চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

শায়কের ২৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান

 


শায়কের ২৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান 


অতনু হাজরা, কলকাতা : কলকাতার একটি লিটিল ম্যাগাজিন 'শায়ক'। ২৬ বছর আগে সম্পাদক শেখর দাসের হাত ধরে পথ চলা শুরু হয়েছিল। সেই অঙ্কুরিত শায়ক আজ চারা গাছ থেকে বৃক্ষতে পরিণত হয়েছে। যার শিকড় আজ অনেক গভীরে চলে গেছে। মেলেছে ডালপালা। কত পাখি রূপ কবি, লেখক সাহিত্যিকের বাস তার ডালে। সম্পাদকের অনেক পরিশ্রম ও অধ্যবসায় অনেকের সহযোগিতায় আজ শায়ক-কে এই জায়গায় নিয়ে এসেছে। করোনার কারণে গত বছর করা যায়নি শায়কের ২৫ বছরের পূর্তি অনুষ্ঠান। তাই এবছর সাড়ম্বরে লিটিল ম্যাগাজিন শায়কের ২৫ তম বর্ষ পালনের অনুষ্ঠান। কলকাতার নন্দনের অবনীন্দ্র সভাঘরে হয় এই অনুষ্ঠান। আজকের এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কবি ও সাহিত্যিক রথীন কর। সভাপতিত্ব করেন শায়কের সভাপতি বিশিষ্ট কবি, লেখিকা ও অধ্যাপিকা জয়শ্রী দেব। তবে অনুষ্ঠানের মূল কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন সম্পাদক শেখর দাস। যাঁর প্রচেষ্টাতেই শায়ক আজ মহীরুহ। তিনি বলেন, শায়ক পরিবার। যেখানে এর প্রত্যেক সদস্য নিজেকে এর অংশ বলেই মনে করেন। আজ পুরো শায়ক পরিবার তাঁকে সম্মান, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় ভরিয়ে দেয়। নানা উপহার তুলে দেওয়া হয় তার হাতে। কলকাতা জেলা ও পূর্ব বর্ধমান জেলা এ বিষয়ে অগ্রণী ভূমিকা নেয়। 

বিভিন্ন স্মারক তুলে দেওয়া হয় তাঁর হাতে। তিনি বক্তব্যে বলেন তিনি সত্যিই অনেক ভাগ্যবান যে শায়ক পরিবার গড়ে তুলতে পেরেছেন। আজ তার প্রসার কলকাতা ছাড়িয়ে বর্ধমান, বীরভূম পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি এজন্য তাঁর সহধর্মিনি অমিতা দাস যিনি শায়কের প্রকাশক তাঁর কথা বলেন। এই পত্রিকা চালাতে অমিতা দেবীর বিশেষ প্রশংসা করেন। এই অনুষ্ঠানে কবি ও সাহিত্যিক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মনোজ ত্রিবেদী, মিনতি দত্ত, আশীষ মুখার্জী, প্রদীপ্ত নারায়ণ ভট্টাচার্য্য, রতন কুমার পাল, সন্দীপ নন্দী, সুরমান আলী মল্লিক, শুভাশীষ হালদার, বাসুদেব বাগ, মনোজ কুমার রথ, পিয়াসী নন্দী সহ আরো অনেকে। 

আজকের মঞ্চ থেকে শায়ক পরিবারের সদস্যদের ছেলে মেয়ে যারা মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ভালো ফল করেছে তাদের সম্বর্ধিত করা হয়। জয়শ্রী দেব ও পিয়াসী নন্দীর দুটি বইয়েরও প্রকাশ হয় আজ। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট সঞ্চালক ও বাচিক শিল্পী হিসেবে বর্ধমানের শ্যামাপ্রসাদ চৌধুরীকে সম্বর্ধনা দেওয়া হয়। উনিই অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। ওনাকে সহযোগিতা করেন বিশিষ্ট কবি শেখ জাহাঙ্গীর। উপস্থিত সকল কবিদের হাতে ২৫ বছরের বিশেষ স্মারক তুলে দেওয়া হয়।