চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

শীতের মরশুম শুরু হতেই বাড়ছে নলেন গুড়ের চাহিদা


 

শীতের মরশুম শুরু হতেই বাড়ছে নলেন গুড়ের চাহিদা


কাজল মিত্র, আসানসোল : পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিভিন্ন জায়গায় চলছে খেজুর গাছ কেটে রস সংগ্রহ করে গুড় তৈরির কাজ। শীতের মরশুম শুরু হতেই বাড়ছে নলেন গুড়ের চাহিদা। খেজুর রস ফুটিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ঝোলা গুড় কিম্বা পাটালি। শীতের আবহে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ঘরে ঘরে খেজুর রস দিয়ে তৈরি হয় হরেক রকমের পিঠে ও পায়েস। পাশাপাশি খেজুরের গুড় দিয়ে তৈরি হয় নানান পিঠেপুলি। তাই লক্ষ্মী লাভের আশায় খেজুরের রস সংগ্রহ ও গুড় তৈরিতে ব্যস্ত এক শ্রেণীর মানুষ।

পশ্চিম বর্ধমান জেলার সালানপুর ও বারাবনি ব্লকের গ্রামগুলোতে প্রচুর সংখ্যায় খেজুর গাছ থাকায় খেজুর গুড় তৈরিতে বিভিন্ন জেলার বাইরের গাছিরাও এসে রস সংগ্রহ করে গুড় তৈরি করছে। সুস্বাদু এই খেজুরের রস আগুনে জ্বালিয়ে তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন রকমের পাটালি ও লালি গুড়। ফলে এসব গাছিদের এখন দম ফেলার ফুরসত নেই। খেজুর গুড় ও রস বিক্রি করেও আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন গাছিরা।

খেজুর গুড় তৈরি করা নদীয়া জেলা থেকে আসা কয়েকজন গাছি হাসিরুদ্দিন শেখ, আব্বাস আলী শেখ ও মহম্মদ আজারুদ্দিন শেখরা জানান প্রতিদিন বিকাল থেকে সন্ধ্যার মধ্যেই খেজুর গাছের সাদা অংশ পরিষ্কার করে ছোট-বড় প্লাস্টিক কিংবা মাটির হাঁড়ি বেঁধে রাখা হয় রসের জন্য। এরপর ভোর থেকেই ওইসব গাছ থেকে রস সংগ্রহ করা হয়। এরপর হাঁড়িতে সংগৃহীত রস নিয়ে বড় চুলার উপর টিনের বড় পাত্রে রস ঢেলে জ্বাল দিয়ে শুরু হয় গুড় তৈরির প্রক্রিয়া। আস্তে আস্তে এসব রস শুকিয়ে আড়াই থেকে তিন ঘণ্টার ব্যবধানে জ্বালানোর ফলে তৈরি হয় লাল গুড়। 

এই গুড় তৈরি করে বিক্রি করে থাকেন তারা। স্থানীয় কিছু ব্যক্তির কাছ থেকে মোট ২৫ হাজার টাকায় শীতের ৪ মাসের জন্য খেজুর গাছগুলো লিজ নেওয়া হয়েছে। এসব গাছ থেকে ৪ জন মিলে প্রতিদিন রস সংগ্রহ করে গুড় তৈরি করেন। এছাড়াও খেজুরের রসও বিক্রি করা হয়। তবে গাছিরা জানান, গুড় তৈরির জন্য জ্বালানি ও সরঞ্জামের দাম অনেকটাই বেড়ে যাওয়ার ফলে সেরকম ভাবে লাভের মুখ দেখা যাচ্ছেনা।