Scrooling

প্রয়াত টাটা গ্রুপের কর্ণধার রতন টাটা, দুর্গা পুজোর আনন্দের মাঝে বিষাদের ছায়া # 'দাদাসাহেব ফালকে' সম্মানে ভূষিত হলেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী # হাঁপানি ও অ্যালার্জিজনিত সমস্যায় ভুগছেন ? বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ অয়ন শিকদার বর্ধমানে আসছেন। নাম লেখাতে যোগাযোগ 9734548484 অথবা 9434360442 # টি টোয়েন্টি ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট ২০২৪ : ভারতের বিশ্ব রেকর্ড, প্রথম থেকে শেষ সব ম্যাচে ভারতের জয় # কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন আউসগ্রামের বিউটি বেগম # নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রীসভায় পশ্চিমবঙ্গ থেকে শপথ নিলেন ডঃ সুকান্ত মজুমদার ও শান্তনু ঠাকুর # আঠারো তম লোকসভা ভোটের ফলাফল : মোট আসন ৫৪৩টি। NDA - 292, INDIA - 234, Others : 17 # পশ্চিমবঙ্গে ভোটের ফলাফল : তৃণমূল কংগ্রেস - ২৯, বিজেপি - ১২, কংগ্রেস - ১

অসহায় প্রসূতি মায়ের পাশে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি


 

অসহায় প্রসূতি মায়ের পাশে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি 


অতনু হাজরা, জামালপুর : মানবিক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা তৃণমূলের জামালপুর ব্লক সভাপতি মেহেমুদ খান। এক অসহায় প্রসূতি মায়ের পাশে দাঁড়ালেন তিনি। এবারের দুর্গা পূজার পঞ্চমীর দিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন জামালপুরের কারালাঘাট ব্যবসায়ী সমিতির দুর্গা পুজো ভার্চুয়াল উদ্বোধন করছিলেন তখন তিনি সেখানে দেখেন সামনেই একটি ঝুপড়িতে অস্থায়ী ভাবে ঘরে বসবাস করছেন এক প্রসূতি মা। তিনি সেখানে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন অসহায় ভাবে সেখানে তার মাকে নিয়ে আছে। সেখানকার মানুষজনও তাঁকে জানান যে মেয়েটির খাওয়ার মত সংস্থান নেই। কিছু কিছু সাহায্য স্থানীয় ব্যবসায়ীরা করলেও সেটা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। তিনি সাথেই সাথেই তাদের মা ও মেয়ের খাবার ব্যবস্থা করেন এবং বাচ্ছা না হওয়া পর্যন্ত সেই প্রসূতি মায়ের খাবার ও ওষুধের দায়িত্ব নেন। সাথে সাথে স্থানীয় মানুষ ও ব্যবসায়ীদের তাকে দেখভাল করার দায়িত্ব দেন। কোন রকম সমস্যা যেনো তার না হয়। তিনি তাদের খাবার জন্য চাল এবং আলু, সবজি, মসলার সব ব্যবস্থা করে দেন। সেইদিন থেকেই নিয়মিতভাবে তার খোঁজখবর নিতে থাকেন তিনি। এ বিষয়ে তাকে সাহায্য করেন  স্থানীয় গ্রামীণ চিকিৎসক রাশেদ হালদার ও স্থানীয় তৃণমূল নেতা বাচ্চু মাঝি ও মনোজ কাপাসি। মেহেমুদ বাবুর নির্দেশে তার  অস্থায়ী থাকার জায়গাটি পরিবর্তন করে পাশেই এই অ্যাসবেষ্টর দিয়ে একটি স্থায়ী ঘর করে দেওয়া হয়। যাতে বাচ্চা হবার পর তাদের থাকার কোনো অসুবিধা না হয়।  নিজের মাকে নিয়ে থাকতেন ওই মহিলা। পরবর্তীতে জানতে পারার পর সভাপতি দায়িত্ব নিয়ে তার স্বামীকে ডাকিয়ে নিয়ে আসেন এবং নির্দিষ্ট সময় তাকে জামালপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করেন কিন্তু আজ তাকে জামালপুর গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। এই খবর পেয়েই সঙ্গে সঙ্গে জামালপুর গ্রামীণ হাসপাতালে উপস্থিত হন মেহেমুদ খান। 

টাকা পয়সার যাতে কোনো অসুবিধা না হয় তাই বাড়ির লোকের হাতে উপযুক্ত টাকা পয়সা দিয়ে তাদের বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠাবার ব্যবস্থা করেন। রাস্তায় বা বর্ধমান হাসপাতালে যাতে কোন অসুবিধা না হয় সেই জন্য অ্যাম্বুলেন্সে গ্রামীণ চিকিৎসক রাশেদ হালদার বাবু কেও পাঠান। তিনি বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সর্বদাই এই অসহায় মানুষের কথা ভেবে তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। তাই মানুষ হিসেবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। তিনি যেদিন জানতে পেরেছেন তার  পরই ওই মহিলার বাচ্চা হওয়া পর্যন্ত সব দায় দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং ওখানে স্থানীয় নেতৃত্ব এবং ব্যবসায়ী সমিতির মানুষদের তাকে নজর রাখার জন্য বলেন। তিনি আরো জানান তাদের থাকার জন্য ঘরের ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং পরবর্তী পর্যায়েও তার কোনও অসুবিধা হবে না তিনি সমস্ত বিষয়ে লক্ষ্য রাখবেন। ব্লক সভাপতির এ হেন মানবিক ভূমিকায় খুশি এলাকার মানুষজন।