Boxing Champion
জাতীয় বক্সিং প্রতিযোগিতায় সোনা পেল বর্ধমানের দ্বীপান্বেষ ও সর্বা, এবার ভারতের হয়ে খেলবে এশিয়া চ্যাম্পিয়ানশিপে
ডিজিটাল ডেস্ক রিপোর্ট, সংবাদ প্রভাতী : শহর বর্ধমানের তেজগঞ্জ মোহনবাগের দ্বীপান্বেষ দাস। ছোট থেকেই খেলাধুলার পরিবেশে বড়ো হয়েছে। খেলাধুলায় আগ্রহ ছিল বরাবরই। স্বভাবতই স্কুলেতো বটেই জেলাতেও সে অ্যাথলেটিকে অনেক মেডেল পেয়েছে। একটু একটু করে নিজেকে তৈরি করছিল দ্বীপান্বেষ। কিন্তু হঠাৎই করোনা অতিমারি ছন্দপতন ঘটায়। ভয়াল পরিস্থিতিতে প্যাক্টিস বন্ধ হয়ে যায়। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই দ্বীপান্বেষের নজরে আসে সভাত ফ্রেঞ্চ কিক বক্সিং এর বিজ্ঞপ্তি। মনে অদম্য ইচ্ছা আর বাবা-মা ও আত্মীয়দের উৎসাহে দ্বীপান্বেষ শুরু করে কিক বক্সিং এর প্যাক্টিস। এরপর সে পশ্চিমবঙ্গ থেকে আরো সাত জনের সাথে দিল্লি যায় ন্যাশানাল খেলতে। দিল্লির কারোলবাগে ১৭টি রাজ্যের মোট ৪০০ জন বস্কার জাতীয় বক্সিং প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে। দ্বীপান্বেষ আণ্ডার সেভেন্টি ক্যাটাগরির সিনিয়ার ডিভিশনে পঁয়ষট্টি থেকে সত্তর কেজিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। সেখানেই সে উত্তরপ্রদেশের বক্সারকে হারিয়ে সোনা জয় লাভ করে। এছাড়া বর্ধমানের সর্বা আইচ আন্ডার 15 56 কেজি ক্যাটেগরিতে সোনা জয় লাভ করেছে।
২০২৩ সালে দ্বীপান্বেষ ও সর্বা ভারতের হয়ে এশিয়া চ্যাম্পিয়ানশিপে খেলতে যাবে উজবেকিস্থানে। তার জন্য কৃতি খেলোয়াড় দ্বীপান্বেষ সরকারি সাহায্যের আবেদন জানায়।
তবে দ্বীপান্বেষের এই সাফল্যে খুশি তাঁর মা-বাবা, আত্মীয় পরিজন সহ গোটা শহরবাসী। তাঁর এই সাফল্যের পিছনে তাঁর মা চন্দনা দাস ও শিক্ষকদের অবদান অনস্বীকার্য বলে জানান তিনি।
এদিকে এই সাফল্যের কথা শোনামাত্রই দ্বীপান্বেষ এর বাড়িতে তাঁকে ফুল দিয়ে সংবর্ধনা দিতে হাজির হন বর্ধমান শহরের বিশিষ্ট সমাজসেবী পল্লব দাস। এদিকে ছেলের এই সাফল্যে তাঁর মা ও বাবা উৎসাহ আনন্দের সাথে তাঁকে মিষ্টি মুখ করান।
সাবাত অ্যাসোসিয়েশন ওয়েষ্ট বেঙ্গল এর রাজ্য সম্পাদক বনিস চক্রবর্তী জানান, পশ্চিমবঙ্গ থেকে অংশগ্রহণ করা ৮ জন প্রতিযোগীর মধ্যে থেকে মোট ৫টি স্বর্ণ পদক, তিনটি রৌপ্য পদক আর দুটি ব্রোঞ্জ পদক ছিনিয়ে নিয়ে এসেছে। অফিসিয়াল হিসেবে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ছিলেন রণজিৎ মন্ডল এবং জাতীয় রেফারি হিসেবে ছিলেন দেবজ্যোতি মুখার্জী। পশ্চিমবঙ্গ থেকে স্বর্ণ পদক বিজয়ীরা হলেন সর্বা আইচ, দ্বীপান্বেষ দাস, অভিষেক বিশ্বাস, শ্রীতাংশু বিশ্বাস, বিক্রম হালদার। রৌপ্য পদক বিজয়ীরা হলেন অপূর্ব সাহা, অংশুমান সাহা, রাধাকান্ত বোস। ব্রোঞ্জ পদক বিজয়ী হয়েছেন বিক্রম হালদার ও রাধাকান্ত বোস।