়ে তোলা হচ্ছে। এই প্রকল্পগুলি এমনভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছে যার ফলে নাগরিকদের আগামী ১০ থেকে ১৫ বছরের চাহিদা পূরণ সম্ভব হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের বিকাশের জন্য ভারতীয় রেলের সংস্কার ও উন্নয়নের প্রয়োজন। আর তাই, কেন্দ্রীয় সরকার অত্যাধুনিক রেল পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য রেকর্ড পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে। ভারতীয় রেলের সংস্কারের জন্য দেশব্যাপী এক অভিযানের সূচনা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে তিনি বন্দে ভারত, তেজস, হাম সফর এবং ভিস্তাডোম কোচের মতো অত্যাধুনিক রেল পরিষেবার কথা উল্লেখ করেন। এছাড়াও, নিউ জলপাইগুড়ি সহ বিভিন্ন রেল স্টেশনের আধুনিকীকরণ, নানা জায়গায় দ্বিতীয় রেল লাইন এবং রেলের বৈদ্যুতিকীকরণের মতো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। শ্রী মোদী বলেন, ইস্টার্ন এবং ওয়েস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়িত হচ্ছে। এর ফলে আগামীদিনে পণ্য পরিবহণে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হবে। তিনি রেলের সুরক্ষা, পরিচ্ছন্নতা, সমন্বয়, দক্ষতা বৃদ্ধি, সময়ানুবর্তিতা সহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার কথা তাঁর ভাষণে তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত আট বছর ধরে ভারতীয় রেল আধুনিক বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আগামীদিনে আধুনিকীকরণের জন্য আরও উদ্যোগ নেওয়া হবে। স্বাধীনতার প্রথম ৭০ বছরে দেশে ২০ হাজার রুট কিলোমিটার রেল লাইনে বৈদ্যুতিকীকরণের কাজ হয়েছে। ২০১৪ সালের পর থেকে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ হাজার রুট কিলোমিটারের বেশি। আজ মেট্রো রেল ব্যবস্থা ভারতের গতি এবং উন্নয়নের প্রতীক। তিনি বলেন, “২০১৪ সালের আগে দেশে ২৫০ কিলোমিটারেরও কম পথে মেট্রো চলাচল করত। সেই সময়ে দিল্লি-জাতীয় রাজধানী অঞ্চলে সবথেকে বেশি পথে মেট্রো পরিষেবা পাওয়া যেত। গত ৭-৮ বছরে দু’ডজনের বেশি শহরে মেট্রো পরিষেবার প্রসার ঘটেছে। আজ দেশের বিভিন্ন শহরে প্রায় ৮০০ কিলোমিটার পথে মেট্রো রেল চলাচল করছে। আগামীদিনে যাতে ১ হাজার কিলোমিটারের বেশি পথে মেট্রো রেল চলাচল করে তার জন্য কাজ চলছে।”

অতীতে ভারত যে সমস্ত চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হত সেগুলি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের বিকাশে এর ফলে নেতিবাচক প্রভাব দেখা যেত। এই প্রসঙ্গে তিনি পরিকাঠামো উন্নয়নে বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয়ের অভাবের বিষয়টিকে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বিভিন্ন পরিবহণ সংস্থার মধ্যেও সেই সময় সমন্বয়ের অভাব ছিল। একটি সংস্থা কি করছে তার খবর অন্য সংস্থা জানতে পারত না। “এর প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ত দেশের সৎ করদাতাদের ওপর।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখন করদাতাদের কষ্টার্জিত অর্থ দরিদ্র মানুষের পরিবর্তে দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষের পকেট ভরাত, তখন স্বাভাবিকভাবেই একটা অসন্তোষ তৈরি হত। “বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয়ের এই অভাব দূর করার জন্য সরকার পিএম গতি শক্তি প্রকল্পের সূচনা করে। বিভিন্ন রাজ্যের সরকারের প্রতিনিধি , নির্মাণকারী সংস্থা এবং শিল্প জগতের বিশেষজ্ঞরা – গতি শক্তির মঞ্চে সকলে এক জায়গায় জড়ো হন।” পিএম গতি শক্তি শুধুমাত্র দেশের বিভিন্ন পরিবহণ ব্যবস্থার মধ্যে সমন্বয়ই ঘটায় না, পাশাপাশি বহুস্তরীয় বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে গতিরও সঞ্চার করে। আজ নাগরিকরা যাতে নিরবচ্ছিন্নভাবে চলাচল করতে পারেন তার জন্য নতুন নতুন বিমানবন্দর, জলপথ, বন্দর এবং সড়ক গড়ে তোলা হচ্ছে।

