চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

সরকারি বিদ্যালয় সমূহে টাকি প্রাথমিক বালিকা বিদ্যালয় একটি উল্লেখযোগ্য নাম

 



সরকারি বিদ্যালয় সমূহে টাকি প্রাথমিক বালিকা বিদ্যালয় একটি উল্লেখযোগ্য নাম

মোল্লা জসিমউদ্দিন, কলকাতা 


বিদ্যালয় কি শুধুমাত্র  পুঁথিগত পড়াশোনার জন্য? না সামগ্রিকভাবে পড়ুয়ার উন্নয়ন। হ্যাঁ ক্ষুদে পড়ুয়াদের সার্বিক উন্নতির লক্ষ্যে চির অবিচল শিয়ালদহের টাকি প্রাথমিক বালিকা বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সুনীতা দাশগুপ্ত। তাঁর অনবদ্য ভূমিকায় শিক্ষার পাশাপাশি আচার-আচরণে জীবনের প্রথম ধাপ থেকেই এগিয়ে যাচ্ছে ক্ষুদে পড়ুয়ারা। এই বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষিকা সহ অন্যান্য কর্মীদের নিয়মানুবর্তিতা এবং পড়ুয়াদের প্রতি তীক্ষ্ণ নজরদারিতে খুশি এই বিদ্যালয়ের অভিভাবকরাও। গত শুক্রবার সকালে এই বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষার রেজাল্ট অনুযায়ী শ্রেণী ভিত্তিক মেধাবীদের পুরস্কৃত করা হয়। সেইসাথে বাংলা হাতের লেখা, ইংরেজি হাতের লেখা, ছবি আঁকা, রচনা বিষয়ে সেরাদেরকে  পুরস্কার দিল এই স্কুল কর্তৃপক্ষ। শুধু তাই নয় প্রতিটি শ্রেণির মনিটরদের আলাদা উপহার দিয়ে উজ্জীবিত করতেও দেখা যায়। সেইসাথে বিশেষভাবে সক্ষম এক পড়ুয়াকে 'লক্ষ্মী মেয়ে' হিসাবে পুরস্কৃত করে থাকে। শুধু তাই নয় এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের মধ্যে কেউ গান, কেউ আবৃত্তি পরিবেশন করে। ওরাই এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করে তোলে। এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার ১৭ নং সার্কেলের স্কুল ইন্সপেক্টর সমীর মজুমদার, প্রাক্তন এআই সন্ধ্যা সামন্ত প্রমুখ। সভাটি শুরু হয় ' আগুনের পরশমনি' রবীন্দ্র সঙ্গীত পরিবেশনে। অরিত্রিকা দে নামে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীর গলায় এই গান শোনে আপ্লূত সভার প্রত্যেকেই। শিশুশ্রম এবং বাংলা ভাষার আন্দোলন নিয়ে আবৃত্তি করে অন্যান্য পড়ুয়ারা। 

তবে বিদায়ী ক্লাস টু বি বিভাগের ছাত্রী সোহাগ মিত্রের 'লক্ষী মেয়ে' পুরস্কার প্রাপ্তি আনন্দে চোখের জল এনে দেয় অনেকেরই। শুধু এই সভার অতিথিদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া নয়, এই বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মীদের দ্বারা পুরস্কার বিতরণ পর্ব চলে। টাকি প্রাথমিক বালিকা  বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সুনীতা দাশগুপ্ত বলেন, "আমরা পড়ুয়াদের উৎসাহিত করতে মেডেল - ট্রফি সহ বইপত্তর তুলে দিই"। উল্লেখ্য, এই সরকারি প্রাথমিক বালিকা বিদ্যালয়টি পড়াশোনা সহ বিভিন্ন বিষয়ে কলকাতার শিক্ষামহলে স্বনাম খ্যাত। বিদ্যালয়ের ভেতর পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা, বিভিন্ন জনসচেতনতা মূলক ছবিসহ দেওয়াল লিখন, মনিষীদের বাণী চোখে পড়ে। প্রতিদিন প্রার্থনা করার সময় স্বাস্থ্য বিষয়ক বার্তা দেওয়া হয়।