চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

কবিতার ছন্দে বিজয়ার বিষন্নতা ও আনন্দে



 

কবিতার ছন্দে বিজয়ার বিষন্নতা ও আনন্দে


বিজয়া 


শান্তনু সেন শর্মা 


প্রতি বিসর্জনের মধ্যে 

আছে বার্তা আবাহন--

শুভ বিজয়ায় রইলো

প্রীতি, শুভেচ্ছা, অভিনন্দন।

সুখে-দুখে সকলেরই

কাটে বছরভর,

পাঁচটি দিনে মায়ের স্পর্শে 

ভরে ওঠে ঘর।

কেউ বলে মা এসেছিল

কেউ বলে মা চলে গেল,

আসা-যাওয়ার এই ভুবনে

সার সত্য এটাই হলো।

এই কথাটা বুঝে নিয়ে

সময়টাকে মূল্য দিয়ে,

আজি এই ভুবনলোকে

খোল মনের জানলাটাকে।

কেউ পাশে থাক,

কেউবা না থাক,

মায়ের আশিস মাথায় নিয়ে

বাজাও এবার বিজয় ঢাক। 


##### 


বিজয়া 


অতনু হাজরা 


দশমীতে মায়ের যে আজ ঘরে ফেরার পালা

সাজিয়ে থালা হাতে নিয়ে চলছে সিঁদুর খেলা।

বিদায়ের তাল অনবরত বাজিয়ে চলে ঢাকি

বলছে যেনো যেতে হবে সময় নাই তো বাকি।

চারিদিকে বিষাদের ছায়া চোখ ছল ছল করে

বিষন্নতায় ভরা চারিধার মনটা কেমন করে।

আসছে বছর আবার এসো আনন্দ দিতে মনে

বিদায় বেলায়  অশ্রু আসে সবার চোখের কোনে। 


#####



শুভ বিজয়া 


উত্তম বন্দ্যোপাধ্যায়  


শরৎ আসা মানেই যে গো

             মায়ের আসার পথ চাওয়া ,

সঙ্গে চলে গুনগুনিয়ে

             আগমনীর গান গাওয়া । 


কাশের ঢেউয়ে,পেঁজা মেঘের,

                  শিউলি ফুলের গন্ধেতে -

দুগ্গা মা যে এসেছিলেন

               সারা বাংলার রন্ধ্রেতে । 


চারটি দিনের পুজো নিয়ে,

               মা যে গেলেন কৈলাশে ,

অশ্রু হয় ঝরছে যেনো

              পড়ছে শিশির দুর্বা ঘাসে । 


চারটি দিনের আনন্দ তে

                আমরা মাতি উল্লাসে -

সকল জাতির আসে মানুষ

              মিলন বাঁশির সুর ভাসে । 


দুগ্গা মায়ের চরণতলে

‌              আশীষ মাগী সক্কলে ,

ফুল যেনো সব ভরে ওঠে

             সব গাছেরই সব ডালে । 


শরীর সবার সুস্থ থাকুক

               থাকুক সবাই খুশ্ মনে ,

প্রণাম সবে নিবেদিনু _

            সকল আমার গুরুজনে । 


শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা

            রইলো সকল আপনজনে ,

স্নেহের আবেশ ছড়িয়ে দিলুম

           বাকি সকল শিশুমনে।।

               ____    ____