শ্রী মোদী বলেছেন, “একবিংশ শতাব্দীর পথে আমরা এগিয়ে চলেছি। এক্ষেত্রে দেশের সম্ভাবনাগুলিকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে।” দেশের জলপথের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, অতীতে দেশে জলপথের ব্যবহার অনেক বেশি ছিল। ব্যবসা-বাণিজ্য এবং পর্যটনে জলপথ যথেষ্ট ব্যবহৃত হত। পরবর্তীকালে ঔপনিবেশিক শাসনকালে এই ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়। পূর্ববর্তী সরকারগুলি জলপথকে আবারও ব্যবহার করার জন্য যথাযথ উদ্যোগ নেয়নি। “ভারত তার জলশক্তিকে আরও শক্তিশালী করার জন্য আজ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।” আজ দেশজুড়ে ১০০টিরও বেশি জলপথকে সংস্কার করা হচ্ছে। ব্যবসা-বাণিজ্য এবং পর্যটনের কাজে জলপথ ব্যবহারের পাশাপাশি অত্যাধুনিক ক্রুজ পরিষেবার সূচনা করা হচ্ছে। তিনি গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র প্রকল্পের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন। এই দুই নদীর মধ্যে যোগাযোগ গড়ে তোলার জন্য ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। জলপথ পরিবহণের একটি উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জানান, আগামী ১৩ জানুয়ারি কাশী থেকে বাংলাদেশ হয়ে ডিব্রুগড় পর্যন্ত একটি নৌ-পরিবহণের সূচনা হবে। জলপথে ৩,২০০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই ধরনের যাত্রা এর আগে বিশ্বের কোথাও দেখা যায়নি এবং ভারতের জলপথ-ভিত্তিক পর্যটনের বিকাশে এটি একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে।

ভ্রমণপিপাসু পশ্চিমবঙ্গের মানুষের পর্যটন সংক্রান্ত ভালোবাসার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাংস্কৃতিক দিক থেকে ঐতিহ্যশালী ভারতের বিভিন্ন স্থানে যে উৎসাহ-উদ্দীপনায় তাঁরা ঘুরে বেড়ান তা প্রশংসনীয়। “বাংলার জনগণ পর্যটন ক্ষেত্রেও ‘দেশ প্রথম’ ভাবনা অনুসরণ করে চলেছেন। যখন দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হয় এবং রেলপথ, জলপথ এবং সড়ক পথ অত্যাধুনিক হয়ে ওঠে, তার ফলে সহজে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়া যায় এবং বাংলার জনসাধারণ তার সুফল পেয়ে থাকেন।”

প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতার কয়েকটি লাইন আবৃতি করেন – “ও আমার দেশের মাটি, তোমার পরে ঠেকাই মাথা”। স্বাধীনতার এই অমৃতকালে আমাদের মাতৃভূমির উন্নয়নে অগ্রাধিকার দিতে হবে বলে মন্তব্য করে শ্রী মোদী বলেছেন, “সারা বিশ্ব অনেক আশা নিয়ে ভারতের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। এই আস্থা বজায় রাখার জন্য প্রত্যেক ভারতবাসীকে তাঁর সর্বোচ্চ ক্ষমতা অনুযায়ী সচেষ্ট হতে হবে।”

অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল ডঃ সি ভি আনন্দ বোস, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লা, ডা. সুভাষ সরকার এবং নিশীথ প্রামানিক ও স্থানীয় সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।


প্রেক্ষাপট

প্রধানমন্ত্রী হাওড়া রেল স্টেশনে হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ির মধ্যে দেশের সপ্তম বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যাত্রার সূচনা করেছেন। অত্যাধুনিক এই সেমি-হাইস্পিড ট্রেনে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের সব রকম ব্যবস্থা রয়েছে। ট্রেনটি যাতায়াতের পথে বোলপুর, মালদা টাউন, বারসোই এবং কিষাণগঞ্জ স্টেশনে থামবে।

প্রধানমন্ত্রী জোকা-এসপ্ল্যানেড মেট্রো প্রকল্প (পার্পল লাইন)-এর জোকা-তারাতলা অংশের উদ্বোধন করেছেন। ৬.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই অংশে জোকা, ঠাকুরপুকুর, সখেরবাজার, বেহালা চৌরাস্তা, বেহালা বাজার এবং তারাতলা – এই ছ’টি স্টেশন রয়েছে। এটি করতে খরচ পড়েছে ২,৪৭৫ কোটি টাকার বেশি। এই প্রকল্পের উদ্বোধনের ফলে সরশুনা, ডাকঘর, মুচিপাড়ার মতো কলকাতার দক্ষিণাংশ এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার যাত্রীরা প্রভূত উপকৃত হবেন।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে চারটি রেল প্রকল্পও উৎসর্গ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে বৈঁচি-শক্তিগড় তৃতীয় লাইন, এর জন্য খরচ হয়েছে ৪০৫ কোটি টাকা; ডানকুনি-চন্দনপুর চতুর্থ লাইন প্রকল্প, এর জন্য খরচ হয়েছে ৫৬৫ কোটি টাকা; নিমতিতা-নিউ ফারাক্কা ডবল লাইন, এর জন্য খরচ হয়েছে ২৫৪ কোটি টাকা এবং আমবাড়ি-ফালাকাটা-নিউ ময়নাগুড়ি-গুমানিহাট ডবল লাইন প্রকল্প, এর জন্য খরচ হয়েছে ১,০৮০ কোটি টাকার বেশি। প্রধানমন্ত্রী নবরূপে নিউ জলপাইগুড়ি রেল স্টেশনের পুনর্গঠন সংক্রান্ত প্রকল্পের শিলান্যাস করেছেন। এর জন্য ব্যয় হবে আনুমানিক ৩৩৫ কোটি টাকা।