দশেরায় ৫০ ফুট লম্বা রাবণের কুশপুত্তলিকা দাহ সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্কে
ডিজিটাল ডেস্ক রিপোর্ট, সংবাদ প্রভাতী : আজ বিজয়া দশমী। কৈলাশে নিজের সংসারে ফিরে গেলেন মা উমা। আর দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনের জন্য রাবণের কুশপুত্তলিকা পোড়ানোর মধ্যে দিয়ে দশেরা উৎসব পালন করা হয়। দশেরায় শহরের সবচেয়ে উঁচু কুশপুত্তলিকা পোড়ানোর ঐতিহ্য বজায় রেখেছে সল্টলেক সাংস্কৃতিক সংসদ কমিটি এবং সানমার্গ সেন্ট্রাল পার্ক। সল্টলেক এলাকায় ৫০ ফুট লম্বা রাবণ এবং ৪০ ফুট মেঘনাদ এবং কুম্ভকর্ণের কুশপুতুল দাহ করে।
এই অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য ছিল অশুভ ও মন্দের অবসান ভালোর বিজয় উদযাপন। পশ্চিমবঙ্গের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের মধ্যে একটি ইতিবাচক সংযোগ স্থাপন করা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী, কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, রাজ্যের দমকল প্রতিমন্ত্রী সুজিত বসু, বিধায়ক বিবেক গুপ্ত, সল্টলেক সাংস্কৃতিক সংসদের সভাপতি প্রদীপ টোড়ি, সল্টলেক সাংস্কৃতিক সংসদের মার্গদর্শক ললিত বেরিওয়ালা, সল্টলেক সাংস্কৃতিক সংসদের সেক্রেটারি নিতিন সিংহী, চেয়ারম্যান লাক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড অশোক টোড়ি, এবং অন্যান্য অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব।
অনুষ্ঠান সম্পর্কে বলতে গিয়ে সল্টলেক সাংস্কৃতিক সংসদের সভাপতি প্রদীপ টোডি বলেন, “এই বছর আমাদের প্রধান অতিথি হিসেবে সৌরভ গাঙ্গুলিকে পাওয়া সত্যিই বিশেষ একটা অনুভূতি ছিল। মন্দের অবসান এবং শুভ শক্তির জয় উদযাপনের জন্য আমরা সেন্ট্রাল পার্কের মাঠে বিশেষ ব্যবস্থা করেছিলাম। রাবণের ৫০ ফুট লম্বা কুশপুত্তলিকা পোড়ানোর পাশাপাশি আমরা অনুষ্ঠান চলাকালীন একটি পৃথক আতসবাজি প্রর্দশনীর আয়োজন করেছিলাম।
সল্টলেক সাংস্কৃতিক সংসদের মার্গদর্শক ললিত বেরিওয়ালা বলেন, “আমরা দশেরার অনুষ্ঠানের দশম বছর উদযাপন করেছি যা এবার পূর্ব ভারতের সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠান হিসেবে পরিচিত। বিজয়া দশমী বার্ষিক দুর্গা পূজা উৎসবের সমাপ্তি হিসাবে, দুষ্টের দমন এবং শিষ্টের পালনের বার্তা দিতে দেশে রাবনের কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয়। আমরা বিভিন্ন রাজ্যের শিল্পী নিয়োগ করেছি অনুষ্ঠানের সময় পারফর্ম করার জন্য। ২৫ হাজার এর বেশি মানুষ এতে অংশ নেন।