চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

বর্ধমানের হ্যাচারিমাঠ জনপদে নগরোন্নয়নের ছোঁয়া


 

বর্ধমানের হ্যাচারিমাঠ জনপদে নগরোন্নয়নের ছোঁয়া 


ডিজিটাল ডেস্ক রিপোর্ট, সংবাদ প্রভাতী : শহর বর্ধমানের একেবারে শেষ প্রান্ত হ্যাচারিমাঠ এলাকা। বিগত ১০-১২ বছরে ধীরে ধীরে গড়ে উঠেছে এই জনপদ। নগরোন্নয়নের ছোঁয়াও লেগেছে এই এলাকায়। বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থা বেশ কিছু উন্নয়নমূলক কাজ করেছে। এলাকার বাসিন্দাদের খুব আক্ষেপ ছিল পাড়াতে কোনও দুর্গাপুজো ছিল না বলে। এবারই প্রথম এগিয়ে এসেছে পাড়ার ক্লাব সৃজনভূমি সংঘ। মেয়েরাই এগিয়ে এলেন, পাশে পুরুষদের নিয়ে বেশ জাঁকজমক করে এবার প্রথম দুর্গাপুজো করলো তাঁরা। মেয়েদের পুজো পঞ্চমীতে উদ্বোধন করতে এসেছিলেন বর্ধমানের দুই বিশিষ্ট মহিলা ব্যক্তিত্ব। বিডিএ এর চেয়ারপার্সন কাকলি তা গুপ্ত এবং কাউন্সিলার ড. শিখা দত্ত সেনগুপ্ত। ছিলেন স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য মিতা দাস। মহাসপ্তমীতে গান্ধীজির জন্মদিনে মহিলা পরিচালিত দুর্গোৎসব কমিটির প্লাস্টিক ভিক্ষা অভিযান শহর বর্ধমানে সাড়া ফেলেছে। সেদিনের কর্মসূচিতে পাড়ার মহিলাদের উৎসাহ দিতে প্লাস্টিক ভিক্ষা অভিযানে বর্ধমান ২ ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সুবর্ণা মজুমদার সামিল হয়েছিলেন। এই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিডিও'র সঙ্গে ছিলেন যুগ্ম সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক রাম দাস।

পুজোর চারদিন পাড়া মেতে উঠেছিল আনন্দ উৎসবে। সবাই মিলে একসাথে একজায়গায় বসে খাওয়াদাওয়া। নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, খেলাধুলার আয়োজন সবই ছিল। পাড়ার  আবালবৃদ্ধবনিতা মেতে উঠেছিল তাদের প্রথম বর্ষের দুর্গাপুজো নিয়ে। 

পুজো শেষ হলেও তার রেশ বজায় ছিল হ্যাচারিমাঠের বাসিন্দাদের মধ্যে। রবিবার সন্ধ্যায় তারা আবার মিলিত হলো বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে। এদিন পাড়ার ছেলেমেয়েরা নাচ, গান, কবিতা, ছড়া পাঠ করে। 

এদিনই খেলায় স্থানাধিকারীদের পুরষ্কৃত করা হয়। আবার এক সন্ধ্যায় আনন্দে মুখরিত হলো এই হ্যাচারিমাঠ জনপদ। পাড়ার সকলেই হাজির ছিল আনন্দঘন এই অনুষ্ঠানে। তাঁরা আবার মিলিত হবে এক সপ্তাহের মধ্যেই, কারণ এখানেই তাঁরা আবার জমজমাট করে কালি পুজোর আয়োজন করতে চলেছে।