Scrooling

উচ্চমাধ্যমিক ২০২৫ প্রথম দশে ৭২ জন। প্রথম হয়েছে রূপায়ন পাল। রূপায়ন বর্ধমান সিএমএস হাইস্কুলের ছাত্র। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৭ ( ৯৯.৪ শতাংশ) # ২০২৫ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় রাজ্যে প্রথম রায়গঞ্জের করোনেশন হাইস্কুলের অদৃত সরকার। প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৬ নম্বর # ষষ্ঠ সিন্ধু জিব্রাল্টার জয় করে ইতিহাসের পাতায় সায়নী # বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ, শুভেচ্ছা বার্তা পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় # সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ২৫ হাজার ৭৫২ জন শিক্ষকের চাকরি গেল # আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি বিজয়ী ভারত, নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে তৃতীয় বারের জন্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হল ভারত # প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়, মুখ্যমন্ত্রীর শোকজ্ঞাপন # বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাজ্যসভার সাংসদ হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় # 'দাদাসাহেব ফালকে' সম্মানে ভূষিত হলেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী

শীতের মরশুম শুরু হতেই বাড়ছে নলেন গুড়ের চাহিদা


 

শীতের মরশুম শুরু হতেই বাড়ছে নলেন গুড়ের চাহিদা


কাজল মিত্র, আসানসোল : পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিভিন্ন জায়গায় চলছে খেজুর গাছ কেটে রস সংগ্রহ করে গুড় তৈরির কাজ। শীতের মরশুম শুরু হতেই বাড়ছে নলেন গুড়ের চাহিদা। খেজুর রস ফুটিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ঝোলা গুড় কিম্বা পাটালি। শীতের আবহে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ঘরে ঘরে খেজুর রস দিয়ে তৈরি হয় হরেক রকমের পিঠে ও পায়েস। পাশাপাশি খেজুরের গুড় দিয়ে তৈরি হয় নানান পিঠেপুলি। তাই লক্ষ্মী লাভের আশায় খেজুরের রস সংগ্রহ ও গুড় তৈরিতে ব্যস্ত এক শ্রেণীর মানুষ।

পশ্চিম বর্ধমান জেলার সালানপুর ও বারাবনি ব্লকের গ্রামগুলোতে প্রচুর সংখ্যায় খেজুর গাছ থাকায় খেজুর গুড় তৈরিতে বিভিন্ন জেলার বাইরের গাছিরাও এসে রস সংগ্রহ করে গুড় তৈরি করছে। সুস্বাদু এই খেজুরের রস আগুনে জ্বালিয়ে তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন রকমের পাটালি ও লালি গুড়। ফলে এসব গাছিদের এখন দম ফেলার ফুরসত নেই। খেজুর গুড় ও রস বিক্রি করেও আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন গাছিরা।

খেজুর গুড় তৈরি করা নদীয়া জেলা থেকে আসা কয়েকজন গাছি হাসিরুদ্দিন শেখ, আব্বাস আলী শেখ ও মহম্মদ আজারুদ্দিন শেখরা জানান প্রতিদিন বিকাল থেকে সন্ধ্যার মধ্যেই খেজুর গাছের সাদা অংশ পরিষ্কার করে ছোট-বড় প্লাস্টিক কিংবা মাটির হাঁড়ি বেঁধে রাখা হয় রসের জন্য। এরপর ভোর থেকেই ওইসব গাছ থেকে রস সংগ্রহ করা হয়। এরপর হাঁড়িতে সংগৃহীত রস নিয়ে বড় চুলার উপর টিনের বড় পাত্রে রস ঢেলে জ্বাল দিয়ে শুরু হয় গুড় তৈরির প্রক্রিয়া। আস্তে আস্তে এসব রস শুকিয়ে আড়াই থেকে তিন ঘণ্টার ব্যবধানে জ্বালানোর ফলে তৈরি হয় লাল গুড়। 

এই গুড় তৈরি করে বিক্রি করে থাকেন তারা। স্থানীয় কিছু ব্যক্তির কাছ থেকে মোট ২৫ হাজার টাকায় শীতের ৪ মাসের জন্য খেজুর গাছগুলো লিজ নেওয়া হয়েছে। এসব গাছ থেকে ৪ জন মিলে প্রতিদিন রস সংগ্রহ করে গুড় তৈরি করেন। এছাড়াও খেজুরের রসও বিক্রি করা হয়। তবে গাছিরা জানান, গুড় তৈরির জন্য জ্বালানি ও সরঞ্জামের দাম অনেকটাই বেড়ে যাওয়ার ফলে সেরকম ভাবে লাভের মুখ দেখা যাচ্ছেনা।