চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

এল আই সি এজেন্টদের চার দিনের বিশ্রাম দিবস পালন


 

এল আই সি এজেন্টদের চার দিনের বিশ্রাম দিবস পালন 


সংবাদ প্রভাতী, ১৩ অক্টোবর 

সেখ সামসুদ্দিন, মেমারি : জয়েন্ট এ্যাকশন কমিটি অফ লাইফ ইন্সুরেন্স এজেন্ট ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে ২৭ দফার দাবিতে কর্মবিরতি পালন চলছে। ১১ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে।

 দাবিগুলির মধ্যে অন্যতম কয়েকটি দাবি হলো ১)গ্রাহকদের বোনাস বৃদ্ধি করতে হবে, ২)সমস্ত ফিনান্সিয়াল ট্রানজাকশনের ক্ষেত্রে পলিসি ফোল্ডারদের লোন বা অন্যান্য ফিনান্সিয়াল ট্রানজাকশনের ক্ষেত্রে ইন্টারেস্ট রেট কমাতে হবে এবং খুব এফিসিয়েন্ট সার্ভিস দিতে হবে, ৩) সমস্ত ক্ষেত্রে সব কিছু পেপার জমা দেওয়ার পর তার ডকুমেন্টস দিতে হবে, জমা দেওয়ার ডকুমেন্টস পাঁচ বছর পর্যন্ত ঠিক আছে। তারপর পলিসি পাঁচ বছর পর্যন্ত রিভাইট করার সুবিধা দিতে হবে, ৪)এজেন্টের গ্র্যাচুইটি ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত করতে হবে, ৫) এজেন্ট কমিশন ১৯৫৬ সালে এলআইসি ন্যাশনাল লাইফ হওয়ার পর থেকে যে কমিশন রেট ছিল সেই কমিশনে আজও কাজ হচ্ছে, কিন্তু তার কমিশন বাড়ার পরিবর্তে দেখা যাচ্ছে নতুন পলিসির ক্ষেত্রে আস্তে আস্তে কমিশন রেট কমানোর একটা প্রক্রিয়া চালু হয়েছে, ৬)সমস্ত স্তরের এজেন্টের জন্য মেডিক্লেমের ব্যবস্থা করতে হবে এবং এলআইসির এজেন্টের জন্য প্রভিডেন্ট ফান্ড এর ব্যবস্থা করতে হবে, ৭) এজেন্টের পেনশনের ব্যবস্থা করতে হবে, ৮)  গ্রুপ ইন্সুরেন্স -এর পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হবে ৯) ডাইরেক্ট এজেন্টকে বাড়তি সুবিধা দিতে হবে ১০)এজেন্টের ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার জন্য এডুকেশন লোন দিতে হবে ১১) ২০১৭ সালে যে এজেন্সি রেজুলেশন অ্যাক্টতে হেরিডিটি কমিশনের কথা উল্লেখ নেই, হেরিডিটি ডিউটি কমিশন বজায় রাখতে হবে, ১২) এজেন্ট -এর সমস্ত পলিসির ক্ষেত্রে জিএসটি প্রত্যাহার করতে হবে ইত্যাদি। আজকের এই কর্ম বিরতিতে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি মোল্লা মুজিবর রহমান, সম্পাদক সৌরীন ঘোষ সহ প্রবীর কুমার লাহা, জহর ঘোষ, দিলীপ চক্রবর্তী, দেবব্রত চক্রবর্তী, অমলেশ বিশ্বাস, অজয় সাউ, ফিরোজ বড়া, মহাদেব ঘোষ সহ আরো ৪০ জন। 

এই কর্মসূচি দেশের সঙ্গে মেমারি ব্রাঞ্চ ও জামালপুর শাখাতেও এই কর্মসূচি চলছে। উল্লেখ্য ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর অ্যাজিটেশন কর্মসূচির মধ্যে এই কর্মবিরতি পালন। ৩০ তারিখের মধ্যে দাবী দাওয়া না মিটলে পরবর্তী আন্দোলনের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ঠিক করবেন। তারা যা নির্দেশ দেবেন সংগঠন তা মেনে চলবে বলে জানান মেমারি শাখার সম্পাদক সৌরীন ঘোষ।