চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

Bardhaman Poura Utsav মায়ের কথা, মাটির টান, ললিত কলার বর্ধমান : শুরুতেই জমজমাট বর্ধমান পৌর উৎসব


 

Bardhaman Poura Utsav 

মায়ের কথা, মাটির টান, ললিত কলার বর্ধমান : শুরুতেই জমজমাট বর্ধমান পৌর উৎসব 


জগন্নাথ ভৌমিক, বর্ধমান : আবার এসেছে পৌষ। নতুন ধানের গন্ধে মাতোয়ারা গ্রাম বাংলা। সেই সুবাস নগরবাসীকেও আমোদিত করে। মন চায় উৎসবের আঙ্গিনায় সামিল হতে। তাইতো নগরবাসীর মনোরঞ্জনের জন্য বর্ধমান পৌরসভা আয়োজন করেছে বর্ধমান পৌর উৎসব। নাচে গানে কবিতায় আড্ডায় বিকিকিনির হাটে জমে উঠবে বর্ধমানবাসীর প্রাণের উৎসব।

মায়ের কথা, মাটির টান, ললিত কলার বর্ধমান এই ভাবনাকে সামনে রেখে শনিবার থেকে শুরু হলো ২৩ তম বর্ধমান পৌর উৎসব। বর্ধমানের শাঁখারী পুকুর উৎসব ময়দানে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে উৎসবের উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট কবি সুবোধ সরকার। অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত ভাষণ দেন বর্ধমান পৌর উৎসব উদযাপন কমিটির সভাপতি তথা বর্ধমান পৌরসভার চেয়ারম্যান পরেশ চন্দ্র সরকার। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা রায়নার বিধায়ক শম্পা ধাড়া, সহ-সভাধিপতি দেবু টুডু, দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার চেয়ারম্যান সুভাষ মন্ডল, পূর্ব বর্ধমান জেলা তথ্য সংস্কৃতি আধিকারিক রাম শঙ্কর মন্ডল, পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের মেন্টর উজ্জ্বল প্রামানিক, বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক খোকন দাস, বর্ধমান পৌরসভার কাউন্সিলার অরূপ দাস, সদর মহকুমা শাসক তথা বর্ধমান পৌর উৎসব কমিটির যুগ্ম সম্পাদক তীর্থঙ্কর বিশ্বাস, বর্ধমান পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা উৎসব কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মৌসুমী দাস, বর্ধমান ডেভেলপমেন্ট অথরিটির চেয়ারপার্সন কাকলি তা গুপ্ত, বর্ধমান পৌরসভার কাউন্সিলর তথা আইনজীবী অরূপ দাস সহ অন্যান্য কাউন্সিলর ও বিশিষ্টজন।

অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করে বর্ধমান বিদ্যার্থী ভবন গালর্স হাই স্কুল, বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল গালর্স হাই স্কুল, বর্ধমান হরিসভা হিন্দু বালিকা বিদ্যালয়, রথতলা গালর্স হাই স্কুল, মহারানী অধিরানি বালিকা বিদ্যালয়, নিবেদিতা কন্যা বালিকা বিদ্যালয়, শেমফোরড্ ফিউচারিস্টিক স্কুল, নারায়না স্কুলের ছাত্রীরা সহ বর্ধমান পৌর উৎসব উদযাপন কমিটি।

এদিন উৎসবের উদ্বোধকের ভাষণে কবি সুবোধ সরকার বলেন, কলকাতার এলিট সোসাইটির একাংশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেলা খেলা নিয়ে অশিক্ষিত মন্তব্য করে থাকেন। এই সমস্ত সমালোচনার ঊর্ধ্বে গিয়ে রাজ্যের জেলায় জেলায় মেলা উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই মেলা হল মিলনের অন্যতম মাধ্যম। তিনি জানান, কলকাতা বইমেলা একদা বিশৃঙ্খলা হওয়ায় আমেরিকা থেকে ১২ জন সাহিত্যিককে এনে বর্ধমানের উৎসবে হাজির করিয়েছিলাম। বর্ধমান পৌর উৎসব চারুকলা, ললিত কলার প্রসার ঘটানোর কাজে অনুঘটকের কাজ করছে। এবিষয়ে তিনি বর্ধমান পৌরসভার ভূয়সী প্রশংসা করেন। 

শনিবার উৎসবের উদ্বোধনের প্রাক্কালে বর্ণাঢ্য পদযাত্রা বর্ধমান শহর পরিক্রমা করে। এই পদযাত্রায় বর্ধমান শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনিক আধিকারিকসহ অসংখ্য সাধারণ মানুষ অংশ গ্রহণ করেন।

পৌর উৎসব চলবে ২৫শে ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রতিদিন সন্ধ্যায় থাকছে নাচ গানের জমজমাট অনুষ্ঠান। উল্লেখযোগ্য বহিরাগত শিল্পীদের মধ্যে ১৮ ডিসেম্বর থাকছে চিরায়ত, ১৯ ডিসেম্বর বাবুল সুপ্রিয়, ২০ ডিসেম্বর সুরজিৎ ও বন্ধুরা, ২১ ডিসেম্বর বর্ধমানের তারারা, ২২ ডিসেম্বর শুভমিতা, ২৩ ডিসেম্বর অনন্যা চক্রবর্তী, ২৪ ডিসেম্বর ফকিরা এবং ২৫ ডিসেম্বর তন্ময় কর। এছাড়া প্রতিদিন স্থানীয় শিল্পীরাও অনুষ্ঠান পরিবেশন করবেন।