চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

সম্প্রীতির অনন্য নজির, দু'দিনে দু'ডজন দুর্গাপুজোর উদ্বোধনে মেহেমুদ


 

সম্প্রীতির অনন্য নজির, দু'দিনে দু'ডজন দুর্গাপুজোর উদ্বোধনে মেহেমুদ 


অতনু হাজরা, জামালপুর : মহাষষ্ঠীর দিনে প।র দেয় ডজন পূজা মন্ডপে দুর্গা পূজার উদ্বোধন করলেন জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মেহেমুদ খান। তাঁর সাথে ছিলেন জামালপুরের বিধায়ক অলক কুমার মাঝি, জয়েন্ট বিডিও গৌতম কুমার দত্ত, পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ তথা ব্লকের যুব সভাপতি ভূতনাথ মালিক, সীতারাম স্মৃতি মন্দিরের ত্রিদন্ড স্বামী চন্দ্র মোহন মহারাজ সহ বিভিন্ন স্থানীয় নেতৃত্ব পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধক্ষ্য সুনীল ধারা, শ্রীমন্ত সাঁতরা, পঞ্চায়েত প্রধান মাবিয়া বেগম, সুভাষ কোলে, দেবু হেমব্রম, তাবারক আলী মন্ডল, ডা: প্রতাপ রক্ষিত সহ স্থানীয় নেতৃত্ববৃন্দ। 

 শিপতাই সর্বজনীন বারোয়ারি, জারগ্রাম সর্বজনীন বারোয়ারি, আঁটপারা সর্বজনীন বারোয়ারি, শাহসেনপুর বারোয়ারী, শ্রীকৃষ্ণপুর উত্তরপাড়া সর্বজনীন বারোয়ারি, আঝাপুর হাটতলা সর্বজনীন বারোয়ারি, জামালপুর কিশলয় সমিতি, রঙ্কিনি মহুলা সর্বজনীন বারোয়ারি, বাদপুর নেতাজি সংঘ, জৌগ্রাম স্টেশন বাজার বারোয়ারী, জাঙ্গীরপুর সর্বজনীন বারোয়ারি, সহ মোট ১৬ টি পুজো উদ্বোধন করেন তিনি। প্রসঙ্গত গত কালও ব্লকের বিভিন্ন জায়গার ৮ টি পুজো উদ্বোধন করেছিলেন। বহু সংখ্যক  দুর্গা পুজো উদ্বোধন করে উচ্ছ্বসিত ও আপ্লুত মেহেমুদ খান। তিনি বলেন এই বাংলা সম্প্রীতির এক অনন্য নজির। তিনি নিজে মুসলিম কিন্তু তাঁকেই আমন্ত্রণ করা হচ্ছে দুর্গা পূজো উদ্বোধন করতে। ব্লকে পুজো কমিটিদের নিয়ে মিটিং করার সময় যে অনুরোধ তাঁরা করেছিলেন সেটা রক্ষা করার জন্য তিনি প্রতিটি পুজো কমিটিকে ধন্যবাদ জানান। প্রায়  সকল পুজো কমিটিই তাদের সাধ্যমত বস্ত্র বিতরণ করেন। এর জন্য উৎসবের দিনগুলিতে গরীব অসহায় মানুষ গুলো নতুন পোশাক পরতে পারবে। রাজ্যের সমস্ত পুজো কমিটিকেই  রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ৬০০০০ করে টাকা ও বিদ্যুৎ বিলে ৬০% ছার দিয়েছেন। যার ফলে সব পুজো কমিটির পক্ষেই এটা সুবিধা হয়েছে। তিনি বলেন সমস্ত পুজো কমিটিগুলো নির্দিষ্ট নিয়ম মেনেই পুজো করছে। সকল জায়গাতেই সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের ফ্লেক্স সকলেই লাগিয়েছে। সে জন্য পুজো কমিটি গুলিকে তিনি ধন্যবাদ জানান।

 বিধায়ক অলক কুমার মাঝি বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর চেষ্টাতেই আজ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে  দুর্গা পূজা। ইউনেস্কো এই পূজা কে হেরিটেজ ঘোষণা করেছেন। রাজ্যের কোনো পুজো কমিটি আজ আর অর্থের জন্য পুজো করতে পারবে না এমনটা আর হবে না। ভূতনাথ মালিক বলেন,  সত্যিই খুব ভালো লাগছে এই এত প্রতিমা তাঁরা দেখছেন মানুষের সাথে কথা বলছেন এ এক অন্য অনুভূতি। দুর্গা পুজো আগেও হতো কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর এই অর্থ সাহায্য ক্লাব গুলিকে আলাদা করে উদ্বুদ্ধ করেছে। তাঁরা  সকলকে শারদীয়ার শুভেচ্ছা জানান। পুজো উদ্বোধন কে কেন্দ্র করে প্রতিটা পুজো মণ্ডপে উৎসাহী দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার  মতো।