Bhoot Chaturdashi
ভূত চতুর্দশী
দিলীপ রঞ্জন ভাদুড়ী
আজ সকালে ঘুম ভাঙল
ধাক্কা দিচ্ছে যেন কেউ,
উঠে দেখি, বলছে এক ভূতে
দেখছিস কি, দেশে কত ঢেউ !
চোখ রগড়ে চেয়ে দেখি
সামনে কেউ তো আমার নেই,
ভোর না হতেই কে ঘুম ভাঙালো
তবে কি আমি হারালাম খেই !
ধুৎ বলে, কাত হয়ে আবার
যেই বুঁজেছি আমার চোখ,
আবার কে এক মারল চাঁটি
ভয়ে উঠেই নিলাম ঢোক।
বাথরুমে যেই বসেছি
কাঁধে চেপে বসল কে,
হাত জোড় করে "মা চন্ডিকে,
বাঁচাও মা গো আজ আমাকে।"
ভূত দেখতে এতই শখ
যাস নি কেন কলকাতাতে,
ওখানে থাকে চোদ্দ ভূত
দেখতে পাবি আজ সাঁঝেতে।
কলকাতায় না যাওয়াই ভাল
রোজ রাস্তায় মিছিল থাকে,
কি করে যাব মা বলো
পথ ঘাট কি কেউ খোলা রাখে !
"তাও পারবিনে, তাও পারবিনে
বকলমা টা দে, তুই আমাকে,
সূত্র আমি বাতলে দিচ্ছি
হিসেব টা যেন মনে থাকে।"
সবার মাঝেই পঞ্চ ভূতের বাস
পঞ্চ ভূতেই বিলীন হয়,
পাঁচে পাঁচে দশ হয়ে গেলে
চারটি ভূত বাকি রয়!
যে বলে কাঁচা বাঁশের কথা
তাঁর কাঁধেই বাঁশো ভূত,
যে বলবে দাঁত উপড়ে নেব
স্কন্ধকাটা সে যম দূত।
বামুনের মধ্যেই ব্রহ্মদৈত্য
তাঁদের লক্ষ্মণ হবে চোর,
ডাকিনি বা শাকিনি কথায়
প্রলোভনে ঘুড়ে যাবে মোড়।